বুধবার ● ২০ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে স্বামী-স্ত্রী হত্যার দায়ে দু’জনের ফাঁসি
গাজীপুরে স্বামী-স্ত্রী হত্যার দায়ে দু’জনের ফাঁসি
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে,গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের কাপাসিয়ার সম্মানিয়া নয়াপাড়ায় এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্বামী ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দু’জনকে ফাঁসি এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত৷ একই সাথে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে৷
২০ জানুয়ারি বুধবার বেলা আড়াই টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক এ আদেশ দেন৷
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে মোস্তফা৷ যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-রহমত আলী ও তার মেয়ে রাহিমা বেগম৷ বর্তমানে রাহিমা বেগম পলাতক আছেন৷
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর দুপুর ২টায় কাপাসিয়া উপজেলার সম্মানিয়া এলাকার বাসিন্দা সুরুজ মিয়া মেহগনি বাগানে কাজ করছিলেন৷ এসময় অভিযুক্ত রহমত আলী তাকে কাজে বাধা দেয়৷ তাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রহমত আলী এবং তার ছেলে মোস্তফা ধারালো দা দিয়ে সুরুজকে আঘাত করে৷ এতে তিনি পড়ে গেলে রহমত আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম সাবল দিয়ে সুরুজকে ফের আঘাত করে৷ এতে ঘটনাস্থলে সুরুজ মিয়া মারা যান৷
ঘটনাস্থলে সুরুজ মিয়ার মেয়ে, স্ত্রী হনুফা বেগম ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত হলে পুনরায় দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তারা৷ এ সময় অভিযুক্তরা হনুফাকে দা, শাবল দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন৷ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে তার একদিন পরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি৷
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৪ নভেম্বর নিহত সুরুজের ভাই মো. শাহজাহান বাদী হয়ে বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মো. রহমত আলী রমু, মো. মোস্তফা, আনোয়ারা বেগম ও রাহিমা বেগমের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে৷ ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. মোস্তফা ও আনোয়ারা বেগম মা-ছেলে৷ আর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হওয়া মো. রহমত আলী রমু ও রাহিমা বেগম পিতা ও কণ্যা৷ আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেয়৷ রায়ের সময় রহিমা বেগম ছাড়া তিন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল৷ আসামীরা সবাই একই পরিবারের৷
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমেদ আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘মামলার রায়ে আমরা সনত্মোষ প্রকাশ করছি এবং আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি৷’
আসামী পক্ষের আইনজীবি ওয়াহিদুজ্জামান আকন তমিজ অভিযোগ করে আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, মামলায় ন্যায় বিচার পায়নি৷ উচ্চ আদালতে আপিলের ঘোষণা দেন তিনি৷