বৃহস্পতিবার ● ৩১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্টে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্টে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদারপুর গ্রামের কাতলামারি বিল এলাকায় গতকাল বুধবার রাত ১১টায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আইজল মিয়া (৪০) উজ্জল মিয়া (১৮) নামে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। এসময় হারুন (৩৫) নামে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। নিহত আইজল ও উজ্জল স¤পর্কে চাচা-ভাতিজা। আইজল মিয়া ওই ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের মৃত ছফুর উদ্দিনের ছেলে ও উজ্জল মিয়া একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। আইজল পেশায় গরু ব্যবসায়ি ছিল।
স্থানীয়রা জানান, রাতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী কাতলার বিলে মাছ ধরতে যায় আইজল, উজ্জল মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন। তারা বিলে নামতে পাশের একটি ধানের জমি দিয়ে যাওয়ার সময় ইঁদুর মারার জন্য ওই জমিতে দেয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় আইজল, উজ্জল ও হারুন মিয়া। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আইজল ও উজ্জল মিয়া এবং হারুন মিয়া আহত হয়।
নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ইঁদুর মারতে বাড়ি থেকে ধানের জমিতে বিদ্যুতের লাইন টেনে নিয়ে যায় পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের মৃত্যু নয়া মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া। কিন্তু সেই বিদ্যুতের লাইন জিআই তারের সঙ্গে মাটিতে ফেলে রাখেন ফুলমিয়া। খুঁটির পরিবর্তে মাটিতে বিদ্যুতের তার ফেলে রাখায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, খবর পেয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হারুনকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জমিতে বিদ্যুতের লাইন নেয়া ও মাটিতে তার ফেলে রাখায় হতাহতের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পেয়াজের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
গাইবান্ধা :: আবরার ফাহাদ হত্যার দ্রুত বিচার, ভারতের সাথে অসম চুক্তি বাতিল, ক্যাসিনো ঘুষ-দুর্নীতির গডফাদারদের গ্রেফতার ও পেয়াজের দাম কমানোসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বাসদ মাকর্সবার্দ গাইবান্ধা জেলা শাখা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, সদস্য কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ খোকন, গোলাম সাদেক লেবু, ধীরেন চন্দ্র শীল, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে আবরার ফাহাদ হত্যার দ্রুত বিচার, ভারতের সাথে অসম চুক্তি বাতিল, ক্যাসিনো ঘুষ-দুর্নীতির গডফাদারদের গ্রেফতার ও পেয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, আমন ফসলের পোকা দমনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান। এছাড়া ঐতিহ্যবাহি কামারজানি বন্দরে সোনালী ব্যাংক স্থানান্তরের প্রতিবাদ এবং চাঞ্চল্যকর তৃষা হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামি পুনরায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষক মেহেদী হাসান মর্ডাণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সেইসাথে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষা, নারী-শিশু নির্যাতন, হত্যা পাচার বন্ধ ও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানোরও দাবি জানান।
গাইবান্ধা পৌরবাসিদের উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
গাইবান্ধা :: মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে গাইবান্ধা পৌরসভা পৌরবাসিদের উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানের বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা পৌরসভা মিলনায়তনে মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে গাইবান্ধা পৌরসভা নাগরিকদের উন্নতমানের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এই সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা নাগরিক সেবার অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিগন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পৌরবাসিদের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন বলে জানানো হয়।
পৌর মেয়র মিলন তাঁর বক্তব্যে এই উদ্যোগ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে পৌরবাসি, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ঠ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। যাতে পৌরসভার সেবা প্রদানকারিরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে সক্ষম হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র জিএম চৌধুরী মিঠু, প্যানেল মেয়র তানজিমুল ইসলাম পিটার এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে কামাল হোসেন, শহীদ আহমেদ, রকিবুল হাসান সুমন, কামাল আহমেদ, সেলিনা আকতার রত্মা, লাকি সুলতানা প্রমুখ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নামের তালিকা উপস্থাপিত হয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন ১নং ওয়ার্ডে মো. শাহ আলম, ২নং ওয়ার্ডে রবিউল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডে মো. মধু মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডে বিপুল কুমার সাহা, ৫নং ওয়ার্ডে উত্তম কুমার সরকার, ৬নং ওয়ার্ডে অমিতাভ চক্রবর্ত্তী, ৭নং ওয়ার্ডে আবু হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডে আব্দুল আহাদ, ৯নং ওয়ার্ডে রায়হান মিয়া। এছাড়া রেললাইনের পশ্চিম পাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে যুধিষ্ঠির চন্দ্র সরকার ও আতিয়ার রহমানকে।