রবিবার ● ৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সেলিনার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীর মানববন্ধন
সেলিনার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীর মানববন্ধন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শাখারীদাহ গ্রামের এক সুদখোর মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের পাতানো ফাঁদে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে হাড়ি পাতিল ব্যবসায়ী পল্টু সহ ঐ গ্রামের কয়েকটি পরিবার। সুদখোর মহাজনী কারবারি প্রভাবশালী সেলিনা খাতুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ঐ পরিবারের সদস্যরা আজ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ মোড়ে এক মানব বন্ধন করে। এ সময় তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্টু, বজলু, নাজের আলী, আলতাফ হোসেন ও ফিরোজ আলী মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের বিচার দাবী করেন। লিখিত অভিযোগে অসহায় ঐ পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা একজন সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ী, শাখারীদাহ বাজারের বজলুর মিলের মালিক সেলিনার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নগদে ও বাকিতে কিছু খুদ, চাউল সরিষার তৈল,নারকেল তৈল নিয়ে থাকি যা বছর শেষে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করিলেও নগদ দেওয়া টাকা জমা না করিয়া চক্রবৃদ্ধি হারে কয়েক শতগুন বাড়িয়ে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যা সঠিক নয়। সরোজমিনে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে জানতে ঘটনাস্থলে গেলে পল্টু সহ ভুক্তভোগীরা সহ অনেকে উপস্থিত হয়ে বলেন,আমরা হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ, সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ের ওপর নির্ভর করে চলে আমাদের সংসার। এর মাঝে বন্ধু সেজে সেলিনা খাতুন, উপকারের নামে আমাদের পেটে খাওয়ার জন্য তার মিলের চাল-খুদ ও তৈল দিয়ে এখন ৬লক্ষ টাকা দাবি করে মিথ্যা মামলা করেছে যা সম্পর্ণ মির্থ্যা ও বানোয়াট। জাল ষ্ট্যাম্পে আমাদের নামে আদালতে মামলা করেছে যা সাজানো ও মিথ্যা। আমরা কিস্তি তুলি কিস্তি দিই কিন্তুু কোন ষ্টাম্পে কোন স্বাক্ষর করিনি অথচ নোটিশ পাঠিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলার শিকার পল্টু বলেন, আমি ছাড়াও তার পাতানো সুদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেকে ৫ হাজার টাকার চাল, তৈল নিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এভাবে সে আমার মত গ্রামের আরও অনেক মানুষের কাছ থেকে এভাবে ফাঁদে ফেঁলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম জানান,আপনি দেখুন এই বাড়ীতে কি ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া যায়, যায় না। তবে সামান্য কিছু টাকা হয়ত পেতে পারে,যার জন্য অনেক বার স্থানীয় ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের নিকট জানতে চাইলে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান। এ সময় তার মেয়ে ও স্বামী বলেন, আমরা পল্টু সহ অনেকের কাছে নগদ টাকা পাব যার প্রমাণ ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, এ ভাবে বিনা লাইসেন্সে মহাজনী কারবারী সম্পূর্ণ অবৈধ ও বে-আইনী, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন শাম্মী ইসলামসহ তিন নারী
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন তিন নারী। দেশের তিন জেলায় তিন নারী নতুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিযুক্ত হয়েছেন। বুধবার (৫ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন নারী জেলা প্রশাসকরা হলেন-বেগম সুবর্ণা সরকার, বেগম আফরোজা আক্তার ও বেগম শাম্মী ইসলাম। বেগম সুবর্ণা সরকার জামালপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয্ক্তু হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বেগম আফরোজা আক্তার পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন, তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া বেগম শাম্মী ইসলাম যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলিকৃত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে (পদায়িত জেলায়) বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।