বৃহস্পতিবার ● ৩১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সন্ধান মিলেছে নিখোঁজ ফয়ছলের
সন্ধান মিলেছে নিখোঁজ ফয়ছলের
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ঢাকায় সন্ধান মিলেছে নিখোঁজ ফয়ছলের গত বুধবার বিশ্বনাথ থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবক ফয়ছলের সন্ধান মিলেছে ঢাকায়। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার চাচা, ইউপি সদস্য মো. জামাল আহমদ। তবে তিনি কিভাবে? কি কারণে সেখানে পৌছলেন তা জানা যায়নি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ফয়ছলের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়েছে। সে ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না। আমরা তার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি ঢাকার উদ্দেশ্যে।
বিশ্বনাথে দোকানঘরে অস্ত্র রেখে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে দোকানঘরে অস্ত্র রেখে এক ফার্ণিচার ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত ২৮ অক্টোবর সোমবার উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ষড়যন্ত্রের শিকার ওই ফার্ণিচার ব্যবসায়ীর নাম জমির আলী (৩০)। তিনি শিমুলতলা গ্রামের আছলম আলীর ছেলে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে জমির আলীর দোকানে হঠাৎ অভিযান চালায় সিলেটের ডিবি পুলিশ। তারা দীর্ঘ সময় ঘিরে রাখে তার প্রতিষ্ঠান। এক পর্যায়ে ঘিরে রাখা দোকানকোঠার ভেতর থেকে অস্ত্র সাদৃশ্য একটি বস্তু উদ্ধার করে তারা। পরে উপস্থিত জনসাধারণের কাছে জমির আলী সর্ম্পকে জানতে চাইলে, জনসাধারণ এটিকে ‘সাজানো নাটক’ বলে দাবী করে বক্তব্য দেন। খবর পেয়ে ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা। ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জমির আলী বলেন, আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই কে বা কাহারা এটি পরিকল্পনা করেই সাজিয়েছে। আমি এসবে সংশ্লিষ্ট নয় বলেই রেহাই পেয়েছি। আশা করি প্রশাসন ঘটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম দুলাল বলেন, জমির আলী একজন নির্মোহ ব্যবসায়ী। শত্রুতাবশত তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই প্রশাসনকে ভূল তথ্য পরিবেশন করে এটি করেছে কোন দুষ্টচক্র। সিলেট দক্ষিণ সার্কেলের ডিবি’র ওসি আবদুল হাই বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি বিশ্বনাথ থানার ওসি’র তদন্তাধীন আছে। তিনি এ বিষয়ে বলতে পারবেন। এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা বলেন, কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
বিশ্বনাথে হামলায় যুবক আহত : মামলা গ্রেপ্তার -১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় লুলু মিয়া (২৮) নামের এক যুবক আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। আশংকাজনক অবস্থায় লুলু মিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানাগেছে। এঘটনায় আহত যুবকের পিতা আবদুর রহমান বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২০।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে তৈয়বুর রহমান কালা (২৫), লুৎফুর রহমান (২২), সাদিকুর রহমান (২০), একই গ্রামের মৃত আলতাবুর রহমানের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৬), সাইদুল ইসলাম (৪৫), সিরাজুল ইসলাম (৫০)। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি তৈয়বুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, বাদির ছেলের সঙ্গে অভিযুক্তদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গত ২৭ অক্টোরব রাতে বাদির বসত বাড়ীতে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে তার ছেলেকে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদির ছেলে এসময় ঘর থেকে বের হয়ে এর কারন জানতে চাইলে অভিযুক্তরা তাকে দেশীয় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে বাদির ছেলে লুলু মিয়া গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই দিদার আলম বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।