শিরোনাম:
●   বেতবুনিয়ায় পিকাপ ভ্যান সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত- ৫ আহত- ২ ●   বিভক্তি বিভাজনের পথে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেয়া যাবেনা- সাইফুল হক ●   রাঙামাটিতে জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ●   তথ্য চাওয়ায় মসিকের প্রকৌশলী কর্তৃক সাংবাদিকদের গালাগালি ●   সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সুস্থতা কামনা করেছে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ●   রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী ফাহিম চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ●   স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ●   পর্বতারোহী প্রকৌশলী কাওছার রূপক-কে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর ●   জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অলাভজনক করতে পারলে নির্বাচনে ইদুর দৌড় অনেক খানি বন্ধ করা সম্ভব ●   পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ●   খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ এর গোপন আস্তানার সন্ধান ●   ইয়েন ইয়েনের দেশবিরোধী প্ল্যাকার্ড নেওয়ায় রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ ●   ধর্ষক ফাহিম ও রিমন চাকমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ●   রাঙামাটি জেলায় গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ও প্রতিফলন ঘটেনি ●   কাল ১৮এপ্রিল রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ সম্মেলন ●   কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   অবিলম্বে মেঘনাকে মুক্তি দিন, ৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করুন ●   মার্কিন মদদেই ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যেতে পারছে ●   আত্রাইয়ে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কাগজের ফুল ●   পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব : মো. রেজুয়ান খান ●   বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক ●   প্রকাশ্য রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ●   ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ল বিধবার ঘর ●   ১৩ বছর পর জমি দখলে নেয় ভুক্তভোগী, ভিন্নখাতে নিতে অপ-প্রচার ●   দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী ●   রাঙামাটিতে নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার ●   গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হোন - ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচি সফল করুন : জুঁই চাকমা ●   বাঙ্গালহালিয়া শিব মন্দিরে ৫ দিনব্যাপী বাসন্তী মায়ের পূজা ●   রাঙামাটি এটিআই শিক্ষার্থীরা ৮ দফা কর্মসূচির ঘোষণা ●   ছেলের দায়ের কোপে আহত মায়ের মৃত্যু
রাঙামাটি, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » মাটিরাঙ্গায় বুড়ো তরনী সেনের কান্ড দেখতে শত মানুষের ভীড়
প্রথম পাতা » কৃষি » মাটিরাঙ্গায় বুড়ো তরনী সেনের কান্ড দেখতে শত মানুষের ভীড়
বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাটিরাঙ্গায় বুড়ো তরনী সেনের কান্ড দেখতে শত মানুষের ভীড়

---

অন্তর মাহমুদ,মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: মাটিরাঙ্গায় তরনী সেন ত্রিপুরা নামে ৮৫ বছরের এক বুড়োর কান্ড দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন উত্‍সুখ পাহাড়ী ও বাঙ্গালীরা৷ ঐতিহ্যকে মনে প্রাণে লালন করা ও ঐতিহ্য রক্ষায় জীবন বাজি রাখা এ রকম ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী মানুষ আজ কাল দেখা যায়না৷ লোক মুখে শোনার পর ১০নং দয়া হেডম্যান পাড়া বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,তরনী সেন-ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জন্য একজন সাধারণ মানুষ হলেও তার চিন্তা ভাবনা সাধারণ নয় উল্লেখ করে তারা বলেন,তাঁর রয়েছে অদম্য ইচ্ছা শক্তি, সাহস ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য রক্ষার স্বপ্ন৷ ৮৫ বছর বয়সেও পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া স্মৃতি আর আদর্শকে আকরে ধরে ত্রিপুরা সম্প্রদায় বসবাসের ঐতিহ্যবাহী মাচাং ঘরে বসবাস করেছেন তিনি৷ জীবনে একটি রাতও তিনি কোন টিনশেড অথবা পাকা বাড়ীতে কাটাননি৷ বিষয়টির সত্যতা জানতে এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে,বুড়ো তরনী সেনের এমন সাহসি কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ত্রিপুরা ও বাংলা মিশ্রিত ভাষায় জানান,আমার বাবা এই মাচাং ঘরে থাকছে,বাবার হাতে তৈরি এই মাচাং ঘরে আমি সারাজীবন থাকছি,আমার মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আমি এই মাচাং ঘরটিতে বসবাস করবো এবং অক্ষত অবস্থায় মাচাং ঘরটি রেখে যেতে চাই আমার প্রজন্মের কাছে স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে৷ আমার সঞ্চিত সব টাকা পয়সা ও গরু,ছাগল সব বিক্রি করে মাচাং ঘরটি পুনরায় পুরো নির্মাণ করবোই৷ প্রায় ৫০বছরের পুরনো এই মাচাং ঘরটি আমি ১৭/১৮ বছর আগে একবার মেরামত করেছি,তখন মেরামত করতে তেমন কোন সমস্যায় পরতে হয়নি৷ বর্তমানে নতুন মাচাং ঘর তৈরি বা পুরনো মাচাং ঘর মেরামত করা সত্যিই কঠিন ব্যাপার৷ এ সময় তিনি নির্মানাধীন মাচাং ঘরটির চারপাশ দেখান উপস্থিত উত্‍সুখ জনতাকে৷ ৮৫বছর বয়সেও তার নির্মাণ শৈলী ও পরিশ্রমী মানুষিকতায় সকলে মুগ্ধ হয়ে বিস্ময় চোখে তাকিয়ে তরনী সেনের দিকে৷ এরপর তিনি জানান,মাচাং তৈরির প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে বাঁশ ও গাছ৷ আগে অনায়াসে গোদা গাছ,ধাঁরমারা গাছসহ বিভিন্ন টেকশই গাছ পাওয়া যেত বনে ৷ রফাই,মির্তিঙ্গা,মুলি বাঁশসহ উদালগাছের ছাল পাওয়া যেত সহজেই৷ মানুষ নির্বিচারে বাঁশ ও গাছ ধবংস করার ফলে আজ মাচাং ঘর শুধুই ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী বসবাসের ঘর৷ আজকের দিনে আশ-পাশের দশ পনের গ্রামে একটিও আগের দিনের ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মাচাং ঘর আর দেখা যায় না উলেস্নখ করে তিনি,নতুন নতুন মাচাং ঘর তেরিসহ ঐতিহ্যবাহী ত্রিপুরাদের হারিয়ে যেতে বসা কৃষ্টি কালচার রক্ষায় সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন নতুন প্রজন্মকে৷ এ বিষয়ে দীন মোহন ত্রিপুরা হেডম্যান জানান, বর্তমানে বাঁশ ও গাছের দাম অনেক বেশী,একটি পরিপুর্ণ মাচাং ঘর তৈরি করতে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার অধিক খরচ হওয়ার পাশাপাশী রয়েছে কাঁচামাল সংগ্রহের মতো কষ্টসাধ্য ব্যাপর৷ সে জন্যে মানুষ মাচাং ঘর তৈরি করতে চায়না৷ তারপরও তিনি মাচাং ঘরে বসবাসের উপকারিতার কথা উল্লেখ করে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী মাচাং ঘরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷

আপলোড : ২১ জানুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১০.৪০মিঃ





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)