শনিবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক(সম্মান) লেভেল-১ কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ ১২ অক্টোবর শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ‘ক’ গ্রুপের (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত সময় সকাল ১০ টা থেকে ভর্তি পরীক্ষা আরম্ভ হয়ে একটানা বেলা ১টায় শেষ হয়। অপরদিকে বিকেল ২:৩০ মি. থেকে ৪:৩০মি. পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপের (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ) মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১২টি বিভাগে ভর্তির জন্য নিয়মিত ৮৯০ আসনের (১১ টি উপজাতি কোটাসহ সর্বমোট ৯০১ আসন) বিপরীতে মোট ১০ হাজার ৯৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এদিকে ভর্তি পরীক্ষার দিন সকাল ১১টায় চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি-২০১৯ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থা, প্রশাসন এবং চুয়েট পরিবারের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সকলের
সহযোগিতা মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। সেজন্য আমি চুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা ও মুক্তহস্ত অংকন দুই পর্বে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ইঞ্জিনিয়ার বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ নিয়ে ‘ক’ গ্রুপ। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে ‘খ’ গ্রুপ। ‘ক’ গ্রুপে অংশগ্রহণকারীরা সকালে তিন ঘন্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে ‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষার্থীরা সকালে তিন ঘন্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি বিকেলে দুই ঘন্টাব্যাপী মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলসহ ভর্তি সম্পর্কিত যাবতীয় নির্দেশনা ও তথ্য-উপাত্ত চুয়েটের ওয়েবসাইটে (http://www.cuet.ac.bd/admission A_ev
http://student.cuet.ac.bd/admission2019) পাওয়া যাবে।
জাল সার্টিফিকেট তৈরি কারিগর আটক
রাউজান :: প্রযুক্তির যতো উন্নত হচ্ছে দিন দিন বেড়ে চলছে নানা রকমের অপরাধ যুক্ত কাজ। শুধুই কি তাই পড়াশোনা না করে ভূয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে রাতারাতি অর্জন করে নিছে এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্স এর মতো ডিগ্রি যুক্ত সার্টিফিকেট! এতে দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ও অগ্রগতি মান দিন দিন ছোট হয়ে পড়েছে। তাঁদের সাথে যুক্ত হয়েছে কিছূ অসৎ লোক যারা এসব ভূয়া সার্টিফিকেট দারি লোকজনকে চাকরি দিতে নানা কাজে সহযোগিতা করেন। আর এর জন্য দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে কোনো চাকরি হচ্ছেনা। এতে বাড়ছে বেকারত্ব। এছাড়াও কিছু কম্পিউটার প্রিন্টের দোকান রয়েছে তাদের কাজ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সব এডুকেশন সার্টিফিকেট, সনদপত্র, জম্মনিবন্ধসহ সবকিছু জাল স্বাক্ষর ও সীলমোহর আসল কপির মতো কাজ তরে দিয়ে বানিয়ে দিতে পারে। অফিস আদালতে এসব বানানো কাগজপত্র বুঝা মুশকিল আসল নাকি নকল। কেউ এসব সার্টিফিকেট চ্যালেঞ্জ করলে হয়তো বা ধরা পরে আসল কিংবা নকল। তা নাহলে জাল কাগজপত্র দিয়ে চলে নানা কর্মকান্ড। তবে ওরা সংখ্যায় কতজন জানা না গেলেও ওদের দলের দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে রাউজান থানা পুলিশ। জানা যায়, গত (১০-অক্টোবর) রাতে পৃথক অভিযানে নগরীর দুটি দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত জাল সনদ কারবারি হলো রাউজান উপজেলার উরকিচর ইউনিয়নের আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মাদ মাহাফুজ (৩৬) ও পূর্ব মাদার বাড়ি এলাকার মৃত জাফর আহম্মদের পুত্র রাজু আহম্মদ হিরু (৩২)। একজনকে মোহরা গোলাপের দোকান তমা প্রিন্টার্স থেকে অপরজনকে মাদারবাড়ি নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান জাল সনদসহ ব্যবহৃত কম্পিউটার, প্রিন্টিং মেশিন, লেমিনেশন মেশিন উদ্ধার করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ ও এসআই কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ারসহ একদল চৌকস পুলিশ সদস্য। রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ জানান উরকিচর ইউনিয়নের অপ্রাপ্ত বয়সী কন্যার জম্মনিবন্ধে স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুর জব্বার সোহেলের জাল স্বাক্ষর করে প্রাপ্ত বয়স বানানোর ঘটনায় পুলিশের জালে আটকা পরে এসব মূল হোতারা। তিনি জানান উরকিচর ইউনিয়নে আবুল করিম ও নাদিয়া আলম নামে একটি বিয়েতে জম্ম নিবন্ধন নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এই বিয়ের নকল জম্ম নিবন্ধন করে তারা ফেঁসে যায়। এই জম্ম নিবন্ধ সোহেল চেয়ারম্যান চ্যালেঞ্জ করলে তলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের আজ ১২ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানান।
