রবিবার ● ৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বাঘাইছড়ি ও লংগদু দূর্গা পুজোমন্ডপ পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
বাঘাইছড়ি ও লংগদু দূর্গা পুজোমন্ডপ পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
রাঙামাটি :: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্ম-বর্নের মানুষ সহঅবস্থানে সরকার বিশ্বাসী। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার আনন্দ উৎসব সবার। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করে আসছে। এটা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে।
আজ রবিবার ৬অক্টোবর সকালে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীতে বিভিন্ন পুজামন্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
পুজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পদক মো. হানিফ, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মিত্র, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যকরি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর’সহ পুজা উদযাপন কমিটির সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্যব্যাক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বিএনপি, জামাত জোট সরকারের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। পুজা মন্ডপ ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি, জামাত জোট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এদেশকে একটি জঙ্গীরাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিল। বাংলার জনগন যখন তাদের সে নীল নকশা বুঝতে পারে তখন আবারো আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যাতে কোন দিন ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশ উন্নয়নে জোয়ারে এগিয়ে যাবে। এদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
মন্ডপ পরিদর্শনকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলার করেঙ্গাতলী শ্রী শ্রী হরি মন্দির, মারিশ্যা শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দির ও লংগদু উপজেলার শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ সেবাশ্রম মন্দিরের অসমাপ্ত কাজগুলো পরিষদ হতে পূর্ণাঙ্গভাবে করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।