সোমবার ● ১১ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » সংকটে গাইবান্ধার হর্টিকালচার সেন্টার
সংকটে গাইবান্ধার হর্টিকালচার সেন্টার
ষ্টাফ রিপোর্টার, সাইফুল মিলন :: গাইবান্ধার হর্টিকালচার সেন্টার ২০১৮ সালের জুন মাসে ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও এখনও নানা সমস্যা সংকটে তাদের নিজস্ব কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। শুধুমাত্র অফিস ভবন ও চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ ও চতুর পার্শে প্রাচীর স্থাপন করেই গাইবান্ধা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের পরিত্যক্ত ১৫.৮ একর জমি ও সিনিয়র হর্টিকালচারিস্ট সহ মাত্র ৭ জন স্টাফ নিয়ে এই হর্টিকালচার সেন্টারটি যাত্রা শুরু করে।
প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় কৃষি বিভাগের আওতাধীন এই হর্টিকালচার সেন্টারটির নিজস্ব নিচু জমিগুলোতে এখনও মাটি ভরাট করে কৃষি কাজের উপযোগি করে তুলতে পারেনি। ফলে এই হর্টিকালচার সেন্টারটি থেকে মানুষ তাদের কাংখিত উন্নত জাতের ফলের চারা সংগ্রহ করতে পারছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই হর্টিকালচার সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র হর্টিকালচারিস্ট উদ্যান তত্ত্ববিদ ড. মো. সাইফুর আরেফিনকে পাওয়া যায়নি। বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট কাজে তিনি রংপুরে অবস্থান করছিলেন বলে কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারি জসিম উদ্দিন জানান। মোবাইল ফোনে সিনিয়র হর্টিকালচারিস্ট উদ্যান তত্ত্ববিদ ড. মো. সাইফুর আরেফিন জানান, কৃষি বিভাগের অধীনে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই হর্টিকালচার সেন্টারটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। মাটি ভরাট করে জমি তৈরীর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ এখনও পাওয়া যায়নি বিধায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি অফিস সংলগ্ন সামান্য কিছু জমিতে উন্নত জাতের ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত উন্নত এবং ছোট্ট জাতের নারকেল গাছের চারা, যে গাছগুলোর আকৃতি হয় অত্যান্ত ছোট এবং নারকেলও ধরে অনেক বেশী। এছাড়াও রয়েছে উন্নত জাতের আম, মাল্টা, লেবু ও পেয়ারা গাছের চারা। ঢাকাস্থ কৃষি খামার থেকে পাঠানো অল্প কিছু চারা বিক্রি করে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যান সৃজন করে এই হর্টিকালচার সেন্টারটির এখন তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
পউল্লেখ্য যে, এই হর্টিকালচার সেন্টারটিতে যাদের জমি আছে তাদেরকে বাণিজ্যিক বাগান ও প্রদর্শনী খামার করে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রদান ও উন্নত জাতের চারা প্রদানসহ বাগান সৃজনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া এই হর্টিকালচার সেন্টারে উৎপাদিত উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা খুব স্বল্প মূল্যেও বিক্রয় করা হবে। কিন্তু এই হর্টিকালচার সেন্টার থেকে কবে নাগাদ নিজস্ব চারা উৎপাদনের মাধ্যমে উদ্যান সৃজনসহ উন্নতমানের ফলের চারা বিতরণে সক্ষম হবে তা এখনও অনিশ্চিত।