বুধবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » এএসআই বায়েজিদের বিরুদ্ধে মামলার বাদিকে হুমকির অভিযোগ
এএসআই বায়েজিদের বিরুদ্ধে মামলার বাদিকে হুমকির অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এ এস আই বায়েজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। আজ ৯ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের আহসানের ছেলে আনিচুর রহমান লান্টু। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে টাকা নিয়ে একটি মামলা চলে আসছিল। যা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা আদালতে বিচারাধীন। এরই জের ধরে গত ৭ অক্টোবর দুপুরে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মামলার বাদী আনিচুর রহমান লাল্টুর বাড়িতে যায়। সে সময় বায়েজিদ তার মোবাইল দিয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের পরিচয় দিয়ে লান্টুকে (০১৮১৬-২০৪৫৪২) মোবাইল নম্বরে জোর পূর্বক কথা বলতে বলে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের পরিচয় দেওয়া ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি লাল্টুকে আগামি কাল ১১টার মধ্যেই মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে মাদকসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। সেই সাথে মাদক দিয়ে ক্রয় ফায়ারের ভয়ভীতি দেখায়। পরের দিন দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানার সামনে অবস্থান করা কালে লাল্টুর মোবাইল ফোনে আবারো ওই নম্বর থেকে পুনরায় হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন। কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমার এমন কোন নাম্বার নেই। ভূয়া পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে এই কাজটি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই বায়েজিদ হোসেন বলেন, আমি একটি ট্রাপে পড়েছিলাম। আমার মোবাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম স্যারের পরিচয় দিয়ে লাল্টুর সাথে কথা বলতে চান। তাই আমি আমার ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলায়ে দিয়েছি। তাদের মাঝে কি কথা হয়েছে তাও আমি জানি না। সংবাদ সম্মেলনে, ভুক্তভোগীর স্বজন আরজান আলী, ইমদাদুল হক, মিলন আলী বিশ্বাস ও তানিয়া আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। আজ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। জেলার সংসদ সদস্যরা আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। সন্ত্রাসী ও পেটুয়া বাহিনী দিয়ে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপির পৌরসভাপতি সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কোটচাঁদপুরে নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার আবেদন করেও কোন ফল মেলেনি। তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা না দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম মশিয়ুর রহমান, সদস্য সচিব এম এ মজিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুস্তুম আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তারসহ, জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে নেই ভ্যাকসিন : এক মাসে সাপে কেটে ১০ জনের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: বর্ষা মৌসুমে সাপের উৎপাত বৃদ্ধি পেলেও ঝিনাইদহের সরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে নেই এন্টিভেনম ভ্যাকিসিন। ফলে সাপে কাটা রোগীরা অকাল মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে নিচ্ছে অপচিকিৎসা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে গত এক মাসে সাপের দংশনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে একের পর এক বিষধর সাপে কেটে মানুষ মারা গেলেও জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কোন এন্টিভেনম বা প্রতিষেধক ভেকিসিন নেই। ঝিনাইদহের ৬ উপজেলার মধ্যে সব থেকে বেশি সাপে কেটে মারা যাওয়া উপজেলা হচ্ছে শৈলকুপা। সম্প্রতি শৈলকুপায় এক পরিবারের দুই সহোদর সাপের কামড়ে মৃত্যু হলে এন্টিভেনম ভ্যাকসিনের দাবী শৈলকুপায় নানা পেশার মানুষ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন। জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এন্টিভেনম ভ্যাকসিন প্রদান করলেও সংরক্ষণ এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এন্টিভেনম ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সাপে দংশন করলে এখন প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফরিদপুর অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে রামজান আলী (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। সে উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামে মৃত ভাগাই সরদারের ছেলে। এর আগে ৩ অক্টবর ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিষাক্ত সাঁপের ছোবলে বগদিয়া গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে হাসান উদ্দিন (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ভানুমতি বিশ্বাস, ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শাহিন হোসেন (৩২) ও তার ছোট ভাই সোহাগ হোসেন, ১৬ সেপ্টম্বর সোমবার একই উপজেলার যুগনী গ্রামে বিলকিস বেগম (৩২), ৬ সেপ্টেম্বর কোটচাঁদপুরে মরিয়ম খাতুন, ৩ সেপ্টেম্বর শৈলকুপার মাধবপুর গ্রামে স্বরুপ কুমার বিশ্বাস, ২১ আগষ্ট সদর উপজেলায় পলিয়ানপুর গ্রামে সাকিব হোসেন ও ২৯ মে ঝিনাইদহের আব্দুস সোবাহান (৪৫) সাপের কামড়ে মারা যান। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার প্রসেনজিত বিশ^াস পার্থ জানান, সাপে কাটার ভ্যাকসিন সহজলভ্য না। আমাদের দেশে সাপের এন্টিভেনম উৎপাদন হয় না। বাইরের দেশ থেকে আনা হয়। বাংলাদেশী ওষুধ কোম্পানী ইনসেপটা এন্টিভেনম বাজারজাত করলেও চড়া দরের কারণে ওষুধ ব্যবসায়ীরা ফার্মেসীতে তা রাখে না। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ১০ সেট এন্টিভেনম আছে। তবে, ভ্যাকসিন থাকলেও অভিজ্ঞ নার্স ও ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে। এছাড়া সাপে কাটা রোগীদের শেষ সময়ে হাসপাতালে আনা হয়। যে কারনে বেশিরভাগ সময়ই সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাক্তার সেলিনা বেগম জানান, আমাদের দেশে ২০ ভাগ মানুষ বিষধর সাপের দংশনে আক্রান্ত হয়। বাকি ৮০ শতাংশ মানুষ সাধারন সাপের কামড়ের স্বীকার হয়। এরমধ্যে অনেকে ভয়ে স্ট্রোক করে মারা যায়। তবে সাপে কামড়ানোর পর ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে আনলে সহজে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়।
আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ঝিনাইদহ :: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের কলাবাগান মোড় থেকে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এইচ এস এস সড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম এ মজিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদুর রহমান সাহেদ, ছাত্রদল নেতা বকতিয়ার, বাবু, মাহবুব হোসেন মিলু, আসিফ কামালসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা, আবরার ফাহাদ হত্যার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্রত বিচারের দাবি জানান।