রবিবার ● ৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » রাজধানীতে প্রেসক্লাবের সামনে টাইমস্কেল বঞ্চিত শিক্ষকদের মানববন্ধন
রাজধানীতে প্রেসক্লাবের সামনে টাইমস্কেল বঞ্চিত শিক্ষকদের মানববন্ধন
ঢাকা প্রতিনিধি :: টাইমস্কেল বঞ্চিত বেসরকারী শিক্ষক ফোরামের নেতা মুহাম্মদ আবদুল হক বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্ত শিক্ষকগণ এমপিও ভুক্তির পর থেকে ৮ বছর পূর্ণ হলে সারাজীবনে মাত্র একটি টাইমস্কেল পেত। তাও আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন?
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ রবিবার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চতরস্কেল/টাইমস্কেল বঞ্চিত শিক্ষকরা অধিকার আদায়ের দাবীতে এসব কথা বলেন।
আবদুল হক আরও বলেন, ২০১৫-এ জাতীয় বেতন স্কেল এর ঘোষনায় অনুচ্ছেদ ৪ ও ৬ অনুযায়ী ১৪ই ডিসেম্বর, ২০১৫ইং তারিখের পরবর্তী সময়ে বেসরকারী শিক্ষকদের টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও উচ্চতর স্কেল বিলুপ্ত ঘোষনা করায় ন্যায্য অধিকার থেকে থেকে বঞ্চিত হয়েছেন হাজারো শিক্ষক। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবধরনের সুবিধাদি পেলেও বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বৈরি আচরণ কেন। বেসরকারী শিক্ষকদের অপরাধ কী? সারাজীবন চাকুরী করে একই স্কেলে চাকুরী থেকে বিদায় নিবে? তাহলে অভিজ্ঞতার মুল্যায়ন কোথায়?
মানববন্ধনে অংশ নেয়া আরেক শিক্ষক নেতা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আজ আমরা বৈষম্যের স্বীকার। সরকারী কর্মচারীগণ ৫% প্রবৃদ্ধি পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস, পূর্ণাঙ্গ বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা, ধোলাই ভাতা, শিক্ষা ভাতা, টিফিন ভাতা ও নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। অপরদিকে একই সিলেবাস বই পাঠদান করিয়ে হাজার হাজার শিক্ষক দু:শ্চিন্তাগ্রস্থ, হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। আর্থিক অনটনে ভুগছেন। টাইম স্কেল ছিল একটি মিমাংসিত বিষয়। এটা দীর্ঘদিন থেকে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী পেয়ে আসছিল। সেটা কেন বন্ধ করা হল? বিদ্যালয় ও কমিটির জটিলতার কারণে বহু প্রতিষ্ঠানে এমপিও হতে ১০/১২ বছর সময় লেগেছে, বি.এড করার অনুমতি পেতে আরো কয়েক বছর সময় লেগেছে। এরপর টাইম স্কেল পেতে আরও ৮ বছর পর অপেক্ষা করতে হয়। তাহলে অনেক শিক্ষক ২৭/২৮ বছর চাকুরীর পর যদি টাইম স্কেলটি না পায়, তাহলে এর চেয়ে জুলুম আর কি হতে পারে।
নেতারা বলেন, বেসরকারী শিক্ষকদের অবদানকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। একই সাথে চাকুরীতে প্রবেশ করে একই যোগ্যতা ও একই অভিজ্ঞতায় কেউ পাচ্ছেন ১৬,০০০/- টাকা আবার কেউ পাচ্ছেন ২২,০০০/- টাকা এ যে কী ধরনের বেদনার, যন্ত্রণার ও পীড়াদায়ক তা কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়। এটা ভুক্তভোগীরা ছাড়া অন্য কেউ বুঝবেনা। বেসরকারী শিক্ষকদের টাইম স্কেল তাদের বৈধ পাওনা, এটা তাদের কর্মের স্বীকৃতি, অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি এবং এটা তাদের জুনিয়র ও সিনিয়র নির্ধারণের মাপকাঠী।
আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন টাইমস্কেল বঞ্চিত বেসরকারী শিক্ষকরা সংখ্যায় খুব বেশী নয়। আমাদের দাবীকে আমলে নিয়ে আমাদের উপর ইনসাফ করা হোক। টাইমস্কেল বঞ্চিত শিক্ষকদের পাশে দাড়ান। আপনার হস্তক্ষেপ একান্ত ভাবে কামনা করছি।