বৃহস্পতিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » নারায়ণগঞ্জে অপ-চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে অপ-চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত কথিত স্বাস্থ্যকর্মী জেসমিন আক্তার মুক্তি’র অবৈধ ক্লিনিক সীলগালা করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার সন্ধায় সিটি কর্পোরেশনের স্যানেটারী ইন্সপেক্টর শাহাদাৎ হোসেন স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে সীলগালা করেন। এদিকে জেসমিন আক্তার মুক্তিকে বাঁচাতে একটি দালাল চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত তারা লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
সূত্র মতে,জেলার বন্দর থানাধীন ২০নং ওয়ার্ডের মাহমুদনগর এলাকার কামরুল হাসানের প্রসূতি স্ত্রী মুন্নী বেগমকে মঙ্গলবার বেলা ২টায় বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার কথিত নার্স জেসমীন আক্তার মুক্তির নামধারী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাতে গৃহবধূর প্রসব বেদনা দেখা দিলে নার্স জেসমীন তাকে হোমিওপ্যাথিক অষুধ আনার পরামর্শ দেন। জেসমীনের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর স্বজনরা হোমিওপ্যাথি অষুধ খাওয়ার পর রোগীর অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে ওঠে। এ সময় ক্লিনিক প্রধাণ জেসমীন ও তার সহযোগীরা প্রসূতিকে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের চেষ্টায় কাপড় দিয়ে শিশুটির মাথায় টানাটানি করলে এক পর্যায়ে গৃহবধূর নাড় ছিঁড়ে গেলে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় বের করে। ওই মুহুর্তে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক হয়ে উঠলে স্বজনরা তাকে ধরাধরি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো ব্যবস্থা করে।
খবর পেয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল কাদির, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর শাহাদাৎ হোসেন ও বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যকর্মী জেসমীনের বিরুদ্ধে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।