মঙ্গলবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিদ্যালয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালান লিমা
বিদ্যালয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালান লিমা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে বিদ্যালয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন লিমা বেগম (৩৪) নামের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ইলামেরাগাঁও গ্রামের মৃত ছমরু মিয়া মেয়ে। স্থানীয় ইলামেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি ও গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে তিনি সংসার পরিচালনার পাশাপাশি একমাত্র মেয়ের পড়ালেখার খরচও চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, প্রায় পনের বছর পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার বাসিন্দা দুদু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় বিশ্বনাথের লিমা বেগমের। বিয়ের বছরখানেক পর তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। মেয়ের জন্মের দুই মাস পরই দুদু মিয়ার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় লিমা বেগমের। ফলে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে নিজ পিত্রালয়ে চলে আসেন লিমা। কিন্ত পিতার দরিদ্র পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় এই যখন অবস্থা, তখন লিমা ও তার সন্তানের ভরণ পোষন চালিয়ে যাওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়ে পিতার পরিবারের পক্ষে। তাই গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন লিমা। এলাকার বৃত্তবান লোকদের সহায়তায় পিতার বাড়িতে একটি ছোট ঘন তৈরী করে সেখানে মেয়ে ইমা বেগমকে নিয়ে তিনি দিন যাপন শুরু করেন তিনি। ইমা স্থানীয় ইলামেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। প্রায় ৭ বছর থেকে ওই বিদ্যালয়েই প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঝালমুড়ি বিক্রয় করে আসছেন লিমা বেগম। সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যেতে বিভিন্ন বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করার পাশাপাশি তিনি বিদ্যালয়ে ঝালমুড়ি বিক্রয় করেন।
লিমা বেগম জানান, দুই থেকে তিনশত টাকা পুঁজি দিয়ে প্রতিদিন ঝালমুড়ি, চানাচুর, আচার বাজার থেকে ক্রয় করে এনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসে তা শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করেন। এতে প্রতিদিন গড়ে তার প্রায় একশত টাকা আয় হয়। ঝালমুড়ি বিক্রির পাশাপাশি তিনি সকাল ও বিকেলে এবং বিদ্যালয় বন্ধের দিন গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করেন। এতে তিনি যা উপার্যন করেন তাতেই কোনমতে মা-মেয়ের সংসার চলছে।
লিমা বেগম বলেন- জন্মের পর থেকে আমার মেয়ে ইমা’র খোঁজখবর নেয়নি তার বাবা। ইমাকে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। সে পড়ালেখা করে একদিন অনেক বড় হবে। অসুস্থ শরীর নিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে যে টাকা পাই, তাতে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালানু দূরের কথা দু’বেলা পেট ভরে খাবারই খেতে পারি না। তাই বিভিন্ন বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করার পাশাপাশি স্কুলে ঝালমুড়ি বিক্রি করি। আমার পূঁজি না থাকায় অল্প টাকা দিয়েই ঝালমুড়ি ক্রয় করে তা বিক্রি করি। এতে সামান্য টাকা উপার্যন হয়।
বিশ্বনাথে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ মঙ্গলবার সকালে বিআরডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া। ৩৩৩-এ কল করে উপজেলার যে কেউ নিজের কাঙ্খিত সেবা পেতে পারেন বলে সভাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, এলজিইডির আওতাধীন উপজেলার রামপাশা-আশুগঞ্জ সড়কের পাশের একাধিক গাছ কর্তনকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন, উপজেলার বিভিন্ন সড়কের যানজট নিরুসনের প্রদক্ষেপ গ্রহন, উপজেলা সদরসহ বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার ও উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন এবং অনিয়ম-দূর্নীতি থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দ্রুত আইনী জটিলতা দূর করে উপজেলার দশঘর-দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবী জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমদ, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য, বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সাংবাদিক কামাল মুন্না, নবীন সোহেল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ওয়াহিদ আলী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগম, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত চিকিৎসক আরাফাত মাসুদ, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আমির হোসেন, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী নাজমুল হাসান, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের প্রভাষক সঞ্জিত কুমার সাহা রায়, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল হান্নান ইউজেটিক্স, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মধু মিয়া প্রমুখ।
মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের হামদর চক নিবাসী আলহাজ ইউনুছ আলী সাহেবের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ট ছেলে মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ সম্প্রতি অনুমোদিত জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট মহানগর শাখার সহ-সাংগঠনিক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ ২০০৩ সালে রাগিব-রাবেয়া স্কুল এন্ড কলেজে এস এস সি পরিক্ষার পূর্ব থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সহিত জড়িয়ে পড়েন এবং যা কলেজ জীবনে এসে পূর্ণতা প্রাপ্তি ঘটে। অত:পর সিলেট শহরের উল্লেখযোগ্য করিম উল্লা মার্কেটে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলে বসলেও শহরের পাশাপাশি এলাকার সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িত থেকে সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে থাকেন।তাইতো দেখা যায় সদালাপি, বিনয়ী, অকুতোভয় এ তরুণ তারুণ্যের উদ্দিপনায় উচছ্বসিত।তিনি করিম উল্লা মার্কেটের ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সমাজ কল্যান সম্পাদক, রেডক্রিসেন্ট সিলেট শাখার লাইফ মেম্বার, রোটারেক্ট ক্লাব জালালাবাদ এর সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট, চেম্বার অব কমার্স’র সদস্য, সিলেট মানবাধিকার বাস্থবায়ন সংস্থার সদস্য, আলোকিত যুব কল্যান সংস্থা প্রীতিগঞ্জ বাজার’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আল-ফালাহ লতিফিয়া সমাজকল্যান সংস্থার প্রেসিডেন্ড’র পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দায়িত্ব, কর্তব্য ও নিষ্টার সহিত পরিচালনা করে মানুষের হৃদয়াসনে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।মানবিক, পরিচছন্ন রাজনীতির একনিষ্ট কর্মী হিসাবে তিনি এগিয়ে যেত চান।মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতাকাশ্রিত থেকে মানুষ ও মানবতার কল্যানে তিনি কাজ করে যাবার প্রত্যয়ী প্রত্যাশী এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মহানগর শ্রমিকলীগ এর সম্মানিত সভাপতি যিনি আমাকে নিজের ভাইয়ের স্নেহের ভাগ দেন এম, শাহরিয়ার কবির সেলিম ভাইসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের।