রবিবার ● ৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি করে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ
ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি করে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কালীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ নেতা নাসির চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেপরোয়া দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে সুষ্ঠ অনুসন্ধান ও অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আজ রোববার (৩ নভেম্বর) সাক্ষিদের তলব করা হয়েছে। তবে নাসির চৌধুরী যাবেন ৫ নভেম্বর। গত ২৮ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে পাঠানো বর্ণিত ০০.০১.৪৪০০.৭৩৩.০১.০১৯.১৯.২৯১৪ নং স্মারকে এই চিঠিতে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোঃ শহীদুল আসলাম মোড়লের অফিসে সকাল ১০টার মধ্যে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক ও ইউপি চেয়ারম্যান নাসির চৌধূরীর পিতা কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের জমশেদ আলী চৌধুরী ও চাচা মোনছের আলীর মাত্র ৮ শতক জমি ছিল। অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতেন নাসির। প্রথম জীবনে পরের বাড়িতে দিনমজুর করে বাল্যকাল শুরু করেন। এরপর বাজারে ডাব বিক্রি করতেন। সেখান থেকে কালীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে টি-বয় হিসেবে দিন হাজিরার চাকরী নেয়। পরবর্তীতে ৮ম শ্রেনী পাশ সনদ জোগাড় করে দলিল লেখক হিসেবে নাম লেখায়। তৎকালীন সাব রেজিষ্টার আলতাফ হোসেনের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে তিনিই তাকে লাইসেন্স করে দেন। এরপর কালীগঞ্জের সাবেক ও বর্তমান দুই এমপির কৃপায় তিনি কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন। এলাকায় গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। একের পর এক বাড়ি, দামি গাড়ি, মাঠে জমি ও ব্যাংকে টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। একজন দলিল লেখক হয়ে বেপরোয়া দুনীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের দায়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে নাসির চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগমের নামে যশোরের আল আরাফা ব্যাংকে রয়েছে ৫০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। যার ব্যাংক একাউন্ট নং ০৩০১৬২০০০১০২৫।২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারী পর্যন্ত ব্যাংক স্টেটমেন্টে এই টাকার তথ্য পাওয়া গেছে। নাসির চৌধুরীর শ্যালিকা মাহফুজা খাতুনের নামেও রাখা আছে ৫০ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের ১৪ মে তারিখে যশোরের আল আরাফা ব্যাংকে ০৩০১৬২০০০১২৪৮ নং হিসাব খোলা হয়। নাসির চৌধুরীর ব্র্যাক ব্যংক যশোর শাখায় ৮টি হিসাব নাম্বারে লাখ লাখ টাকার তথ্য পেয়েছে অনুসন্ধানী দল। ব্র্যাক ব্যংকের ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০২ নং হিসাবে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত জমা ছিল ২০ লাখ টাকা। একই ব্যংকের ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০৩ নং হিসাবে জমা ছিল ২১ লাখ ৫০ হাজার, ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০১ নং একাউন্টে ৩০ লাখ ৫০ হাজার, ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০৮ একাউন্টে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯২০ টাকা, ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০৪ একাউন্টে ২ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৪ টাকা, ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০৭ নং একাউন্টে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫১ টাকা, ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০১ নং একাউন্টে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ১৪২ টাকা ও ২৪০১৩০২১১২৫৯৯০০৬ নং একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া এবি ব্যাংকে মাহফুজা ও তার শ্যালক জিয়া কবীরের নামেও কোটি কোটি টাকা থাকতে পারে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও তার কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়ায় ৩টি আলীশান বাড়ি, নদীপাড়ায় একটি ও কুল্লোপাড়ায় বাগান বাড়ি রয়েছে। দলিল লেখক নাসির চৌধুরীর জমিজাতি আছে অঢেল। গ্রামে তার কারণে কেও উচ্চমুল্যে জমি কিনতে পারে না। তার কাছে জমি বিক্রি না করলে বাড়ি হামলা করা হয়। গ্রামের কোন মেয়ে ফারাজ বিক্রি করতে চাইলে কম টাকায় সেই জমি কিনে নেন নাসির। পিতার ৪ শতক জমি থেকে নাসির চৌধুরী শত কোটি টাকার জমি কিনেছেন। সর্বশেষ তথ্য মতে নাসিরের নামে ৫৯.২৭ বিঘা জমির সন্ধান মিলেছে। কালীগঞ্জের বাবরা, পকুরিয়া, তিল্লা, ডাকাতিয়া, এ্যাড়েখাল, মনোহরপুর, সিমলাসহ বিভিন্ন মাঠে এই জমি রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কালীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির চৌধুরী বলেন, মাঠে আমার এতো জমি নেই। কালীগঞ্জের এসিল্যান্ড তদন্ত করে মাত্র ১০ বিঘা জমির অস্তিত্ব পেয়েছে। তিনি বলেন আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার নামে যে টাকা ব্যাংকে আছে সেটা আমার শ্বশুর চুরামনকাঠি বাজারে সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার আখ চাষ আছে। এছাড়া আমি দলিল লেখক। এ সব খাত থেকে আমার বছরে অনেক টাকা আয় হয়। আমি দুর্নীতি করি না। তিনি অভিযোগ করেন, আমার মিনি নামে এক ভাইপো ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। টাকা চাওয়ায় সেই আমার বিরুদ্ধে ভুয়া ও বানোয়ট অভিযোগ দিয়েছে। তিনি জানান এর আগেও র্যাব, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোন সত্যতা পায় নি। আগামী ৫ নভেম্বর তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে যাবেন বলেও স্বীকার করেন।
ঝিনাইদহে জেল হত্যা দিবস পালিত
ঝিনাইদহ :: নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে ঝিনাইদহে পালন করা হয়েছে জেল হত্যা দিবস। আজ রবিবার সকালে শহরের এইচ এস এস সড়কের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জেল হত্যা দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল হাইসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এসময় শহীদ জাতীয় চার নেতার আদর্শে দেশ গড়ার অঙ্গিকার করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আর জাতীয় চার নেতার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকরের দাবিও জানান তারা।
মহেশপুরে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে দ্বিতীয় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতিতার স্বজনরা জানান, শনিবার বিকেলে শিশুটি খেলতে খেলতে প্রতিবেশি মসলেম শেখের ছেলে কাঠমিস্ত্রি হাফিজুরের বাড়িতে যায়। বাড়ি থেকে হাফিজুর বাজার থেকে চানাচুর কিনে দিয়ে পার্শবর্তী কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়। শিশুটি বাড়িতে এসে বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়। পরে মহেশপুর থানায় নির্যাতিতার পিতা বাদী হয়ে হাফিজুরকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। সেখান থেকে রাত ২ টার দিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত হাফিজুর। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) এস এম আমানুল্লাহ বলেন, শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য ঝিনাইদহে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক হাফিজুরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অপরাধী একজন সাজা আরেক জনের
