বুধবার ● ৬ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » জনকল্যাণমূলক কাজে গাইবান্ধার পুলিশ
জনকল্যাণমূলক কাজে গাইবান্ধার পুলিশ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: জনকল্যাণমূলক কাজে গাইবান্ধার পুলিশ ভিন্ন ধারার সূচনা করেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ তাদের বিধিবদ্ধ কাজের পাশাপাশি গাইবান্ধার জেলা পুলিশ বর্তমান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সামাজিক সমস্যা সংকট নিরসন, ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত জনসচেতনতা, শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেয়া প্রতিহত করে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রশংসনীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পরিলক্ষিত হয় যে, জেলা শহরে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে রেল লাইন ও রেল স্টেশনের আশেপাশে, পৌর পার্কে, স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা ও শহর রক্ষা বাঁধ এলাকা জুড়ে বই-খাতার ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এই প্রবণতা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজগামি করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনসচেনতামূলক পোস্টারিং করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ চলাকালিন সময়ে লেখাপড়া ছেড়ে তাদের ওই সমস্ত এলাকায় আড্ডা না দিতে ব্যক্তিগতভাবেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসমস্ত পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘বিশেষ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’- পৌরপার্ক ও রেল লাইনের সংলগ্ন এলাকায়, স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পৌরপার্কে বসে আড্ডা দেয়া নিষেধ, প্রচারে- জেলা পুলিশ গাইবান্ধা।
এছাড়া সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর জরিমানা ও শাস্তি সম্পর্কিত সচেতনতামূলক পোস্টারও লাগানো হয়েছে। এসমস্ত পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে- আপনাকে অভিবাদন গাড়ী চলাকালিন সময়ে আপনি সিটবেল্ট ও হেলমেট ব্যবহার করেছেন। পুলিশ সুপার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে নিজে এ সমস্ত পোস্টার লাগিয়েছেন এবং জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছেন।
এমনকি হেলমেট ব্যবহারসহ যে সমস্ত মোটর সাইকেল চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিষ্ট্রেশন সঠিক আছে তাদের রাস্তায় লাল গোলাপ ফুল এবং রজনী গন্ধা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জেলা পুলিশিং কমিটির কর্মকর্তা, সদস্য, মটর মালিক, মটর শ্রমিক, রিক্সা-অটো শ্রমিক এবং মালিক ও শ্রমিকদের সাথে জেলা শহরে যানজট নিরসন, সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলা এবং জননিরাপত্তা বিধানে সচেতন হওয়ার জন্য মতবিনিময় করেছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। একই ধরণের তৎপরতা জেলার সাতটি উপজেলাতেও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চালানো হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশের এই ভিন্ন ধারার কাজের সূচনা ইতোমধ্যে গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে সার্বিক প্রশংসা অর্জন করেছে।
গাইবান্ধায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার দাবি
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে এতদঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ। এব্যাপারে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য ডাঃ মো. ইউনুস আলী সরকার এব্যাপারে সুপারিশ সম্বলিত একটি পত্র প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রংপুর বিভাগের মানুষ অব্যাহত নদী ভাঙ্গন, খড়া সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন এবং অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল। তদুপরি এতদঞ্চলে কোন শিল্প কারখানা গড়ে না ওঠায় কর্মসংস্থানের অবস্থা অত্যান্ত প্রকট। এমতাবস্থায় ফকিরহাট এলাকায় একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
সম্প্রতি ইপিজেড শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য শর্তগুলো পূরণ করে সুষ্ঠ প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। ফকিরহাট একটি পল্লী অঞ্চল হলেও এখানে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও পল্লী বিদ্যুতের আওতায় বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। তদুপরি প্রস্তাবিত এলাকায় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতাভূক্ত নয়। উক্ত এলাকার মাঝখানে ছোট একটি নলেয়া নদীর উপর ভেগী ব্রীজের বালাবামুনিয়া মৌজায় অংশের মাঝখানে ফকিরহাট-পলাশবাড়ি রোডের চারপাশের জমিগুলোতে কোন ফসল হয় না। ওই জমিগুলোতে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এবং জনকল্যাণার্থে শিল্প অঞ্চল গড়ে উঠলে এলাকার সাধারণ মানুষদের ঢাকা-চট্টগ্রাম জেলায় কর্মের জন্য যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
জানা গেছে, এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ অধিশাখার উপ-সচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত পলাশবাড়ির ফকিরহাটে সরকারি উদ্যোগে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য আবেদনপত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্বাহী চেয়ারম্যান বরাবরে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক বিনিয়োগ উন্নয়ন আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল (উপ-সচিব) স্বাক্ষরিত এক পত্রে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক ৬টি নির্ধারিত বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া এতদঞ্চলে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ উন্নয়ন শাখা থেকে মহাব্যবস্থাপক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) বেজাকে জরুরী ভিত্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুর স্মরণে গাইবান্ধায় কর্মসূচি পালন
গাইবান্ধা :: ঢাকার সাবেক মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুর স্মরণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, নেতা কর্মীদের কালো ব্যাচ ধারন, কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনিসুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুন নবী টিটুল, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরকার ও মোঃ শহিদুজ্জামান শহিদ, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক খন্দকার ওমর ফারুক সেলু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস হোসেন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলমগীর সাদুল্লা দুদু ও মোঃ আতোয়ার রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম নান্নু, কোষাধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক স্বপন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই মিয়া, মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক এস,এম কামাল হোসেন, সহ-মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম রুবেল, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল আজিজ, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নজরুল ইসলাম, সাবেক বিএনপি নেতা কাজী কাদের নেওয়াজ সেলু। দোয়া পরিচালনা করেন- জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা মোঃ ইউসুব আলী প্রমুখ।