বৃহস্পতিবার ● ৩ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ বিভাগের সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়ম বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মানববন্ধন
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ বিভাগের সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়ম বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মানববন্ধন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিভাগের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখা আজ বৃহস্পতিবার শহরের ডিবি রোডে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পিডিবি চেয়ারম্যান বরাবরে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বাসদ জেলা সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সংগঠনের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান সুমন, মো. আব্দুর রহিম, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল হালিম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সেচ পাম্পের অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত বিল সংশোধনের সিদ্ধান্ত হলেও অদ্যাবধি সেচ পাম্প মালিকদের বিল সংশোধন করা হয়নি। শুধু তাই নয়, মাসের পর সংশোধনের নামে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। কিছু বন্ধ পাম্পের বিল বন্ধ হলেও বাকিগুলো নিয়ে এখনও গ্রাহকরা সমস্যায় রয়েছে। তার উপর নতুন করে অতিরিক্ত বিল করা শুরু হয়েছে তা মেনে নেয়া যায় নায় না। সমস্ত সেচ পাম্পে মিটার লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তার জন্য তা আর করা হচ্ছে না। তাই বক্তারা সব সেচ পাম্প মিটারিংয়ের আওতায় আনা, লাইন নষ্ট এই অযুহাত না মানা, সমস্ত লাইন ষ্ট্যান্ডার্ড করা ও বসতবাড়ির ক্ষেত্রে পিচরেড বা পুরনো আমলের হাতের লেখার বিল নয়, স্নাপসট পদ্ধতির মাধ্যমে বিল করার দাবি জানান। সেইসাথে যে সমস্ত বসতবাড়িতে অন্যভাবে অতিরিক্ত বিল হয়েছে তা সংশোধন করে অবৈধ সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাও দাবি জানান। তারা আরও বলেন, লাইন ষ্ট্যান্ডার্ড করার জন্য যে টেন্ডার হয়েছে তার চুরি বন্ধ করে কিভাবে কি কাজের টেন্ডার হয়েছে তা জনগণকে জানানোর দাবি করেন।
দাবিগুলো হচ্ছে সেচ পাম্প মালিকদের ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল সংশোধনের বোর্ডের যে সিদ্ধান্ত ছিল তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন, বর্তমান সময়ও মিটার রিডিং ছাড়া বিল হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে মিটার রিডিং অনুযায়ি বিল, সমস্ত সেচ পাম্পকে মিটারিংয়ের আওতায় আনা, মিটার ছাড়া কোন পাম্পের বিল না করা, কোন অযুহাতেই মিটার লাগানো বন্ধ না করা, বন্ধ পাম্পের বিল বাতিল করা, সেচ পাম্প ও বসতবাড়ির সব লাইন ষ্ট্যান্ডর্ড করা, এই অযুহাতে সেচ পাম্পের মিটার লাগানো বন্ধ না করা, সেচ পাম্প ও বসতবাড়ির বিল করার ক্ষেত্রে পুরাতন পিচরেট বা হাতে লেখা বিল পদ্ধতি বাতিল, সেক্ষেত্রে স্নাপসর্ট পদ্ধতি চালু অব্যাহত রাখা, বসতবাড়ির অনেক ভুতুরে বিল সংশোধন পূর্বক গ্রাহকের প্রকৃত বিল পরিশোধের সুযোগ দেয়া, কোনভাবেই অতিরিক্ত বিল করে গ্রাহক হয়রানি না করা এবং গাইবান্ধায় বিদ্যুতের লাইন সংস্করণের যে টেন্ডার হয়েছে তার লুটপাট বন্ধ করে টেন্ডারের সিডিউল চার্ট ঝুলিয়ে গ্রাহকদের তথ্য বোঝার সুযোগ দিয়ে লুটপাট বন্ধ করা।
গাইবান্ধায় জাতীয় যুব সংহতির কর্মী সভা
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় জেলা জাতীয় যুব সংহতির এক কর্মী সভা বৃহস্পতিবার স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ সরকার। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফকরুল আহসান শাহজাদা।
জাতীয় যুব সংহতি সাবেক জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের সাগরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন, সাঘাটা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো. সরওয়ার হোসেন শাহীন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মশিউর রহমান ও আনোয়ারুল ইসলাম লেবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় যুব সংহতি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জুলফিকার সরকার মিলন।