মঙ্গলবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে
ঢাকাগামী তূর্ণা আর চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায় উদয়ন এক্সপ্রেসের ৩টি বগি। বিধ্বস্ত হয় তূর্ণা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনও। দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হয় ৬২ জন যাত্রী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর মৃত্যু হয় আরও ৫ জনের। বিধ্বস্ত বগির নিচ থেকে মেলে আরও একজনের মরদেহ। আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ইয়াছিন আরাফাত (সদর, হবিগঞ্জ), রিপন মিয়া (সদর, হবিগঞ্জ), সুজন আহমেদ (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ), পিয়ারা বেগম (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ), আল আমিন (বানিয়াচং, হবিগঞ্জ), আলী আহম্মেদ ইউসুফ (আনোয়ারপুর, হবিগঞ্জ), সোহামনি (বানিয়াচং, হবিগঞ্জ) আদিবা (বানিয়াচং, হবিগঞ্জ)। এছাড়া, মুজিবুর রহমান (হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর), কুলসুম বেগম (হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর), ফারজানা (সদর, চাঁদপুর) এবং শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের কাকলী বেগম, আমাতুন বেগম (ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর), মরিয়ম (ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর), জাহেদা খাতুন (শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার) ও রবি হরিজন (মাইজদি, নোয়াখালী)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনই উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে উদ্ধার অভিযান শুরু করে এলাকাবাসী, পরে যোগ দেয় পুলিশ, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত বগিগুলো সরিয়ে নেয় রিলিফ ট্রেন। স্বাভাবিক হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্টেশনে প্রবেশ করতে থাকা উদয়ন এক্সপ্রেসের পেছনের দিকে তূর্ণা এক্সপ্রেস ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের বেশিরভাগকেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর ৯ জনকে পঙ্গু হাসপাতালে, সাতজনকে ঢাকা সিএমএইচে, ৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ জন, সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে ৫ জন, কুমিল্লা মেডিক্যালে ৩ জন এবং অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি তূর্ণার চালকের অসচেতনতার কারণে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে রেল মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ১ লাখ টাকা করে দেয়ার কথাও জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এছাড়া পক্ষত হেকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর আহতদের দেয়া হবে ১০ হাজার টাকা করে।
এ ঘটনার তদন্তে পাঁচটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তদন্ত কমিটিগুলোকে। সূত্র :ডিবিসি