শিরোনাম:
●   জয়পুরহাটে কাপড় ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার ●   পার্বতীপুরে সিয়াম ফুটবল গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে চুরি ও ডাকাতি মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার ●   চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারসহ গ্রেফতার-৪ ●   রাউজানে চার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ●   এনসিটিএফ রাঙামাটির বার্ষিক সাধারণ সভা ●   ঈশ্বরগঞ্জে সুজনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ●   ছোটহরিণায় ১২ বিজিবি এর টহলদলের অভিযানে ১০৭৪ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার ●   জয়পুরহাটে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন ●   সদ্য পুনর্গঠিত খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ●   রাঙামাটিতে সুজনের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ●   ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে ●   রাউজানে মাদ্রাসা শিক্ষাকের লাশ উদ্ধার ●   হত্যা মামলার পলাতক আসামি অন্তর্বর্তী রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য, ওসি বললেন কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো ●   সাংবাদিকদের সাথে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের মতবিনিময় ●   পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক মিটন চাকমাকে হত্যার ঘটনায় চার সংগঠনের নিন্দা ●   আজ শপথ নিলেন আরও তিন উপদেষ্টা ●   কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া জরুরী : সুপ্রদীপ চাকমা ●   পানছড়িতে সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ এর সংগঠক মিটন চাকমা হত্যার নিন্দা ●   ঘোড়াঘাটে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু ●   শহীদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র মঞ্চের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ●   ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে কাউখালী থেকে প্রতিনিধি অন্তভূক্ত করা না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারী ●   ট্রাম্প বা মোদিকে নিয়ে গণহত্যার অপরাধী আওয়ামী লীগের পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ নেই ●   কাপ্তাই লেক পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটাবে : সুপ্রদীপ চাকমা ●   যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পেলো মিরসরাই সমাজকল্যাণ যুব সংস্থা ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী সমন্বয়কের দায়িত্বে ●   খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে প্রথম নারী চেয়ারম্যান ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস অনুষ্ঠিত ●   এফপিএবি রাঙামাটি শাখার নির্বাচন-২০২৪ সম্পন্ন : সভাপতি সাহিদা আক্তার ও কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম নির্বাচত ●   রাঙামাটি জোনের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার : গ্রেফতার-৪
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ২০ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » স্মৃতির বিদ্যাপীঠ মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৭৫ বছর পুর্তি উত্‍সব
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » স্মৃতির বিদ্যাপীঠ মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৭৫ বছর পুর্তি উত্‍সব
বুধবার ● ২০ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

স্মৃতির বিদ্যাপীঠ মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৭৫ বছর পুর্তি উত্‍সব

