মঙ্গলবার ● ৫ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » দোকান কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
দোকান কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
ষ্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে ফরহাদ মিয়া (২৫) নামের এক দোকান কর্মচারীকে চুরির অভিযোগে মারধর করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফরহাদ মিয়া নিজে বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং- ৭।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার হরিকলস গ্রামের মৃত হাজী আনিছ উল্লাহর পুত্র ও বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রউফ (৫৫), তার স্ত্রী রাহিমা বেগম (৪৫), ছেলে এ কে রাজু (২২), আব্দুস সালাম (৩০), একই গ্রামের আনসার আলী (২৫), জাহারগাঁও গ্রামের জুবেল মিয়া (২৮) ও কালিগঞ্জের শানুর আলী (৩০)।
বাদী ফরহাদ মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত আব্দুর রউফের মালিকানাধীন শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোরে তিনি বিগত ৪বছর যাবত কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। সোমবার দুপুরে দোকানের অপর কর্মচারী রুহেল মিয়ার সাথে কাজ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বাজারের বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আরশ আলী মেম্বার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তখন অভিযুক্তরা তাকে (ফরহাদ) মারধর করেন এবং একপর্যায়ে দোকান মালিক আব্দুর রউফের নির্দেশে অন্য অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাকে মোটরসাইকেলে তুলে হরিকলস গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ঘরে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করেন। এতে তার শীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা-ফুলা ও গুরুত্বর জখম হয়েছে। খবর পেয়ে বাদীর মা মনোয়ারা বেগম থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন। ফরহাদ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার বাঙ্গালপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ মানিক মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছেন।
থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আল-হেরা মার্কেটে চুরির ঘটনায় সোহাগ’র দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ আল-হেরা শপিং সিটির দেয়াল ভেঙে ‘জুয়েল মোবাইল গার্ডেন’ নামের একটি মোবাইলের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আন্তঃজেলা মোবাইল চোর চক্রের মূল হোতা সোহাগ আহমেদ (৩৩) এর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ১নভেম্বর তাকে গ্রেফতারের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে তার ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৪ নভেম্বর) সোহাগ আহমেদেরে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাহাগ আহমেদ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের জয়নাল আহমদের পুত্র ও সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকার পুরবী-৬৫ বাসার বাসিন্দা।
রিমান্ড মঞ্জুরের বিয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ।
উল্লেখ, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে আল-হেরা শপিং সিটি’র নিচ তলায় অবস্থিত জুয়েল মোবাইল গার্ডেনের পিছনের দেয়াল ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়। এসময় চুরেরা জুয়েল মোবাইল গার্ডেনের ক্যাশে নগদ টাকা সহ কয়েল লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর দোকানের স্বত্বাধিকারী জুয়েল আহমদ বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪। মামলা দায়েরের পর নগরীর মজুমদারী এলাকার বাসিন্দা শাহারা বেগমকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। তার দেওয়ার তথ্যের ভিত্ত্বিতে পরবর্তীতে সোহাগ আহমেকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে চোরাইকৃত কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
প্রবাস ফেরত যুবকের শসা চাষ
