শুক্রবার ● ১৫ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » শুন্য থেকে কোটিপতি স্বেচ্ছাবেকলীগ সাঃ সম্পাদক প্রার্থী মনোয়ারুল
শুন্য থেকে কোটিপতি স্বেচ্ছাবেকলীগ সাঃ সম্পাদক প্রার্থী মনোয়ারুল
ঢাকা :: ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল মাত্র অল্প দিনেই কোটিপতি বনে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে মাত্র কয়েক বছরে ঢাকায় ফ্লাট, গাড়ী ও পুর্বাচলে জমি ক্রয় করেছে। এমনকি তার ও তার স্ত্রী ব্যাংকে কোটি টাকা ব্যালেন্স রয়েছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কে, এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল এবার মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী। পদ পেতে ইতোমধ্যে টাকা পয়সা খরচসহ জোরালোভাবে লবিংগ্রপ্রিং চালিয়ে যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, সাধারন সম্পাদক পদ পেলে মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল আরো বেপোয়ারো হয়ে ওঠবে। মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সংগঠনটি কলুষিত করার পাশাপাশি টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজীর মাত্রা বেড়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার থানার বাসিন্দা কে,এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল। প্রায় ১৮ বছর যাবত ঢাকায় বসবাস শুরু করে। শুরুতে ঢাকার মিরপুরে একটি ম্যাসে থাকত। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠে মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল। প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে বিপুল। এরই মধ্যে মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়ায় ক্ষমতার দাপট আরো বেড়ে যায়। শুরু করে চাঁদাবাজি। ফুটপাতের দোকান, গার্মেন্টস কারখানা ও সরকারী একটি অফিস থেকে নিয়মিত চাঁদা নেয়া শুরু করে। কালসী এলাকার গরুর হাটের নিয়ন্ত্রণ করে অবৈধভাবে টাকা রোজগার শুরু করে। বিভিন্ন অফিস আদালত থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসোহারা নিতে শুরু করে। অফিস আদালতে টেন্ডারবাজি শুরু করে। প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে-বেনামে কাজ বাগিয়ে নিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা কমিশন নেয়া আরম্ভ। মাত্র কয়েক বছরে মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল ঢাকায় ফ্লাট বাড়ী, পুর্বাচলে জমি ও আধুনিক মডেলের কারের মালিক হয়ে যায়। বিপুল পরিমান অর্থ নিজ ও স্ত্রী নামে ব্যাংক ব্যালেন্স করেছে। এবার মহানগর উত্তর সম্মেলনে নিজেকে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ঘোষনা শুরু করে মাঠে নেমেছে। কর্মীদের তার পক্ষে নেয়ার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ করছে। যে কোন মুল্যে যেন তার পদ পেতেই হবে। তার কাছের কয়েকজন কর্মী জানান, পদ না পেলে তার চাঁদাবাজিসহ সকল অপকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য পদ পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্যাগী নেতারা জানান, কোনক্রমে মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল সাধারন সম্পাদক পদ পেলে ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগকে সে কলুষিতসহ চাঁদাবাজ সংগঠন হিসেবে করে তুলবে। চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজ নেতারা যাতে মহানগর উত্তর স্বেচছাসেবকলীগে স্থান না পায় এ জন্য ত্যাগী নেতাকর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।