---

প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল ::স্মৃতির বিদ্যাপীঠ সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৭৫ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে হীরক জয়ন্তী উত্‍সব ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উত্‍সবের উদ্বোধন করবেন৷ আর এই উত্‍সবকে ঘিরে এই বিদ্যাপীঠ যেন অফরুপ সাজে সেজে উঠেছে৷ ‘দিনগুলো মোর সোনার খাচায় রইল না, সে যে আমার নানান রঙ্গের দিনগুলো’ কবিগুরুর এ আহবান যেন আজ চিরস্মরনীয়৷ সময়ের পালা বদলের সাথে সাথে মানুষের জীবনের ঘড়ি পরিবর্তন হলেও এমন কিছু স্মৃতি আছে যা মানুষকে আরো অতীতের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কিছু স্মৃতিময় মুহুর্ত বা ঘটনা বিদ্যমান থাকে ৷ সেটা হতে পারে শৈশব জীবনে, হতে পারে ব্যক্তি জীবনে, হতে পারে স্কুল-কলেজ জীবনে, হতে পারে শিক্ষা গ্রহনের উচ্চতর বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে৷ আমার স্মৃতিময় সেই বিদ্যাপীঠ যাকে ঘিরে আমার জীবনের সুদূর প্রসারী স্বপ্ন, চিন্তা-চেতনা ও ভবিষত্‍ত পরিকল্পনার মহা সমন্বয় পরিবেষ্টিত সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ৷
যে শিক্ষা প্রতিষ্টান দেশের বানিজ্য বিষয়ের জন্য সেরা ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের মাঝে একটি৷ এইচ এস সি অধ্যয়নরত অবস্থায়ই স্বপ্ন দেখতাম সেই স্মৃতির বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করার৷ যেই ভাবা সেই কাজ ১৯৯৭ সালে বানিজ্য বিভাগে এইচ এস সি পাশ করার পরই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পালা৷ বানিজ্য বিভাগে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য ব্যাপক উত্‍সাহ উদ্দীপনা দিয়েছিলেন নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রফিক স্যার ৷ একদিকে তিনি বানিজ্য বিভাগে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের উত্‍সাহ দিলেও অন্যদিকে হিসাব বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশোন করলে মাথার চুল পড়ে যাওয়ার ভয় ও দেখিয়েছিলেন৷ যে ভয় আমাকে হিসাববিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার জেদ আরো অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল৷ অপেক্ষার পালা শেষ, এবার বাস্তবায়ন ৷ ১৯৯৭ সালে বানিজ্য বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে এইচ এস সি পাশ করার পর বি,কম (সম্মান) বিষয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করলাম স্বপ্নের সেই শিক্ষা প্রতিষ্টান সিলেটর ঐতিহ্যবাহী মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে৷ মেধা তালিকার চান্সও পেয়ে গেলাম ঠিক মতোই৷ নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে চলে যেতে বাধা হয়ে দাড়ালেন নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ৷ তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন বি,কম পাস কোর্সে নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজেই পড়তে হবে৷ কিন্তু আমার একান্ত নাছোরবান্দা ইচ্ছার কাছে সেই বাধাঁ অতিক্রম করে সিলেটে ভর্তির সুযোগ অবশেষে বাস্তবায়ন হলো৷ মেধা তালিকায় চান্স পাওয়ায় কলেজ কতর্ৃপক্ষের পরামর্শে প্রথমে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তি হলাম সেই কাংখিত বিদ্যাপীঠ সিলেটের মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে৷ কলেজের অধ্যক্ষ তখন নজরুল ইসলাম স্যার৷ সাথের বেশিরভাগ বন্ধু-বান্ধবী হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হওয়ার কারনে ৩ মাসের মাথায়ই আমাকে ব্যবস্থাপনা ছেড়ে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে যেতে হলো৷ প্রথম অবস্থায় সিলেটর অলিগলি সব না চিনলেও করের পাড়া শ্রীহট্র সত্‍সঙ্গ বিহারে শুরু হয় সিলেটর অধ্যয়ন জীবন৷ প্রথম দিকে ক্লাস লামা বাজার ক্যাম্পাসে শুরু হয়৷ ভালই লাগে জীবনের উচ্চ শিক্ষার নতুন বিদ্যাপীঠ৷ ছাত্র রাজনীতি এই শিক্ষা প্রতিষ্টানে খুবই সরগরম অবস্থান থাকলেও একটি ছাত্র সংগঠনে শুধু নাম লিখিয়ে দুরত্ব বজায় রেখেই চলতাম সব সময়৷ সাথের কয়েক সহপাঠী লামা বাজার ক্যাম্পাসের পাশে কলেজ হোষ্টেলে মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া করতাম৷ এছাড়া রিকাবী বাজার পয়েন্টের আনোয়ারা রেষ্টুরেন্ট বসে আড্ডা মেরে অনেক সময় অতিক্রম করেছি৷ ফাষ্ট ইয়ার শেষ করার পূর্বেই আমাদের কমার্স ফ্যাকাল্টি আলাদা হওয়ার কারনে ক্লাস পরিবর্তন হয়ে তারাপুর চা বাগানের পাশে অপরুপ সৌন্দর্য্যের লীলাভুমি পাহাড়ী পরিবেশে গড়া উঠা রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে তারাপুর কমার্স ফ্যাকাল্টিতে চলে যায়৷ সেখানে যেন সবুজের সমারোহ প্রকৃতির ছায়াঘেরা আরো নতুন পরিবেশ৷ ক্লাসের ফাকেঁ গিয়ে পাহাড়ী পরিবেশে ঘুরতাম বন্ধু-বান্ধবী মিলে৷ মনে পরে আজও সেই সুকেশ, বিশ্বজিত, মিলন, অবিনাশ, প্রানেশ, ফরিদ, আরতি, শিল্পী, বীনা, জলি, ঝুমা সহ আরো অনেক বন্ধু-বান্ধবীদের কথা৷ যারা একসাথে তারাপুর নতুন ক্যাম্পাসে ক্লাসের ফাকেঁ প্রায়ই চা বাগানের সুনিবিড় পরিবেশে বসে আড্ডা মারতাম৷ স্রোতের টানে সময় ও গড়িয়ে যায় ৷ দেখতে দেখতে ২য় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ফেলি আমরা৷ সময় ২০০১ সালে ২০ শে ফ্রেব্রুয়ারীর কথা৷ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়৷ প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে শিক্ষা সফর যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকুল না হওয়ায় কারনে ৭ দিনের শিক্ষা সফর সংক্ষিপ্ত করে ৫ দিরে করা হয়েছে এমনকি কয়েকটা তারিখ ও পরিবর্তন করা হয়েছে৷ অবশেষে ৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে আমাদের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রদীপ কুমার দে সহ আরো কয়েকজন স্যারের নেতৃত্বে দর্শনীয় স্থান ভ্রমনের জন্য সিলেট থেকে ট্রেন যোগ রওয়ানা হই৷ সিলেট থেকে চট্টগ্রাম শহরে ভালভাবেই পৌছি৷ সেখানে চট্টগ্রাম,পতেঙ্গা, বায়েজীদ বোস্তামীর মাজার, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, ওয়ার সিমেট্রী পার্ক, কঙ্বাজার, রাঙ্গামাটি শহর, ঝুলন্ত ব্রীজ, রাজবাড়ী বিহারসহ আরো অনেক ভ্রমন উপযোগী জায়গা ঘুরে দেখি৷ প্রথমে রাজনৈতিক পরিস্থিকে ভয় পেয়ে রওয়ানা হলেও আনন্দদায়ক ভ্রমনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে নাই৷ শিক্ষা সফরে ঘুরে মনে হলো বাংলাদেশ যে এত অপরুপ সৌন্দর্য্যের লীলাভুমি তা যেন এতদিন আমাদের অজানাতেই ছিল৷ সকলে মিলে সুস্থ ও হাসিখুৃশিভাবেই সকলে আবারও সিলেট ফিরে আসি৷ আনন্দদায়ক এই ভ্রমনে জীবনের অনেকটা নতুন মাত্রা যোগ হলো সেই শিক্ষা সফর৷ দেখতে দেখতে কিভাবে যে কেটে গেল মদন মোহন কলেজের অনার্স কোর্সটা তা যেন টেরই পাওয়া গেল না৷ অনার্স কোর্স শেষ করেই অনেক বন্ধু বান্ধবী প্রয়োজনের টানে অন্যান্য জায়গায় চলে যাওয়ার কারনে সেই দীর্ঘদিনের একটি বন্ধুত্বের বাধনে যেন কিছুটা ভাটা পড়ে গেল৷ পরবতর্ীতে মাষ্টার্স কোর্স সেটা তো এক বছরের একটা ছোট কোর্স তাই খুব তাড়াতাড়ি যেন ছাত্রত্ব চলে যাওয়ার জন্য অবশেষে সেটা শেষ হয়ে গেল ৷ যাই হোক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জীবনের ইতি টেনে যেন সকল বন্ধু-বান্ধব বাস্তব জীবনের তাগিদে যার যার মত করে সুবিধাজনক স্থানে ও কর্ম জীবনে মনোনিবেশের চেষ্টায় হুমড়ি খেয়ে বসল৷ কাংখিত শিক্ষা প্রতিষ্টান ছেড়ে চলে যেতে মন না চাইলেও কি আর ছাত্রত্ব ধরে রাখা যায়৷ তখন কবিগুরুর কথায় আবারো যেন সবাই সুর মিলাতে ইচ্ছা করছিল’ যেতে নাহি দিব হায়,তবু যেতে দিতে হয়,তবু চলে যায়’ ৷ ছাত্র জীবনের শুরু থেকে নজরুল ইসলাম স্যারকে প্রতিষ্টান প্রধান হিসাবে পেলে ও পরবতর্ীতে আতাউর রহমান পীর স্যার,কৃপাসিন্ধু পাল স্যার এবং সর্বশেষ বর্তমানে যিনি প্রতিষ্টান প্রধান হিসাবে আসীন কলেজের সকল শিক্ষাথর্ীদের প্রিয় স্যার ড. আবুল ফহেত ফাত্তাহর আন্তরিক নেতৃত্বে এ শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার মান দিন দিন অগ্রগতি হয়ে চলছে৷ এছাড়া ঐতিহ্যবাহী সেই প্রতিষ্টান থেকে জ্ঞান অর্জন করে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেৃতৃত্বদানকারী কত জ্ঞানীগুনী যে সমহিমায় প্রতিষ্টিত হয়ে েশিক্ষা প্রতিষ্টানের অবদানকে আরো সমুন্নত করেছেন তার কোন ইয়াত্তা নেই৷ তাই আমি ও নিজিকে ধন্য মনে করছি যে লক্ষ্যে ও প্রত্যাশা নিয়ে প্রাণের সেই প্রিয় বিদ্যাপীঠে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পরিবার পরিজন ছেড়ে গিয়েছিলাম জ্ঞান আহরনের জন্য সেই ইচ্ছা আমার পূর্ন হয়েছে সঠিকভাবেই৷ কিন্তু তবুও যেন বার বার মনে হচ্ছে যে আরো কিছুদিন যদি সেখানে অধ্যয়ন করে কাটানো যেত তাহলে নিজেকে আরো বেশী সমৃদ্ধশালী মনে হতো৷ যাই হোক তবু ও জীবনে যতদিন বেচেঁ থাকা হবে ততোদিন সেই প্রতিষ্টানের স্মৃতিকে লালিত করব মনের অতল গহিনে মাধুরী মিশিয়ে এই হবে ভবিষত্‍ অঙ্গীকার৷ তবে আজকের যারা এ স্বনামধন্য প্রতিষ্টান এ বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষাথর্ী তারা ও কালের আবর্তনে কদিন পর কোর্স শেষ করে চলে যেতে হবে৷ কিন্তু স্মৃতি তো আর ইচ্ছা করলেই মনের অতল গহিন থেকে ফেলতে পারবে না৷ কারন যে প্রতিষ্টান উচ্চ শিক্ষ দেয় যে প্রতিষ্টান জীবনের সঠিক পথের গতি দেখায় সে প্রতিষ্টানের প্রতিটি মুহুতই জীবনের অবিস্মরনীয় হয়ে থাকে৷ আজকের যারা শিক্ষাথর্ী,অভিভাবক ও জ্ঞানের আলো বিকশিতকারী শিক্ষক মন্ডলী রয়েছেন তারা যেন স্মৃতির সেই বিদ্যাপীঠকে অতীতের সুনাম ও ঐতিহ্যকে অনুসরন করে আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারেন সেই প্রত্যাশা থাকল নিরন্তর৷
পরিশেষে এ শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী,বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষত্‍তে যারা এ শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে জ্ঞান অর্জন করবেন এবং যারা শিক্ষার আলো ছড়াবেন তাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলবঃ ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট,বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা,দেখা হবে বিজয়ে” ৷

লেখক প্রভাষক হিসাব বিজ্ঞান, প্রাক্তন ছাত্র, বি,কম(অনার্স),এম,কম হিসাব বিজ্ঞান
মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,সিলেট৷
মোবাইলঃ০১৭১২-৮৫১৮৫০

ই- মেইল : [email protected]

আপলোড : ২০ জানুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : বেলা ১২.১০ মিঃ





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে
মহান মে দিবস ও  শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম মহান মে দিবস ও শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)