সোমবার ● ১৪ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » মানবতাবিরোধী অপরাধ : গাইবান্ধার ৫ আসামির রায় মঙ্গলবার
মানবতাবিরোধী অপরাধ : গাইবান্ধার ৫ আসামির রায় মঙ্গলবার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার পাঁচ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায়ের জন্য দিন ঠিক করে।
আসামিরা সবাই গাইবান্ধা সদর উপজেলার নান্দিনা ও চক গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। একাত্তরে তারা সবাই ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী অথবা সমর্থক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়ে তারা রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান এবং ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যুদ্ধাপরাধ ঘটান।
আসামিরা হলেন- মো. রঞ্জু মিয়া, আবদুল জব্বার ম-ল, মো. জাসিজার রহমান খোকা, মো. আবদুল ওয়াহেদ ম-ল ও মো. মমতাজ আলী বেপারি ওরফে মমতাজ। তাদের মধ্যে কেবল রঞ্জু মিয়া কারাগারে আছেন। বাকিরা সবাই পলাতক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশেত্যাগে বাধ্য করা ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এর আগে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গত ২১ জুলাই মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন মোখলেসুর রহমান বাদল। কারাগারে থাকা একমাত্র আসামির পক্ষে এবং পলাতক আসামিদের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন মোহাম্মদ আবুল হাসান।
উল্লেখ্য,এ মামলায় মোট আসামি ছয় জন। তাদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মামলার তদন্ত চলাকালে মারা যান। ২০১৮ সালের ১৭ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বাকি পাঁচ আসামির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
গাইবান্ধায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনি
গাইবান্ধা :: ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো’ এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আজ সোমবার শিশু একাডেমি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপি এই কর্মসূচি পালন করে।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন।
পুরস্কার বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই পারবে এদেশকে সুন্দর সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে। সুতরাং শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুদের মানসিক ও শারীরিক উৎকর্ষ সাধনের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে সাতদিনব্যাপি অনুষ্ঠিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, শিশু সমাবেশ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আইডিয়াল কেয়ার মাদ্রাসা, “আমার কথা শোন”, এতে মতবিনিময় ও শিশুরা নিজেদের কথা ব্যক্ত করে। এছাড়া কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও দেশের গানের প্রতিযোগিতা, অটিস্টিক ও বিশেষ চাহিদা স¤পন্ন শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সরকারি শিশু পরিবার বালকে পথ শিশু, শ্রমজীবী শিশু, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রারম্ভিক শৈশব বিষয়ক শিশুদের খেলাধুলা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।