বুধবার ● ২ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » পাবনায় পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে
পাবনায় পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে
পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনায় পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিং ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
পাবনার ডিসি মোঃ কবীর মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, পদ্মার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টরা সবাই সচেষ্ট রয়েছেন বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার উপ সহকারী প্রকৌশলী সানজানা নাজ জানান, উজান থেকে যে প্রবল বেগে পানি ধেয়ে আসার কারণে পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর পদ্মার হার্ডিং ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার। তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরেই পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে ৫-৬ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। প্রতি ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার সকাল ১১টায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
এদিকে প্রবল ¯্রােতে ও অতি পানির ফলে পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকার প্রায় ৫শ’ হেক্টর নানা ফসলি ও নিচু জমি প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার একর জমির নানা জাতের ফসল।
ঈশ্বরদী সাঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান রানা সরদার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে পদ্মায় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এবারে উজানের অতি প্রবল বর্ষণ ও ধেয়ে আসা পানির ফলে কোমরপুর থেকে সাঁড়াঘাট পর্যন্ত রক্ষা বাঁধের দুই থেকে তিন ফুট নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাকশী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস জানান, তার ইউপির রূপপুর সড়কের নিচু অংশে ফসলসহ জমি তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই পাকশীর বিভিন্ন স্থানে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে ফসলসহ জমি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বসতভিটার ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বলেন, উপজেলার সাঁড়া, পাকশী ও লক্ষীকুন্ডা ইউপির আখ, ফুলকপি, গাজর, মাসকলাই, মুলা, বেগুন, শিম, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধানসহ ৪০০ হেক্টর জমির সবজি ও ফসল তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ফসলের ক্ষতি হয়েছে লক্ষীকুন্ডার দাদাপুর, চরকুরুলিয়া, কামালপুর ও বিলকেদায়।
বঙ্গবন্ধু কৃষিপদক পাওয়া কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ ওরফে কুল ময়েজ বলেন, কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই কৃষকদের মাঠের শাক সবজিসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর পদ্মার পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। শত শত কৃষক এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, যে গতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল, ধারণা ছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পদ্মার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করবে। পদ্মার গুরুত্বপূর্ণ বাঁধগুলোতে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
চাটমোহর সরকারি কলেজের ১৮ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা
পাবনা ::পাবনার চাটমোহর সরকারি ডিগ্রী কলেজের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী বিভিন্ন সময়ে জাল জালিয়াতি, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অবৈধ পন্থায় দূর্নীতির মাধ্যমে এম.পি.ও ভুক্ত হয়ে প্রায় ১০ কোটি সরকারি টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় আদালতে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছেন অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান। কলেজটি সরকারি হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের ফাইল পত্র যাচাইকালে তাদের এই জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। এবিষয়ে অধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মধ্যে দ্বন্দ্বে শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্মীকরণের ফাইলপত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো সম্ভব হয় নাই।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার উল্লেখিত দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে অধ্যক্ষকে ফাইলে স্বাক্ষর করতে চাপ সৃষ্টি করলে অধ্যক্ষ পাবনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মোকদ্দমা করেন। বিজ্ঞ আমলী আদালত পাবনা-৪ এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (হাকিম) উক্ত কাগজপত্র যাচাই করে জাল জালিয়াতি করে নিয়োগ ও অবৈধ ভাবে এম.পি.ও ভুক্তি করে প্রায় ১০ কোটি টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সত্যতা পান। ফলে বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২৫/৯/২০১৯ খ্রীঃ তারিখে উক্ত দূর্নীতিবাজ আসামীদের ধৃত করে ও চাটমোহর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামীদের কোর্টে হাজির করার আদেশ দেন। মামলা নং ৯৪/২০১৯।
এ ব্যপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, আদালত মামলা বেকর্ড করার আদেশ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীর সথে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল
পাবনা :: পাবনার চাটমোহরে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ হোসেন এলাকাবাসীর হাতে ধরা পরেছেন।
সোমবার রাতে দোলং মহল্লা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে রাতেই তাতক্ষণিকভাবে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে চাটমোহর থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ হোসেনের সাথে দোলং মহল্লার মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর (৩৮) সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফিরোজ হোসেন গোপনে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে ঘর থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন ও থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিরোজ হোসেনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন এবং রাতেই তাকে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।