মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন
বিশ্বনাথে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার ২৬টি (সার্বজনীন ২১টি ও ব্যক্তিগত ৫টি) মন্ডপে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনস্থ বাসিয়া নদীতে জানাইয়া, নতুন বাজার ও পুরাণ বাজার পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রমের শুরু হয়। এরপর একে একে উপজেলায় অনুষ্ঠিত সবকটি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
প্রতিমা বিজর্সনের সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নবেন্দু জ্যোতি দে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবদুল মতিন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি রুপক কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য নিশী কান্ত পাল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ, উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর দাশ শংকু, সাধারণ সম্পাদক কানু রঞ্জন দে, সদর সার্বজনীন পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি সুব্রত দে বাপ্পী, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সদস্য নূর উদ্দিন, সাংবাদিক আশিক আলী, রোহেল উদ্দিন প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।
সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন হওয়ায় প্রশাসন, এলাকার সাবেক-বর্তমান জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের উপজেলাবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন উপজেলা পূজা উপযাপন পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার পাল ও সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল বলেন, প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়েই বিশ্বনাথে উপজেলার ২৬টি মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা পূজা সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভ বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
কেক কেটে বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসোসিয়েশনের ১৩তম বর্ষপূর্তি পালন
বিশ্বনাথ :: কেক কেটে সিলেটের বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসোসিয়েশনের ১৩তম বর্ষপূর্তি ও ১৪ বছরে পদার্পন অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে এউপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেব অনুষ্ঠানে কেক কাটেন ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমেই আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের সন্তানরা যাতে মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত না হয় ও বেশি বেশি করে সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত থাকে সেজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক সংগঠনগুলোর পৃষ্টপোষকতায় এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া সামজিক সংগঠনের কার্যক্রম হিংস্বা-বিদ্বেষের পরিবর্তে ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি করে। তাই সমাজ হয় সুন্দর।
ডেফোডিল এসোসিয়েশনের সভাপতি এমদাদ হোসেন নাঈমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক বকুল আহমদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ থিয়েটারের সভাপতি আনহার আলী, বিশ্বনাথ উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম মোমিন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেল আহমদ খান ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া এবং বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য মোসাহিদ আলী, সোহেব আহমদ তফজ্জল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম আহমদ সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফয়েজ আহমদ সেবুল, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফয়ছল আহমদ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সদস্য নুর উদ্দিন, সাংবাদিক বদরুল ইসলাম মহসিন, যুবলীগ সায়েদ আহমদ, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিজিল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মিয়াদ আহমদ, মোস্তফা কামাল হিমেল, বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কাওছার আহমদ বাপ্পী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক পাবেল আহমদ, সদস্য সাহেদ আহমদ প্রিন্স, সাজন আহমদ, মিজানুর রহমান, আবদুল্লাহ দিদার, বিজয় দেব, ঝুমন আহমদ, শাহজাহান আলী, আবুল কালাম আজাদ, নূরুল ইসলাম, শেখ হৃদয়, রাসেল মিয়া, আশরাফুল আলম নবেল, সাবেল আহমদ খান, সতি সরকার, আবদুল হামিদ প্রমুখ।
৮মাসেও উদ্ধার হয়নি গাড়ি : বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব সভাপতির আবেগঘন স্ট্যাটাস
