মঙ্গলবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » জাল সার্টিফিকেটে চাকরী ইসলামী ফাউন্ডেশনের শৈলকুপার কেয়ারটেকারকে বরখাস্ত
জাল সার্টিফিকেটে চাকরী ইসলামী ফাউন্ডেশনের শৈলকুপার কেয়ারটেকারকে বরখাস্ত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরী করছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের শৈলকুপা উপজেলার তমালতলা বাজার সাধারণ রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুক। অবশেষে ধরা পড়ে চাকরী খোয়ালেন তিনি। আসাদুজ্জামান ফারুক শৈলকুপার রামজয়পুর গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে। মসজিদ ভিত্তক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রম বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদ সাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ১৬.০১.০০০০.০২৫.১৯.১০০.০৯.২০০ স্মারকের চিঠি সুত্রে জানা গেছে, রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুক চাকরী গ্রহনের সময় জাল এইচ.এস.সি সার্টিফিকেট জমা দেন। তদন্ত শেষে তা প্রমানিত হয় এবং সাধারণ কেয়ারটেকারের অব্যহতি নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে তাকে চাকরী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অব্যাহতি দেওয়া হলেও রাষ্ট্রিয় কোষাগার থেকে মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুক ২০১৬ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত বেতন নিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার, ঈদ বোনাস নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা, টিএ ডিএ বিল নিয়েছেন ৪৩ হাজার ২০০ টাকা। সর্বমোট তিনি আনুমানিক ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদের চিঠিতে ওই টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরৎ দেওয়ার কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, কেয়ারটেকার মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুকের আরেক ভাই মাগুরা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান জাল সার্টিফিকেট জোগাড় করে বড় ভাইকে চাকরী দেন। ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক অফিসে ভাইবা পরীক্ষার সময় তৎকালীন ঝিনাইদহ ইফার উপ-পরিচালক সুলতান আহম্মেদ বিষয়টি ধরে ফেলেন। তিনি তিনবার আসাদুজ্জামান ফারুকের ফাইল ফেরৎ দেন। কিন্তু তৌহিদ রাজনৈতিক ও পেশি শক্তি খাটিয়ে ভাইকে চাকরী দিতে সক্ষম হন। এ খবর নিজেই সাংবাদিকদের জানান সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ঝিনাইদহ ইফার উপ-পরিচালক সুলতান আহম্মেদ। তিনি বলেন, আমাকে চাপ দিয়ে তৌহিদ তার ভাই আসাদকে চাকরী দিতে বাধ্য করেন। এদিকে মাগুরা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমানকেও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইফার এক চিঠিতে বলা হয়, আপন বড় ভাইকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট জোগাড় করে চাকরী দেন। এ বিষয়ে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তৌহিদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত হয় এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
তদন্ত কমিটি প্রশ্ন আপনি কি ভাবে এই চেয়ারে আছেন ?
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম গঠন করা হয়। সে মোতাবেক গতকাল মঙ্গলবার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে আসেন সরেজমিন তদন্ত করতে। মজিদ মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সমুহ হলো, অবৈধ ভাবে অধ্যক্ষের চেয়ার দখল, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞপ্তিবিহীন ও জনবল কাঠামো বর্হিভুত ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাহামান্য হাইকোর্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে তহবিল তছরুপের ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করা। মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালকের ৩৭.০২.৪৭০০.০০০.০১.০২.০১.১৭-৪৫১ নং স্মারকের চিঠি সুত্রে মজিদ মন্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা এ সব অভিযোগের খবর জানা গেছে। তদন্ত টিমের প্রধান ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ হারুন অর রশিদ। এ সময় একই তপ্তরের উপ-পরিচালক অধ্যাপক মোঃ কামরুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মোঃ এনামুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে তারা কলেজের নানা বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মন্ডলকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু তিনি কোন সদুত্ত দিতে পারেন নি। পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ হারুন অর রশিদ গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, ভারপ্রাপ্ত পদে এক বছরের বেশি থাকা যায় না। তিনি কি ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে আছেন এ কথা মজিদ মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি চুপ থাকেন। এছাড়া কলেজ সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রশ্ন তাকে করা হয়। কিন্তু তিনি কোন প্রমান দিতেও ব্যার্থ হন। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে যোগদানের ক্ষেত্রে মাহামান্য হাইকোর্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করার বিষয়েও তিনি চুপ থাকেন। এ বিষয়ে সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে কৃষক দলের মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মৃল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঝিনাইদহ শহরের হাটের রাস্তায় আয়োজিত কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও খুলনা বিভাগীয় সদস্য সচিব, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা। বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব বাবলুর রহমান বাবলু জেলা সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব রনক, জেলা তাঁতিদলের আহ্বায়ক রকনুজ্জামান রোকন, জেলা শ্রমিক দলের মাজেদুল হক লিটন, শামসুল ইসলাম, এ্যাড মিল্টন, ইমরান হোসেন রানা, মোস্তাক আহমেদ ও পৌর ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী।
ঝিনাইদহে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মহানবী (স.)এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ‘সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টিতে হযরত মুহাম্মদ (স.) অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদার। প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সাইদুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক সাজেদুর রহমানসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা, বর্তমান সমাজের এই অবক্ষয়ে এবং নিজেদের চরিত্রকে উন্নত করতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আদর্শ অনুসরন ও বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গ্রুপে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।