শুক্রবার ● ১৫ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় এসিল্যান্ড নিহত হওয়ার ঘটনায় পিবিআইর তদন্তের নির্দেশ
গাইবান্ধায় এসিল্যান্ড নিহত হওয়ার ঘটনায় পিবিআইর তদন্তের নির্দেশ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: ২০১৪ সালে গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবিদীয় মার্ডি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের আবেদনের প্রেক্ষিতে তৃতীয় দফা শুনানী শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র এই আদেশ দেন। আদেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন পিবিআইকে আগামী ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারী তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমাদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ড. খন্দকার মো. মুশফিকুল হুদা।
গোবিন্দগঞ্জের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবিদীয় মার্ডি বিগত ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য গত ৮ এপ্রিল নিহতের ভাই স্যামন মার্ডি গোবিন্দগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চৌকি) আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র’র কাছে আবেদন করেন। আবেদনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা সহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা শুনানী শেষে অধিকতর শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেন। ফলে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় শুনানী শেষে আদালত পিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবিদীয় মার্ডি তার নিজ বাড়ি নওগাঁর ধামুরহাট থেকে কর্মস্থলে আসার পথে গোবিন্দগঞ্জের কাটা নামক এলাকায় সিএনজির অটোরিক্সার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার কওে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন নিয়ে প্রবেশ করায় বহিস্কার ৭ শিক্ষার্থী
গাইবান্ধা :: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজী পরীক্ষায় মোবাইলফোনের মাধ্যমে নকল করার দায়ে গাইবান্ধায় ৭ শির্ক্ষাথীকে বহিষ্কার করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজ ও আসাদুজ্জামান কলেজ থেকে এ ৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমির হামজা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শতভাগ নকলমুক্ত পরীক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জেলার সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা মহিলা কলেজ ও আসাদুজ্জামান কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে ৭ শিক্ষার্থীর কাছে এ্যানড্রোয়েড মোবাইল পাওয়া যায়। এ সময় তাদের মোবাইলে নকল পাওয়া যায়। পরে নিয়মানুযায়ী তাদের বহিস্কার করা হয়।