শিরোনাম:
●   কাপ্তাই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে যুব ঋন বিতরণ ●   ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ডের দাবীতে ফটিকছড়িতে ছাত্রসেনার মানববন্ধন ●   অসহায় পাহাড়ী পরিবারকে বাড়ি নির্মান করে দিল কাপ্তাই সেনা জোন ●   আত্রাইয়ে স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি সভা ●   ঝালকাঠিতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং ●   কাপ্তাই সড়কে টোকেন বাণিজ্য বন্ধ ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ●   সিগারেট করকাঠামোয় সংস্কার করতে হবে ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের “পরিচালনা বোর্ড” এর সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটিতে ধর্ষণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি ●   পার্বতীপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবি সংবাদ সম্মেলন ●   পিসিজেএসএস নেতা কে এস মং পুত্র অং অং মং এর নেতৃত্বে রাজধানীতে পুলিশের উপর হামলা ●   ভিমরুলের কামড়ে প্রান গেলো সাবেক সেনা সদস্যের ●   ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো সেই ওসি পদোন্নতি পেয়ে বেপরোয়া ●   ফটিকছড়িতে মেশিনে তৈরি মুড়িতে বাজার সয়লাব ●   চুয়েট শিক্ষক সমিতির ইফতার ●   ঝালকাঠিতে হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন : পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং ●   রাউজানে হামলার শিকার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ●   হাটহাজারীতে অগ্নিকান্ডে দোকান ও বসতঘর পুড়ে ছাই ●   রাঙামাটিতে ৩ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ে জাগুলুক্কে চাকমাকে পুলিশে দিল গ্রামবাসি ●   হত্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে পুলিশের টাকা আদায় ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে অংশীজনদের সাথে সংলাপের প্রস্তাব ●   নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে রাবিপ্রবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতুসহ ৭২ জনের নামে মামলা ●   ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে রাঙামাটিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ ●   দেশব্যাপী ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন রাঙামাটি কলেজ ছাত্রদল ●   জিয়া হায়দার বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা হলেন ●   আত্রাইয়ে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন ●   ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত অলিউর রহমান ●   ঝালকাঠি স্বর্ণ মার্কেটে বোমা বিস্ফোরন ●   কাউখালীতে জাতীয় দূর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
রাঙামাটি, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » নওগাঁ » শতবর্ষী বটগাছটি কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে
প্রথম পাতা » নওগাঁ » শতবর্ষী বটগাছটি কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে
সোমবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শতবর্ষী বটগাছটি কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে

---আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের আদর্শগ্রামের পূর্ব পার্শ্বে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত বছরের এ বটগাছটি। রাস্তার দুই পাশে ছড়িয়ে পড়েছে গাছটির বিশাল শাখা-প্রশাখা। শিকর-বাকরে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। শতবর্শী এ বটগাছটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাজা তরুণ আর চিরসবুজ। যেন বার্ধক্যের ছাপ লাগেনি তার গায়ে। আর সে কারণেই এ বটগাছকে ঘিরে নানা রহস্যে ঘেরা গল্প-কাহিনী আর কল্পগাথা।

কী শোভা, কি ছায়া গো, কি স্নেহ, কি মায়াগো, কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর ক’লে ক’লে। বিশ্বকবি রবিঠাকুর রচিত আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের এ চরণে গ্রাম বাংলার অপরুপ শোভা, ছায়া-মায়া ও স্নেহের আঁচল বিছানো স্থান যেন আমাদের বটবৃক্ষের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

তথ্যঅনুসন্ধানে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শের শাহ্ বাদশার আমলে গ্রান্ডটাংক রোড নির্মান কালে আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম সংলগ্নে এ বটগাছটি রোপন করা হয়েছিল। যার বয়স এখন শত বছর পেরিয়ে গেছে। এ বট বৃক্ষের গা ঘেসে একটি কদম গাছের জন্ম হয়। আর সে কারনেই এ জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছিল কদমতলা। এখন সে কদম গাছটি আর নেই কিন্ত কালের আবর্তে যুগ যুগ ধরে আজও তার স্মৃতিটুকু রয়ে গেছে। শের শাহ্ বাদশার আমলে এ এলাকা বিল অঞ্চল ছিল। রোদ বৃষ্টির মাঝে কৃষাণ-কৃষাণী তাদের কষ্টের ফসল ফলাতো। রাখালেরা দিগন্তজুড়া মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য গবাদিপশুকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্ত শরিরে শীতল ছায়ার প্রতিক্ষায় থাকতো। আর সে কারণেই এই বটবৃক্ষ রোপন করা হয়েছিলো বলে জানা যায়। তাই গ্রীষ্মের দাবদাহে কৃষক যখন অতিষ্ট ঠিক তখনই একটু শীতল ছায়ার আশায় এ বট বৃক্ষের নীচে জমা হতো।

এ বটবৃক্ষ সম্পর্কে আলাপচারিতায় ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, আমার জন্মের পর থেকেই এ বটগাছটি দেখে আসছি । এই বটগাছের কত বয়স হবে তা আমরা সঠিক ভাবে বলতে পারবো না। বর্তমানে বটগাছের নিচে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সমাগম ঘটে। এ বটগাছটি যেন সেই আদিম সনাতন সভ্যতার ইতিহাস ও ঐতিহ্যর সারকথা আজও সবার সামনে তুলে ধরে আছে। এদিকে অযতœ-অবহেলা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ও নানামুখী অত্যাচারের কারণে এই ঐতিহ্যবাহী বটগাছের অস্তিত্ব আজ নষ্ট হতে চলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বট গাছটি দেখতে আসে লোকজন বছরের প্রায় প্রতিদিন। তাদের জন্য বিশ্রাম বা বসার জায়গাটুকু ও এখানে নেই। তবে বিশ্বায়নের যুগে ডিজিটাল দেশ গঠনের পাশাপাশি ক্লান্ত কৃষাণের প্রাণ জুড়ানো সবুজ প্রকৃতির বটের ছায়ার কোন বিকল্প নেই। তাই ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রতিবছর বৃক্ষরোপন সপ্তাহ উদযাপন কালে আমাদের বটের চারা রোপন করা উচিত।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এই বট বৃক্ষটি সংরক্ষন এবং এই স্থানটিতে দর্শনার্থীদের বসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এখানে আরো লোকের সমাগম ঘটবে এবং ভবিষ্যতে এ বটবৃক্ষ পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হবে। এলাকাবাসীর দাবী এই ঐহিত্যবাহি বটগাছটি রক্ষায় যেন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি পড়ে এবং তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)