সোমবার ● ১১ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » সংঘাত বন্ধের আহ্বানকে স্বাগত, ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জনগণের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি : ইউপিডিএফ-প্রসিত
সংঘাত বন্ধের আহ্বানকে স্বাগত, ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জনগণের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি : ইউপিডিএফ-প্রসিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসিত) এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা আজ সোমবার ১১ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ জুম্ম জাতির অস্তিত্ব সুরক্ষায় এগিয়ে আসুন” এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি ও খাগড়াছিড়িতে সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় আয়োজিত সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের পৃথকভাবে দেয়া সংঘাত বন্ধের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইউপিডিএফ-প্রসিত ১৯৯৮ সাল থেকে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আহবান জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মুল) এর সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার এবং সংস্কারপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) এর সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমা ওরফে মেজর পেলে বাবু ও প্রিয় কুমার চাকমার আহ্বান যদি আন্তরিক হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবশ্যই আন্তঃজুম্ম রক্তাক্ত রাজনৈতিক সংঘাতের অবসান হবে এবং ঐক্য ফিরে আসবে।’’
তিনি উভয় (আঞ্চলিক দল) পার্টিকে কথা ও কাজের মধ্যে মিল রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘‘ইউপিডিএফ অতীতের সংঘাতের সকল তিক্ত অভিজ্ঞতার বোঝা পেছনে ঝেড়ে ফেলে মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ‘ক্ষমা করা ভুলে যাওয়া’ নীতির ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে ঐক্যের এক নতুন অধ্যায়ের সুচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’’
তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, “ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জনগণের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি, বরং জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এজন্য সাধারণ জনগণ মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে এই সংঘাত হানহানি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।” কোন সুস্থ মস্তিষ্ক ও বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ জাতীয় ও জনস্বার্থে হানিকর ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চাইতে পারে না এবং তাতে ইন্ধন, প্ররোচনা কিংবা উস্কানিও দিতে পারে না।