বিশ্বনাথ :: চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতির বাড়ির বসত ঘরের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে দুটি মোটরসাইকেল (ডিসকভার ১২৫ সিসি, রেজিঃ নং- সিলেট হ-১৪ ৪৫৪১ ও হিরো ১০০ সিসি, রেজিঃ নং- সিলেট হ-১৪ ৭৭১৮) চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এঘটনার পরদিন বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতানা আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা-২০)। মামলার প্রেক্ষিতে ওই দিন বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম’র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক সাজু, লিটন. রজন ও দিলিপ নামের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে দিলিপের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এবং অন্যরা বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে তারা স্বীকার করে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাড়ি থেকে ওই মোটরসাইকেল তারাই চুরি করেছে। এরপর গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করে। কিন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার ও ঘটনার রহস্য ঘটঘাটনের দীর্ঘ প্রায় ৮মাস পেরিয়ে গেলেও চুরি হওয়া ওই দুটি মোটরসাইকেল এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, গাড়ি উদ্ধার করতে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গত ৭ আগস্ট দিবাগত রাতে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমনের বাড়ি থেকে একই ভাবে তার মোটরসাইকেলটিও চুরি হয়। ঘটনার প্রায় ২ মাসের মাথায় গত ৬ অক্টোবর আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্য জেলা ছাত্রলীগ নেতা আনিসুল হক চৌধুরী নাঈম ও তার সহযোগী মুহিবুর রহমান মুহিবকে গ্রেফতার ও চুরি হওয়ার মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ। এই গাড়ি উদ্ধারের পরই বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন তার ফেসবুক আইডিতে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন। তার এ স্ট্যাটাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে।
পাঠকদের জন্য হুবহু সেই স্ট্যাটাসটি এখানে তুলে ধরা হলে-
‘ছবিটি একটু মিলিয়ে দেখুন। চুরের ছবি আর নেতাদের নামের বিলবোর্ড একটু খেয়াল করে দেখুন।
বিশ্বনাথ উপজেলা আ’লীগের সাংঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমনের মোটরসাইকেল চোর। ভাগ্যবান সুমনের গাড়ীসহ চোর আটক হয়েছে। কিন্ত আমার মোটররসাইকেল চুরি হওয়ার পর ৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো। তারা চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তিও দিলো। কিন্ত আজ পর্যন্ত আমার চুরি হওয়া গাড়ীর তদন্ত কর্মকর্তা এর অগ্রগতির বিষয়ে কিছু জানালেন না। আমাকে একটা ফোন দিয়ে সৌজন্যবোধটাও দেখালেন না।
এসপি (পুলিশ সুপার) সাহেবও বিষয়টি জানেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে তদন্ত কর্মকর্তাকে কড়া নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা বেচারা! হঠাৎ মাঝে মধ্যে দেখা হলে সুন্দর করে একটি হাসি দেন। আমিও তার হাসির মর্ম বুঝি, হাসি দেই। আশ্বাসে আশ্বাসে নিঃশ্বাস শেষ হয়ে যাবে মাগার তদন্তের চেষ্টা না থাকলে কি আর….।
আমি আর কাউকে আমার চুরি হওয়া গাড়ি উদ্ধারের বিষয়ে এখন আর কিছুই বলিনা। বলা যায় এ বিষয় তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। এখন আর বলতে লজ্জা হয়। কিংবা বলে কি লাভ ?
আমি বুঝতে পেরেছি। চোর তো চোরই। চোরের চেয়ে তার আশ্রয় দাতা প্রশ্রয় দাতাদের বিচার ইহজনম পরজনমে হবে ইনশাঅল্লাহ। শেষ বিচারের দিনে চোরকে তার গডফাদার আর কুশিলব’সহ আল্লাহর দরবারে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সবুর বা ধৈর্য্যই এখন আমার একমাত্র অবলম্ভন।
ভাগ্যবান আ’লীগ নেতা আব্দুল আজিজ সুমনকে তার চুরি হওয়া গাড়ী ফিরে পাওয়ায় অভিবাদন জানাই। সরকারী দলের নেতার গাড়ী চুরি করে কিভাবে পার পেয়ে যাবে চোর মহাশয়রা (!)
গাড়ী, শখের জিনিস বলে কথা।
বিঃদ্রঃ- ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ রাতে আমার বাড়ীর কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ২টি গাড়ী চুরি হয়। আর গাড়ী চুরির পর এটিই আমার প্রথম ফেবু ষ্টেটাস। কারো প্রতি এ বিষয়ে আমার অভিযোগ, বিরাগ নেই, অনুরাগ আর ভালবাসা আছে। তৎকালীন ওসি প্রিয় মানুষ শামসুদ্দোহা পিপিএম গাড়ী উদ্ধারের ব্যাপারে যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন সে জন্যে তার প্রতি হৃদয় অলিন্দ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিশ্বনাথের আমার সকল সতীর্থ, সহকর্মী সাংবাদিক সমাজ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই।