বুধবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » মাসের পর মাস ভারপ্রাপ্ত ওসি দিয়ে চলছে ঝালকাঠি সদর থানা
মাসের পর মাস ভারপ্রাপ্ত ওসি দিয়ে চলছে ঝালকাঠি সদর থানা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি’র মত গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ঝালকাঠি জেলা শহরের সদর থানার প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে আইনী সেবা প্রদানে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন কে কোন অদৃশ্য কারনে বদলি করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। এরপর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ওসি (তদন্ত) আবু তাহের মিয়া।
ঝালকাঠি থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন কে গত ২ সেপ্টেম্ব বদলি করে অন্যত্র দেওয়া হলে। এরপর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ওসি (তদন্ত) আবু তাহের মিয়া।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন,ঝালকাঠি সদর থানায় কোন ঘটনা নিয়ে যাওয়ার পর ডিউটি অফিসাররা বলেন,ওসি স্যার কে আগে বলেন, তারপর আমরা ব্যাবস্থানিবো। ওসি আবু তাহের মিয়ার কাছে যাওয়ার পর পুরো ঘটনা খুলে বলারপরেও সে সোজা বলে দেয় আপনি কোর্টে একটি মামলা করেন। এরপর আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখবো।
এক ভুক্তভোগী বলেন,ভাই আমার প্রতিপক্ষ জমিতে মাটি কেটে দখলে নিচ্ছে আমার লোকজন নেই,তাই সাথে সাথে থানায় ফোন করে জানালাম। স্যার আমার জমিতে অন্য লোক ঘর তৈরি করছে? ওসি সাহেব বললেন আপনি আমার কাছে একটি অভিযোগ দিন তারপর ব্যাবস্থা নিবো। আমি থানায় গিয়ে দরখাস্ত দিলাম। এরপর কাগটি রেখেদিয়ে বলেন,আপনি কোর্টে একটি মামলা দিয়ে আমাদের কাছে নিয়ে অসেন তাহলে আমরা এ্যাকশনে যেতে পারবো।
এধরনের বহু অসহায় নির্যাতিত লোক থানায় গিয়ে ফিরে আসে ও আইনী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ ওসি‘র জন্য। ওসি তাদের কোন সহযোগীতা করতে রাজি হয়না সবাইকে কোর্টে যেতে বলেন।
ওসি‘র এধরনে অসহযোগীতা করার কারন জানতে থানার কয়েকজন পুলিশের সাথে কথা গোপনে কথা বলে জানা গেছে আবু তাহের মিয়া ওসি তদন্ত হওয়ার পর ওসি‘র পদে যেতে মাত্র সাত মাস বাকি আছে। তাই সে কোন ধরনে ঝুকি বা জামেলায় পড়তে চাচ্ছে না। দারোগারা প্রতি মামলায় যে, টাকা ভাগ দেয় তাতেই তার চলে ও শহরের বালু মহল থেকে প্রতিদিন যে,টাকা আসে তাদেই অনেক যেন জল চাইতেই বৃষ্টি। বাড়তি কোন ঝামেলায় যেতে চায়না। মাত্র সাতটি মাস অতিবাহিত হলেই ওসি‘র চেয়ারে বসতে পারবেন বলে তার চিন্তা ধারা রয়েছে।
অপরদিকে একটি সুত্র জানায়,ওসি (তদন্ত) আবু তাহের গোপনে নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের নেতা মুজিবুল হক আকন্দ এর মাধ্যমে আমির হোসেন আমু ভাইয়ের সাথে তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে ওসি পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে থাকার জন্য।
এই জদি হয় একটি থানার অবস্থা তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। নেতাদের কথা বাদই দিলাম কারন নেতাদের বর্তমানে জনগণের কথা চিন্তাকরার সময় নেই। নিজেদের চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা কখন কি করে বসে বলা যায়না।
এব্যাপারে পুলিশের উর্দ্বতন এক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান,আসলে ওসি‘র পদটি স্থানিয় এমপি যে থাকেন তিনি কাকে রাখবে বা বদলি করবে সেটা তার উপরে নির্ভর করে। আইজিপি অফিস থেকে কাউকে তার কথা ছাড়া দিবেননা। তবে আমি মনেকরি দায়িত্ব অতিরিক্ত হলেও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরনের অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থানিতে বাধ্য হব।