বৃহস্পতিবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে নিয়মিত বসছে বিষমুক্ত লাউয়ের হাট
বিশ্বনাথে নিয়মিত বসছে বিষমুক্ত লাউয়ের হাট
ষ্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মুফতি বাজারে নিয়মিত বসছে বিষমুক্ত লাউয়ের হাট। স্থানীয় লাউ চাষিরা ভোর থেকেই লাউভর্তি ভ্যান নিয়ে লাউ বিক্রির জন্য হাজির হন স্থানীয় মুফতির বাজারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চারদিকে লাউ আর লাউ। খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাউ চাষিরা এসব লাউ মুফতির বাজারে নিয়ে আসেন। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মুফতির বাজারে বসে এই লাউয়ের হাট। লাউ চাষ করে সাবলম্বী হয়ে উঠছেন স্থানীয় কৃষক। এসব লাউ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ছাড়াও সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি হয়। চাষিরা প্রতিদিন উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মুফতির বাজার সকালে লাউ নিয়ে আসেন। বিশ্বনাথের সব চেয়ে বড় সবজির বাজার হিসেবে পরিচত মুফতির বাজার। এ বাজার থেকে প্রতিদিন সকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি সরবরাহ করা হয়।
সবজি চাষিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে লাউ বিক্রি শুরু করতে পারায় বেশি টাকা আয় করা সম্ভব বলে মনে করছেন লাউ চাষিরা। এসব লাউ সিলেট নগরীর বিভিন্ন আড়তে পাইকারি দরে বিক্রি হয়। অনেক সময় পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাজা লাউ কিনতে সরাসরি ক্ষেতে চলে যান। স্থানীয় বাজারে এ লাউয়ের প্রচুর চাহিদা। কীটনাশকমুক্ত ও সার কম থাকায় সিলেটের বাইরের লাউয়ের থেকে স্থানীয় এ লাউ সুস্বাদু।
মুফতির বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রানা বলেন, আমাদের এলাকায় প্রতি বছর প্রচুর সবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। প্রতিদিন স্থানীয় মুফতির বাজার লাউ চাষিরা লাউ এনে বিক্রি করেন।
খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মুফতির বাজারে বিষমুক্ত শীতকালীন সবজি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তাই এই এলাকার সকল সবজি চাষি এ বাজারে তাদের সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে যান।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, ‘এবার শীতকালীন আগাম লাউয়ের ভালো ফলন হয়েছে।
বিশ্বনাথে প্রবেশপত্র জালিয়াতি মামলার আসামী গ্রেফতার
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে জালিয়াতি মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তার নাম শিপন মালাকার (২৮) তিনি উপজেলা সদরের পুরানবাজারস্থ রণজিত মালাকারের মালিকানাধীন ‘রাখি কম্পিউটার এন্ড ষ্ট্রেশনারী সামগ্রীর’ কর্মচারী ও দশঘর ইউনিয়নের দশঘর গ্রামের নান্ঠু মালাকারের পুত্র। তার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানার মামলা নং ২ রয়েছে। ২(১১) ১৯ইং।
পুলিশ জানায়, শিপন মালাকার জেএসসি পরীক্ষায় জাল প্রবেশপত্র তৈরী করে দিয়েছিলেন এক ছাত্রকে। এ ঘটনায় ২ নভেম্বর বিশ্বনাথ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইনট্রাক্টর বিশ্বজিৎ দেব বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর বুধবার বিশ্বনাথ থানার এস,আই রত্না বেগম একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি মামলার আসামী শিপন মালাকারকে গ্রেফতার করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, জালিয়াতি মামলার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিশ্বনাথের কাইয়া-কাইড় নতুনবাজারে পুলিশের সভা
বিশ্বনাথ :: চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের উদ্যোগে কাইয়া-কাইড় নতুনবাজারে সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছয়ফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ থানার এস,আই জামাল উদ্দিন, পরিমল দাস, এ,এস,আই বিমল চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা নীরেশ বর্ধন, কাইয়া-কাইড় নতুনবাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউ/পি সদস্য মো. মলিক মিয়া, সাবেক ইউ/পি সদস্য তফজ্জুল আলী, আবুল কালাম আজাদ, সংগঠক আফতাব মিয়া, সাইদুল ইসলাম, জিলু মিয়া, সন্তু মিয়া, নজির আহমদ, রুমন মিয়া, মতছির আলী, ইদ্রিস আলী, কাজল নাথ, মতি বৈদ্য, নানু মিয়া, আহাদ আলী, মাসুক মিয়া, সেবুল মিয়া, জামাল আহমদ, শিপন বর্ধন, কাওছার আহমদ, হেলাল আহমদ, আবুল কালাম, নূর মিয়া, আউয়াল মিয়া, শাহ আলম, বকুল মিয়া, আব্দুস সালাম, বাবুল মিয়া, মাওলানা আব্দুল গফুর, শহিদুল ইসলাম, আসাদ খান, মামুন আহমদ ও রফিক মিয়া প্রমুখ।
সভায় রণ পাহারা (রাত্রী কালীন চুরি/ডাকাতি রোধকল্পে) ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন ইউ/পি সদস্য শাহনেওয়াজ চৌধুরী সেলিম, সাবেক ইউপি সদস্য মো. মলিক মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, তফজ্জুল আলী, সাইদুল ইসলাম, জিলু মিয়া, আব্দুল কালাম।