গলায় বাদাম আটকে শিশুর মৃত্যু
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বাদাম খাওয়ার সময়ে অমৃতা দে (৩) নামের এক শিশু কন্যার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত (১০-অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গহিরা এলাকার সুলতানপুর জগৎমল্লা পাড়া ৪নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ঐ শিশু উজ্বল দের মেয়ে। জানা গেছে, বাদাম খাওয়ার সময়ে অসাবধানতা অবস্থায় তার গলায় বাদাম আটকে যায়। তার মা বাদামটি বের করার অনেক রকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে পরে জে.কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাউজানে এতিমখানার ১৪০ শিশু অর্ধ অনাহারে
রাউজান :: পাঁচখাইন মহিউল উলুম এতিমখানা ও হেফজখানার ১৪০ এতিম মানবেতর জীবণ যাপন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্ন মানের খাওয়ার ও অপরিমান খাওয়ার প্রদানসহ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ অক্টোবর সরেজমিন পরিদর্শন কালে নানা অনিয়মের চিত্র দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন ও এতিম ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সাপ্তাহ যাবত এতিম খানায় কোন লোকজন নেই এখানে। রান্না করার বাবুচি দিয়ে দেখ ভালোর ব্যবস্থা রেখে উদাও হয়ে যায় দায়িত্বশীল কর্তারা।এতিম খানার সুপার থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। মাসে মাসে আসেন হিসার নিকাশ করে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। মহিউল উলুম এতিমখানা ও হেফজখানা সংলগ্নে রয়েছে হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) একটি মাজার। মাজারের দানবাক্সে ভক্তদের দেয়া চাঁদা জমা হয় প্রায় ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। ঐ টাকা এতিমদের জন্য দীর্ঘ দিন যাবত ব্যয় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে কিছু টাকা ব্যয় করলেও বাকী সব টাকা চলে যায় সুপারের পকেটে। উপজেলা সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, মহিউল উলুম এতিমখানা ও হেফজখানার জন্য ৭০জন সরকারের ক্যাপিটাল গ্র্যান্ড প্রাপ্ত এতিম সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়া স্থানীয় সমাজ সেবক আবদুল সালাম প্রতিবছর এক’শ বস্তা চাউল দিয়ে থাকে। তিনি বর্তমানে দিচ্ছে ৪০ বস্তা চাউল। এছাড়া প্রতি সাপ্তাহিক এতিমদের দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় উঠানো হয় চাউল ও অর্থ। এতিমের জন্য প্রায় সময় সমাজের বৃক্তশালীরা দাওয়া দিয়ে থাকে। তারপরও কেন অর্ধ অনাহারে থাকতে হয় এতিম এসব শিশুদের।
এতিম শিশু মো. জাহেদুল আলম জানান, খাবার দেয়া হয় খুবই অল্প। ভাতের সাথে কোন সময় সবজী আবার কোনদিন ডিম দেয়া হয়। সেই জানায় আজ শুধু কদু সবজী দিয়ে ভাত দিয়েছে। পেট ভরে খেতে পারি না। একই ভাবে এতিম ইয়াছিন আলী, ফরিদুল ইসলাম, সাকিবুল ইসলাম জানান, আমরা পেট ভরে খেতে চাই। আমাদের খাবার দিন। আমরা খুবই কষ্টে জীবণ যাপন করছি। দায়িত্বে থাকা একজন শিক্ষক মোহাম্মাদ রেদোয়ান জানান, তিনি একাই সামলান ১৪০ শিশুকে। প্রশ্ন হচ্ছে ১৪০ জনকে একজন দিয়ে দেখ ভাল কতটা যুক্তিযুক্ত। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল খালেক মেম্বার জানান, এতিমরা মানেবেতর জীবণ যাপন করছে শুনে আমি বার বার ছুটে আসি এতিমখানায়। পরিচালনা পরিষদের সাথে এই নিয়ে অনেকবার বাগবিতণ্ডা হয়েছে। আসলে তারা টাকার লোভে এতিমখানা খুলে এতিমের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারি যে অর্থ আসে, সে অর্থ দিয়ে ৫০০ এতিমের ভরণ পোষণ করা যায়। এতিম খানার অনিয়ম সম্পর্কে স্থানীয় চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়া জানান, এতিমখানার অনিয়ম ও এতিমদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা শুনেছি। যারা অর্পিত দায়িত্ব নিয়ে এতিমদের অবহেলা করে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। তিনি বলেন প্রশাসন যদি মনে করে এতিমখানাটি ইউনিয়ন পরিষদের আওলতায় নিয়ে আসতে তাহলে আমি সুন্দর ভাবে পারিচালনা করতে পারি।