ঝিনাইদহ :: অপরাধী একজন কিন্তু সাজা পেল আরেকজন। এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে অবস্থা। ঢাকার একটি কোম্পানীর সাথে লেনদেন সংক্রান্ত কোম্পানীর দায়েরকৃত ৪টি চেক জালিয়াতির ১ কোটি টাকার মামলায় মো: শাহিদুল আরেফিন ওয়ারেন্টের আসামী হিসাবে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ৪টি চেকের ১টিতে আদালতের রায় হয়েছে। যেখানে তাকে ২ মাসের কারাদন্ড ও ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এখনো ঘাড়ের উপর ঝুলছে আরো ৩টি মামলার রায়। কয়েকদিনের মধ্যেই হবে বাকী ৩টি মামলার রায় । অথচ যেসব চেকের বিপরীতে এসমস্ত মামলা সেই চেকের মালিক মো: শাহিদুল আরেফিনের ভাই মো: শামছুল আরেফিন। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে অবস্থার দুই ভায়ের এ কাহিনী ঝিনাইদহের শৈলকুপার। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ঢাকার আম্বার কটন মিলস্ লিমিটেড যার হেড অফিস ৭৪ বীর উত্তম এ.কে খন্দকার সড়ক, মহাখালী, ঢাকাতে । এই কোম্পানীর সাথে চেকে লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড( লোকাল অফিস-১ দিলকূশা বা/এ ) এর ১১৭১০১৯৩৩৪ নং সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে মো: শাহিদুল আরেফিন ২০০৮ সালের ১৫মার্চ ৪৫৩৬৩২৪ নং চেকে ৩০লাখ টাকা, ২০০৯ সালের ৩০মার্চ ৪৫৩৬৩২৫ নং চেকে ৩০লাখ টাকা, ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিলে ৪৫৩৬৩২৬ নং চেকে ২৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ২০০৯ সালের ১৫ মে ৪৫৩৬৩২৮ নং চেকে ১৩ লাখ ২০হাজার টাকা প্রদান করেন । কিন্তু কোম্পানীর একাউন্ট পূবালী ব্যাংক লিমিটেডে চেকগুলি কালেকশনের জন্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থাপন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তা ডিস্অনার করে। এ ঘটনায় আম্বার কটন মিলস্ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়ে মো: শাহিদুল আরেফিনের নাম দিয়ে ঢাকার উত্তরা ঠিকানাতে লিগাল নোটিশ ও চিঠি দেয়। এরপর ঐ চেকের বিপরীতে চেক ডিস্অনার, প্রতারণা ও বিশ^াস ভঙ্গের ৪টি মামলা দায়ের করে কোম্পানীটি। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত এসব মামলার মধ্যে ১টিতে (দায়রা- ৪৮৫২/০৯,সিআর-৩১৮০/০৯) চলতি ২০১৯ সালের ৪ আগষ্ট একটি রায়ে আসামী মো: শাহিদুল আরেফিন কে ২মাসের কারাদন্ড ও ৩০লাখ টাকা জরিমানা করে। অন্যান্য ৩টি মামলাও শেষ পর্যায়ে যুক্তি-তর্কের অপেক্ষায় রয়েছে। মহানগর দ্বিতীয় যুগ্ম দায়রা জজ আদলতের মামলায়(দায়রা নং৪৮৬৫/০৯, সিআর৩৬৭৭/০৯) যুক্তিতর্ক চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর, মহানগর প্রথম যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে(দায়রা- ২৫৩১/১০,সিআর-১৮৯/০৯) মামলায় যুক্তিতর্ক-চলতি বছরের ১৪নভেম্বর এবং সিএমএম কোর্ট-৩৫(সিআর-৩৮৭৩/০৯)যুক্তিতক চলতি বছরের ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে অনুসন্ধানে দেখা গেছে আম্বার কটন মিলস্ লিমিটেড নামের কোম্পানী টি ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের যে সঞ্চয়ী হিসাবের( সঞ্চয়ী হিসাব নং ১১৭১০১৯৩৩৪) বিপরীতে চেকের মালিক হিসাবে মো: শাহিদুল আরেফিনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা করছে, আদোতে সেই একাউন্টের মালিক মো: শাহিদুল আরেফিন নয়। মামলায় দায়েরকৃত ঐ একাউন্টের মালিকের নাম মো: শামছুল আরেফিন। আর ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী মো: শামছুল আরেফিনের ঠিকানা: পিতা মো: মাহাবুবুল ইসলাম, মাতা: সালেহা খাতুন, বাসা নং ১৭, ফ্লাট নং২/এ, রাস্তা নং-১, সেক্টর-৬, ডাকঘর-উত্তরা,১২৩০, উত্তরা, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা। ঢাকায় উত্তরার ঠিকানায় তার কোন বাড়ি নেই, মামলা গুলোর উকিল নোটিশ উত্তরার ঠিকানায় গেছে, এক্ষেত্রে তিনি কিছুই অবগত নন। শাহিদুল আরেফিন জানান তিনি, ১৯৯৮ সাল থেকে শৈলকুপার শেখপাড়া দু:খী মাহ্মুদ ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতা করে আসছেন। কখনো কোন কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন না বা আম্বার কটন মিলস লিমিটেডে তার কোন লেনদেন কখনো ছিল না। তাছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকে তার কখনো কোন একাউন্ট নেই, বিশেষ করে ১১৭১০১৯৩৩৪ সঞ্চয়ী হিসাব তার নয়। এসংক্রান্ত কোন মামলা বা নোটিশ সম্পর্কে তিনি অবগত নন। শাহিদুল আরেফিন জানান, তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাজারপাড়া, তার পিতার নাম মাহবুবুল ইসলাম । তিনি জানান, দীর্ঘ বছর পওে হঠাৎ তার নামে ওয়ারেন্ট দেখে বিস্মিত হন এবং প্রতিকার চান।
লিখে যান যত ইচ্ছে লিখে যান আমার কিছুই হবে না
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে কর্মরত আলামীন চাকুরীবিধি লঙ্ঘন করে একের পর এক বিয়ে করে চলেছে। সে যৌতুকের দাবিতে প্রথম স্ত্রী কে প্রায়শ^ই বে-ধড়ক মারপিট করে আসছে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি নিয়মিত মানষিক নির্যাতন করে আসছে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি বা সম্মতি না নিয়েই স্ত্রী-সন্তান ফেলে একের পর এক বিয়ে করে আসছে শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত এই ড্রাইভার। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার ৯বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। একবার প্রথম স্ত্রী নিরুপায় হয়ে ফায়ার সার্ভিসে লিখিত অভিযোগ দিলে সে ১৭ মাসের জন্য সাসপেন্ড হয়। কিন্তু থামেনি বিয়ের নেশা। চলতি মাসের ১৮ তারিখে আবারো তৃতীয় বিয়ে করেছে। শৈলকুপার মজুমদারপাড়া গ্রামে আবদুল খালেকের মেয়ে আফরোজা কে গত ১৮/১০/১৯ তারিখে ৫লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন শৈলকুপা পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাজী আবদুল করিম। এর আগে সে কুড়িগ্রাম জেলায় এই আল আমিন আরেকটি বিয়ে করে। জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার পাঠান পাড়া গ্রামের মৃত. জলিল শেখের ছেলে আলামিন। দীর্ঘ দশ বছরের বেশী সময় সে শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের ড্রাইভার হিসাবে কর্মরত রয়েছে। আর একই স্টেশনে দশ বছরের বেশী সময় থাকার সুবাদে বিভিন্ন অসামাজিক লোকের সাথে তার সক্ষতা গড়ে উঠেছে। আলামিনের প্রথম স্ত্রী শারমিন জানান বহু বিবাহ করা তার নেশা। এর আগে কুড়িগ্রামের একটা মেয়েকে সে বিয়ে করে তার পর থানায় জিডি করি এবং তার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের জানায় পরে তারা অভিযোগ তদন্ত করে ১৭ মাস সাসপেন্ড করে। সে আবারও আমার অনুমতি ব্যতিত আমাকে ও ৯বছরের সন্তান কে ফেলে আরেকটি বিয়ে করেছে। পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে হেয় করার পাশাপাশি প্রায়শ^ই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন আলামিনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। আল আমিনের প্রথম স্ত্রী নির্যাতিত শারমিন শৈলকুপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব ঘটনা সম্পর্কে ঝিনাইদহ ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, শৈলকুপা ফায়ার স্টেশনে এসব ঘটনায় তার স্ত্রী লিখিত অভিযোগ করলে অধিদপ্তর কে জানানো হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। অভিযোগ উঠেছে শারমিন কে তার স্বামী নির্যাতন করে আসছে এতে উষ্কানী দিয়ে আসছে ভাসুর আল আমিনের ভাই প্রভাষক কাশেম এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। একই সাথে পাঠনপাড়া গ্রামের কিছু প্রভাবশালী মানুষ এসব ঘটনার সাথে জড়িত। তাদের নেপথ্য সহযোগীতায় এ ধরনের নির্যাতন ঘটে চলেছে। একের পর এক বিয়ে ও স্ত্রী কে নির্যাতন প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত আল আমিনর বলেন, ‘লিখে যান যত ইচ্ছে লিখে যান আমার কিছুই হবে না’ ! এব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান বলেন অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঝিনাইদহের পাগলা কানাই সড়কে ব্যাপক ভাবে যাত্রী হয়রানী, নেই প্রতিকার
ঝিনাইদহ ::ঝিনাইদহের পাগলা কানাই সড়কে ইজি বাইক ও গ্রাম বাংলার মালিক ড্রাইভার এবং কাউন্টারে চাঁদা আদায়ের টাকা ভাগাভাগি, ইজি বাইকে যাত্রী তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে । বুধবার গ্রাম বাংলার পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পাগলা কানাই সড়কে যাত্রীবাহী কোন যানবাহন চালাতে দেয়া হবেনা। এতে সাধারন মানুষ হয়রানীর স্বীকার হবে। এ ছাড়া জে এস সি পরীক্ষা শুরু হবে। সড়কে যানবাহন চলাচল করতে না দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়বে। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসি। তাদের দাবী জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোন ভাবেই এ দ্বন্দ্বের সমাধান করা সম্ভব না। কারণ হিসেবে জানা গেছে এর সাথে জড়িত রয়েছে সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু কর্মী, কিছু সুবিধাবাদী লোক। কিছু নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রাম বাংলার একজন ড্রাইভার জানিয়েছে, গ্রাম বাংলা কাউন্টার থেকে ড্রাইভারদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা তোলা হয়। কোন ড্রাইভার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বা প্রতিবাদ করলে তার গাড়ী চলতে দেয়া হয়না। একজনের নতুন গাড়ী রোডে নামাতে ৫০ হাজার টাকা লাগে, প্রত্যেক গাড়িতে ট্রিপ প্রতি আসা যাওয়া ৮০ টাকা দিতে হয়। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা তোলা হয় এখান থেকে। বর্তমানে কাউন্টার দখল নিয়ে চলছে নানা ধরনের তালবাহনা। এলাকাবাসির ধারনা দুপক্ষের মধ্যে যা শুরু হয়েছে যে কোন সময় হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পাগলা কানাই এলাকায় অচেনা কিছু নতুন যুবক ছেলেদের ঘোরা ফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। গ্রাম বাংলা কাউন্টারের আশেপাশে থমথমে অবস্থাা বিরাজ করছে। সাধারন মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। তাই তারা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঝিনাইদহে বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম, ক্রেতারা বিপাকে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতিদিন প্রকারভেদে মণ প্রতি গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে তা ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তারা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো। বর্তমানে পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা আর খুচরা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। জেলা শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নাসির উদ্দিন জানান, পেঁয়াজের দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সিন্ডিকেট করে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছে। সরকার বলছে দাম কমাব কিন্তু কিছুই তো করছে না। যত দুর্ভোগ আমাদের সাধারণ মানুষের। একই অভিযোগ অন্যান্য ক্রেতাদের। তারা বলেন, পাইকারি তো এক দাম আছেই, আবার খুচরা বিক্রেতারা আরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এ যেন রামরাজত্ব, যে যার ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রেতা সোহাগ কুন্ডু জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসছে না। আর চাষিরা বাজারে পেঁয়াজ কম আনছে। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। নতুন পেঁয়াজ কিংবা এলসি পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। জেলা বিপণন কর্মকর্তা গোলাম মারুফ খান জানান, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজবাহী বেশ কয়েকটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। কয়েক দিনের ভেতরেই তা খালাস হবে। অন্যদিকে এলসির ওপর ভারত যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা তুলে নিয়েছে। ফলে ২-৩ তারিখের মধ্যে ব্যবসায়ীরা এলসিপত্র খুলবে। ফলে হিলি, বেনাপোলসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছাবে। তাই আশা করা যাচ্ছে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, কিছু আগাম জাতের পেঁয়াজও কয়েকদিনের ভেতরেই বাজারে আসবে যা দাম কমাতে ভূমিকা রাখবে।