রবিবার ● ১০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ করে জনতার ঐক্যের ডাকে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান : ঊষাতন তালুকদার
ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ করে জনতার ঐক্যের ডাকে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান : ঊষাতন তালুকদার
রাঙামাটি :: “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ জুম্ম জাতির অস্তিত্ব সুরক্ষায় এগিয়ে আসুন” এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১০ অক্টোবর রবিবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মুল) রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যে পালিত হয় স্বরণীয় এদিনটি। আলোচনা সভা ও স্মরণসভার আগে সকালে প্রভাত ফেরি ও মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আলোচনা সভার আগে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন উপস্থিতি ও নেতাকর্মীরা। সভার শুরুতেই শোক প্রস্তাব পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস-মুল), রাঙামাটি জেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য ও রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি নিখোলাই পাংখোয়া এর সভাপতিত্ত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুনির্মল দেওয়ান।
এসময় ঊষাতন তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ভূমিকা অপরিসীম। পার্বত্য অঞ্চলের বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতি লক্ষ করে বলা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের কোনো প্রতিনিধিই মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা জন্মবার্ষিকী কিংবা মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন না। এটি সকরের জন্য দুঃখজনক। তবে পাহাড়ি জনগণ ঐক্য চাই বলে যে ডাক দিয়েছেন তাদের ঐক্যর পন্থা আমি স্বাগতম জানাই। জনতার ঐক্যর ডাককে পিসিজেএসএস (লারমা)’র কর্ণপাত করা অতি জরুরী ও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ করে জনতার ঐক্যের ডাকে সাথে একাত্মতা প্রকাশ আহ্বান জানান ঊষাতন তালুকদার।
ঊষাতন তালুকদার আরো বলেন, আওয়ামিলীগ নেতারা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল। বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলেও রাঙামাটিতে বিকাশ ঘটেনি। এর কারন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান না করা।পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধান না করে এই অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো কিংবা পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়।
বক্তারা এমএন লারমার জীবনী নিয়ে বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এমএন লারমা) ছিলেন জুম্ম জাতির অগ্রদূত। জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি কখনো মৃত্যুকে ভয় পান নি। মহান নেতা এমএন লারমাকে দেশী-বিদেশীদের ষড়যন্ত্র পূর্বক মেরে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু হত্যাকারীদের বিচার এখনো হয়নি।