বিশ্বনাথ :: শখের বসে শসা চাষ করে আর্থিকভাবে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথের কবির আহমদ। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। অল্পদিনে তার একক প্রচেষ্টায় তাকে এ সফলতা আনতে সহায়তা করেছে। বেকারত্ব দূর করতে তিনি সবজি চাষ শুরু করেন। প্রায় ১৬ বছর তিনি দুবাই ছিলেন। কিন্তু প্রবাসে তেমন আয়-রোজগার না করতে পারার পর গত দুই বছর আগে দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর বেশ কিছুদিন বেকার ছিলেন। এরপর বেকারত্ব দূর করতে সবজি চাষ শুরু করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কারণে আর্থিকভাবে তিনি সচ্ছল থাকলেও সবজি চাষ করে আয়ের উৎস খুঁজতে থাকেন কবির আহমদ। ২০১৮ সালে নিজের ১৮০ শতক জমিতে সবজি চাষাবাদ শুরু করেন। গত বছর সবজি চাষ করে তিনি সাফলতা পান। তাই এ বছরও তিনি সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেন।
কবির আহমদ জানান, প্রায় ৩ একর জায়গায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলেছেন শীতকালিন সবজির বাগান। তার এ বাগানে রয়েছে শসা, আউশ লাউ, বেগুণ, টমেটো, কাচা মরিচ। বর্তমানে প্রতিদিন ৮-৯ শ’ টাকার শসা বিক্রয় করেন এই বাগান থেকে। এরই মধ্যে তিনি প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকার শসা বিক্রয় করেছেন। সঠিক ভাবে উত্তোলন করতে পারলে অর্ধলা টাকার শুধু শসা বিক্রি করতে পারেন বলে তিনি আশা করছেন। তবে দুই-তিন সপ্তাহ পরে বাগানের অন্য চাষাবাদকৃত সবজি বিক্রি শুরু করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, কোনো কৃষক যদি নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে ২০-৩০ হাজার টাকা ব্যয় করে পতিত জমিতে খন্ডকালীন সবজি চাষাবাদ করেন তাহলে ৩-৪ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এতে তিনি কৃষক অফিসের কোনো সহযোগিতা নেননি বলে জানান।
চুরির অভিযোগে দোকান কর্মচারীকে মারধর
বিশ্বনাথ ::বিশ্বনাথে ফরহাদ মিয়া (২৫) নামের এক দোকান কর্মচারীকে চুরির অভিযোগে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার উছমানপুর গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র ও বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোরের কর্মচারী। গতকাল সোমবার দুপুরে এঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, আহত ফরহাদ মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ স্বপরিবারে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ মানিক মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছেন। এই সুবাদে সে শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। গতকাল সোমবার দুপুরে মালামাল চুরির অভিযোগে তাকে গালিগালাজ করেন দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রউফ। একপর্যায়ে ফরহাদ মিয়াকে আব্দুর রউফের ছেলে এ কে রাজু ও আব্দুস সালাম মোটরসাইকেলে তুলে উপজেলার হরিকলস গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে মারধার করা হয়। খবর পেয়ে ফরহাদ মিয়াকে বাঁচাতে তার মা মনোয়ারা বেগম বিশ্বনাথ থানায় ছুটে যান। এরপর থানা পুলিশ হরিকলস গ্রামে আব্দুর রউফের বাড়ি থেকে ফরহাদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত ফরহাদ মিয়া অভিযোগ করেন- প্রায় ৪বছর ধরে শাহজালাল ভেরাউটিজ ষ্টোরে কর্মচারী হিসেবে তিনি কাজ করে আসছেন। সোমবার সকাল ৯টায় একই দোকানের কর্মচারী রুহেল মিয়ার সঙ্গে কাজ নিয়ে তার (ফরহাদ) কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বেলা দেড়টায় দুপুরের খাবার খেতে বাসার উদ্দেশ্যে দোকান থেকে বের হন ফরহাদ। তখন কর্মচারী রুহেল দোকানের মালিক আব্দুর রউফকে বলেন, ফরহাদ দোকান থেকে মাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এসময় ফরহাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দোকান মালিকের পুত্র এ কে রাজু ও আব্দুস সালামের। একপর্যায়ে রাজু ও সালাম মোটরসাইকেলে তুলে তাকে (ফরহাদ) নিয়ে যায় হরিকলস গ্রামস্থ তাদের বাড়িতে। এরপর তাকে মারধর করেন এ কে রাজু, আব্দুস সালাম ও তাদের সহযোগী রুবেল, আনছার সহ আরো দুই যুবক।
এব্যাপারে অভিযুক্ত এ কে রাজু বলেন, ফরহাদ আমাদের দোকান থেকে মাল চুরি করে। এসময় তাকে জনতা মারধর করেন। আমরা জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাই। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা।