শুক্রবার ● ২২ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ধর্ষণ মামলার আসামী মৌলভীবাজার থেকে গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামী মৌলভীবাজার থেকে গ্রেফতার
ষ্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী হাবিব আলী মিঠু (২৬)’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের কোনাউড়া নোয়াগাঁও গ্রামের হাজী মনফর আলীর পুত্র। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার লঙ্গলা রেওলয়ে স্টেশনের পার্শ্ববর্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী ও এসআই দেবাশীষ শর্ম্মার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী হাবিব আলী মিঠু গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। মামলা দায়েরের পর থেকে সে পলাতক ছিল।
উল্লেখ্য, হাবিব আলী মিঠুর বসতবাড়ির পার্শ্ববতি একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার বৈরাগীরগাঁও গ্রামের একটি হত-দরিদ্র পরিবারের এক তরুণী। গৃহকর্মীর কাজ করাকালীন অবস্থায় প্রায় ৬মাস পূর্বে ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মিঠুর। একপর্যায়ে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং গত ১১ অক্টোবর দুপুরে তরুণীকে নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে যায় মিঠু। এরপর ১০দিন মিঠু তার নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তি একটি নির্জন ঘরে তরুণীকে আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বকভাবে একাধিকবার ধর্ষণ করে। নিখোঁজের ঘটনায় তরুণীর পিতা বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (ডায়েরী নং- ১০০০) করলে নিখোঁজের ১০দিন পর ভিকটিম তরুণীসহ অভিযুক্ত মিঠুকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হন তার পরিবার। তখন তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় মাতব্বররা থানা পুলিশের কাছ থেকে তাদেরকে তরুণীর বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্ত পরবর্তীতে মাতব্বরা ধর্ষক মিঠুকে তার স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেন এবং তরুণীর ইজ্জতের মূল্য হিসেবে তার অসহায় পরিবারকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রদানের প্রস্তাব দেন। কিন্ত তাতে তরুণীর পরিবার অসম্মতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠুর পরিবারের পক্ষ থেকে তরুণীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হন মাতব্বররা। একপর্যায়ে গত ২৯ অক্টোবর রাতে হাবিব আলী মিঠুকে প্রধান আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের পিতা দায়েরকৃত মামলা (মামলা নং-২৩) রেকর্ড করা হয়। মামলায় মিঠুর পিতা হাজী মনফর আলী (৭০) ও বড় ভাই শানুর আলী (৪৫) এবং আরো ৩/৪ জনকেও অজ্ঞাতানা আসামী করা হয়। মামলার তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার এসআই নবী হোসেন বদলী হওয়ায় বর্তমানে তদন্তের দায়িত্বপান থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের এক দিনের মাথায় মামলার প্রধান আসামী মিঠুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। মামলার অন্যান্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেলেন দিনমজুর সিরাজ মিয়া
বিশ্বনাথ :: আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ‘জমি আছে ঘর নেই’ এমন দরিদ্র মানুষদের তালিকা তৈরি করে তাদের জমিতে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে আধা পাকা ঘর ও একটি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মান করে দেওয়ার প্রকল্পের এবার সুবিধাভোগী হলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানাইয়া মশলা গ্রামের দিনমজুর সিরাজ মিয়া। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আপ্লুত তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে সরজমিনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পাওয়া বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের জানাইয়া মশলা গ্রামের সিরাজ মিয়া বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলে সিরাজ মিয়া ও তার বৃদ্ধা মা নূরজাহানের সঙ্গে। তারা কৃতজ্ঞার সঙ্গে বলেন, জীবনের শেষ সময়ে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ঘর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকটা শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি। দীর্ঘ দিনের স্বপ্নছিল একটি সুন্দর ঘর করার কিন্তু অভাব অনটনের জন্য তা আর সম্ভব হয় নাই। আজ আমাদের সেই স্বপ্নের ঘর নির্মাণ করে স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন আমি মরেও শান্তি পাব।
সিরাজ মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের তরুণ সমাজসেবক খলিলুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিনা খরচে ঘর পেয়েছি। ‘আগে আমি অনেক কষ্টে দিন কাটাইতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে একটা ঘর কইরা দিছেন, একটা টয়লেট কইরা দিছেন, এখন আমার আর কোন কষ্ট নাই, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লাইগি দোয়া করি আল্লার যেন তারে সুস্থ রাহে (রাখে) আরো অনেক বছর বাচাইয়া রাহে (রাখে)। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন ঘর পেয়ে পরিবারের সবাই খুশি। তারা এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
জানাগেছে, ‘বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অঙ্গীকারে ২০১৯ সালের মধ্যে সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যেগের মধ্যে অন্যতম প্রকল্প। যার জমি আছে, ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ প্রকল্পের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৯৬টি হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবার মাথা গোজার ঠাঁই পাচ্ছেন। উপজেলয় ইতি মধ্যে কয়েকটি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে বসবাস শুরু করেছেন। গৃহহীনদের বিনামূল্যে মেঝে পাকা সাড়ে ১৬ফিট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১০ফিট প্রস্থের টিনশেড ভিট পাকা ৫ ফুটের বারান্দাসহ একটি করে ঘর করে দেয়া হচ্ছে। ঘরটিতে ১টি দরজা ও ৬টি জানালা রয়েছে। মোট ১৭টি আরসিসি খুঁটি দ্বারা খুব মজবুত করে তৈরি করা হচ্ছে ঘর। ঘরের সঙ্গে একটি স্যানিটারি লেট্রিন নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিটি ঘর ও স্যানিটারি লেট্রিন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। সরকারের প্রদত্ত সুবিধা পাওয়া গৃহহীনদের মধ্যে বিনামূল্যে মাথা গুজার ঠাঁই একটি করে ঘর ও স্যানিটারি লেট্রিন পেয়ে একটু হলেও নিজেদের দীর্ঘদিনের কষ্টের গ্লানি মুছে ফেলেন গৃহহীনরা। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ঘরের চাবি হস্তান্তর না করলেও অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে বসবাস শুরু করছেন।
এব্যাপারে জানাইয়া গ্রামের তরুণ সমাজসেবক খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রামের সিরাজ মিয়া খুবই হত-দরিদ্র মানুষ। দিনমজুরের কাজ করে তার সংসার চলে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিনা খরচে ঘরে পেয়ে তার পরিবার খুশি।
পরিবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৯৬টি দরিদ্র পরিবারকে তাদের নিজেদের জমিতে সরকারি খরচে আধা পাকা ঘর ও একটি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মান করে দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্নালী পাল বলেন, আশ্রয়ন-২ জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ প্রকল্প। আমরা এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি করে মাঠ পর্যায় থেকে যারা ঘর পাবার উপযুক্ত তাদের তালিকা করে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছি। গঠিত কমিটির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন প্রকল্পের সকল কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার, জনগনের সরকার এবং জনবান্ধব সরকার। দেশের দরিদ্র মানুষের সরকারি খরচে মাথাগোজার ঠাঁই করে দিয়ে তিনি আবারো প্রমান করলেন যে এই সরকার জনগনের কল্যানে প্রান্তিক পর্যায়েও কাজ করে যাচ্ছেন।
লন্ডনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ গেল বিশ্বনাথের হিরণ আলীর
বিশ্বনাথ :: লন্ডনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সিলেটের বিশ্বনাথের কৃতি সন্তান হিরণ আলী অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বৃহস্পতিবার রাত বাংলাদেশ সময় ১১টায় লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। স্ব-পরিবারের তিনি দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করে আসছেন। হিরণ আলী বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান মসলা বৈদ্যকাপন গ্রামের মৃত ইরপান আলীর ছেলে।
জানাগেছে, গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য পূর্ব লন্ডনের হিরণ মিয়ার নেলসন ষ্ট্রিটে নিজ ঘরের সামনে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় রয়েল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এব্যাপারে নিহত হিরণ আলীর চাচাত ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সন্তানদের জন্য খাবার আনতে হিরণ আলী গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় (লন্ডন সময়) ঘর থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একটি মুদি দোকান ও একটি পান দোকান থেকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার পুরান বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বাজারের আলমদিনা ভেরাইটিজ ষ্টোর থেকে ৫ হাজার ও নাম বিহীন একটি পানের দোকান থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্ণালী পাল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বনাথ থানার এসআই অরূপ সাগর ও উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর অলিক গোবিন্দ সরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী পাল জানান, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ এর আওতায় ওই দু’টি ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ইসলাম বিরোধী কোনো কাজ হবেনা : ওসি বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামের নুরাই (রহ:) মাজারে (২১ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওরস অনুষ্ঠিত হবে। ওরস উপলক্ষে গানের আয়োজন করা হয়েছে। ওরসে গানের শিল্পীদের আমন্ত্রন জানানো হয়। শিল্পীদের ছবিসহ তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করা হয়েছে। আর সেই শিল্পী ছবি ভাইরাল হয়। এতে ফুসে উঠেন বিশ্বনাথে মুসলিম জনতা। দশপাইকা গ্রামে নুরাই শাহ (রহ:) মাজারে ওরসের নামে গান-বাজনা-মদ-গাঁজা-নারীদের নিয়ে অশ্লীল কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা সর্বস্থরের মুসলিম জনতার ব্যানারে উপজেলা সদরের বাসিয়া সেতুর ওপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বাসিয়া সেতুর ওপর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষে হয়। মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন মুসলিম জনতা। মানববন্ধনে বক্তারা, ওরসের নামে গান-বাজনা-মদ-গাঁজা-নারীদের নিয়ে অশ্লীল কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানান। এতে প্রশাসনের টনক নড়ে। ওরস কমিটির সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যোগাযোগ করে ওরসের নামে ইসলাম বিরোধী কোনো কাজ না করার আহবান করা হয়।
এব্যাপারে মাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ওরসের নামে ইসলাম বিরোধী কোন কাজ হবেনা। মাজারে ওরস হবে, কিন্তু কোনো গান-বাজনা হবেনা। বিষয়টি মাজার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ওরসে নামে যদি কেউ ওই মাজার এলাকায় গান-বাজনা করার চেষ্ঠা করে তাহলে তাকে তাৎক্ষনিক আইনের আওতায় আনা হবে। মাজার প্রাঙ্গন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্নালী পাল বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশ অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।