রবিবার ● ৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ছাত্রী তৃষা হত্যা মামলার আসামী আবার যৌন নিপীড়নের মামলায় গ্রেফতার
ছাত্রী তৃষা হত্যা মামলার আসামী আবার যৌন নিপীড়নের মামলায় গ্রেফতার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধায় চাঞ্চল্যকর তৃষা হত্যা মামলার সাজাভোগী আসামী মেহেদী হাসান মডার্ণ স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আবারও গ্রেফতার হয়েছে।
২০০২ সালে দেশজোড়া আলোড়ন সৃষ্টিকারী গাইবান্ধার মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী তৃষা হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী বখাটে মেহেদী হাসান মডার্ণ আবারও স্কুল ছাত্রী কে ধর্ষণে অপরাধে গ্রেফতার হয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এসেছে। সদর উপজেলা মডেল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে এবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্কুল ছাত্রীটির মায়ের অভিযোগে জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে গাইবান্ধা শহরের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মডার্ণ ও তার সহযোগী সাব্বির হোসেন বাপ্পী তাকে জোর করে মটর সাইকেলে তুলে শহরের অদূরে বোয়ালীতে এক মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপরে যৌন নির্যাতন চালায় মডার্ণ। পরে ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় থানায় জিডি করে পরিবারের পক্ষ থেকে। পরদিন তাকে রংপুর শহর থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হলে পুলিশ শনিবার সকালে মডার্ণকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে গাইবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।
সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ময়নুল হক সাংবাদিকদের জানান, তৃষা হত্যার দায়ে আরও দুই সহযোগিসহ ১৩ বছর জেল খাটে মডার্ণ। ষষ্ঠ শ্রেণীর নির্যাতিত শিশুটি মডার্ণের হুমকির মুখে পুলিশের কাছে সব সত্যি বলেনি। পরে ম্যাজিস্টেটের কাছে তাকে নিয়ে গেলে সে ধর্ষনের ঘটনার বর্ণনা দেয়। তিনি বলেন, তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। জামা কাপড়ের ডিএন এ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, অপর আসামী সাব্বির এখনও পলাতক।
এই মেহেদী হাসান মডার্ণ ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এক মাদক মামলার আসামি গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সম্প্রতি সে জামিনে ছাড়া পায় এবং এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। এছাড়াও একাধিক স্থেনে সে নানা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, মেহেদী হাসান মর্ডানের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এই বখাটে যুবক এই ধরণের অপকর্ম করে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ১৭ জুলাই গাইবান্ধা মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রি সাদিয়া সুলতানা তৃষাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মডার্ণসহ ৩ বখাটে তাকে ধাওয়া করে। এ সময় পুকুরে ডুবে তৃষা মারা যায়। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জেলা জজ কোটের তৎকালিন জেলা জজ ওই তিন বখাটের মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। পরে কারাভোগকালে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপীল বিভাগ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এই দীর্ঘ সময় কারাভোগের পর সে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়।
গাইবান্ধায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত
গাইবান্ধা :: শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীতে গাইবান্ধা শহরের শচীন চাকি সড়কে আদর্শ কলেজ সংলগ্ন শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে আজ রবিবার কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শঙ্খ, উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে আনন্দে মেতে ওঠে সকলে। আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। হয় সন্ধি পূজা। এ উপলক্ষ্যে রামকৃষ্ণ আশ্রম মিশন চত্বরে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। অন্যান্য ধর্মালম্বী মানুষও কুমারী পূজা দেখতে মন্দির প্রাঙ্গনে ভীড় জমায়। বেলা ১১টায় কুমারী পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শহরের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা পরিমল সরকারের ও পনি চাকির মেয়ে স্বেতশ্রয়ী (৮) কে নতুন বস্ত্রে দেবী সাজে সজ্জিত করে দেবী জ্ঞানে পুজা অর্ঘ্য নিবেদন করা হয় শচীন চাকি সড়কের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে। স্বেতশ্রয়ী শহরের একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। পূজা চলাকালে মুহুর্মুহু উলু ও শঙ্খধ্বনী বেজে উঠে। পুজা অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া শহরের ব্রীজ রোড দুর্গাবাড়ি শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমেও পৃথকভাবে কুমারী পুজা অনুষ্ঠিত হয়।