বুধবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফেঞ্চুগঞ্জে বয়স্ক ভাতা তুলতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জিলু দ্বারা হয়রানির অভিযোগ
ফেঞ্চুগঞ্জে বয়স্ক ভাতা তুলতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জিলু দ্বারা হয়রানির অভিযোগ
ফেঞ্চুগঞ্জ :: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৪নং উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আনোয়ারা বেগমের বয়স্ক ভাতা তুলতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জিলু কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়েছেন নমিনী সৈয়দ শিপন আহমদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুমন মিয়া।
উল্লেখ্য সৈয়দ সুমন বলেন, গত ২ অক্টোবর আমার মায়ের বয়স্ক ভাতা তিনি মৃত থাকায় নমিনী দ্বারা উত্তোলনের জন্য সমাজ সেবা অফিসে যাই এবং অফিস থেকে আমাকে ভাতা উত্তোলনের একটি ফরম প্রদান করেন, ফরমটি চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড সদস্য/সদস্যা দ্বারা সত্যায়িত করার জন্য বলা হয়, পরে আমি গত ৩ অক্টোবর ২০১৯ ইউনিয়ন পরিষদের চ্যোরম্যান আহমদ জিলুর কাছে আমার মায়ের ভাতার ফরমটি সত্যায়িত করার জন্য পাঠিয়ে থাকি, আমার ছোট ভাই এবং ভাতার নমিনী সৈয়দ শিপন আহমদকে ইউনিয়ন পরিষদে ফরমটি সত্যায়িত করার জন্য পাঠাইলে সে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৭টা পর্যন্ত তাহার জন্য অপেক্ষা করে, এবং আহমদ জিলু ইউনিয়ন পরিষদে আসিলে আমার ছোট ভাই কাগজ গুলো তাহার সামনে বাহির করিয়া সত্যায়িত করিয়া দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করিলে তিনি কাগজ গুলো অস্পষ্ট বলিয়া সাথে সাথে ছুরে ফেলিয়া দেন।
তাৎক্ষনিক আমার ছোট ভাই আমাকে ফোন করিয়া জানায় পরে আমি আহমদ জিলুকে ফোনে বিস্তারিত কিছু কথা খুলিয়া বলি যে- দেখুন চেয়ারম্যান সাহেব আমি নিজে উপজেলায় গিয়া সমাজসেবা থেকে ফরম সংগ্রহ করিয়াছি সমাজসেবা থেকে আমাকে ফরমটি দেওয়া হয়েছে লিখাটাও স্পষ্ট আছে এতটা অস্পষ্ট নয়, তিনি কোন ভাবে দিতে বাধ্য নয়, ফোন কাটিয়া গেলে আমি আবার ফোন করি ও বলি যে, দেখুন ভাই আমার ছোট ভাই একজন বিদেশ যাত্রী, বিদেশে যাওয়ার সকল কাজ শেষ, আপনি আমার কাগজটি না আটকিয়ে সত্যায়িত করে দিয়ে দেন অতপর; তিনি বলেন আমাকে চিনেন না, আমি বলি আচ্চা ঠিক আছে আমাকে যদি আপনি না চিনেন তাহলে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য রায়হান আহমদকে ফোন করে জেনে পরে না হয় সত্যায়িত করে দেন কিন্তু কাজ হয়নি তিনি ফিরাইয়া দেন।
তাৎক্ষনিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিনকে অবহিত করি তিনি বিষয়টি দেখতেছেন বলে আমাকে শান্তনা দেন এবং তিনিও কয়েকদিন পর ট্রান্সপার হয়ে যান। আমি সমাজসেবা অফিসে গিয়ে এই ফরমটির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি শুনিয়া খুবই দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আমাকে কম্পিউটার থেকে একটি অরিজিনাল কপি প্রিন্ট করিয়া ফরমটি পূরন করিয়া দেন।
আমি আমার ভাই নমিনী সৈয়দ শিপন আহমদকে আবোরো ইউনিয়ন পরিষদে পাঠাই এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে অবহিত করি- তিনিও অনুরোধ করেছেন বলে আমাকে জানান এবং তখন চেয়ারম্যান আহমদ জিলু বলেন রায়হান মেম্বারের সাইন আগে নিয়ে আসুন আমি পরে সাইন করবো, রায়হান মেম্বারের কাছে গেলে তিনি বলেন আমি সাইন করতে পারব না চেয়ারম্যান ছাড়া, পরে আমি সমাজসেবা অফিসে গিয়ে বিষয়টি বলিলে দায়িত্বরত অফিসার বলেন মহিলা ওয়ার্ড সদস্যার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিয়ে আসার জন্য পরে সাথে সাথে ঐদিন মহিলা ওয়ার্ড সদস্যার বাড়িতে আমার ভাইকে পাঠাইলে তিনিও সাইন করতে মানা করেন এবং আহমদ জিলু মানা করায় সাথী রানী দাস সাইন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ জিলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।