রবিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েটে মহোৎসবের আয়োজন সুবর্ণজয়ন্তীতে আসছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি
চুয়েটে মহোৎসবের আয়োজন সুবর্ণজয়ন্তীতে আসছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি
ষ্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ৪র্থ সমাবর্তন আগামী ৫ ডিসেম্বর, অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি মহোদয়, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি মহোদয় এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫০০ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষ্যে ( ১১ নভেম্বর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে সকল উপ-কমিটির সভাপতিদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ৪র্থ সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি-২০১৯ এর স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ও য় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়ের সভাপতিত্ব করেন। এদিকে চুয়েটের গৌরবময় পথচলার ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ০৬ ডিসেম্বর, দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ভিভিআইপিগণ, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যগণ, এমপিগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত বিপুল প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, চুয়েট পরিবারের বর্তমান সদস্যগণ মিলে প্রায় ১০ হাজার লোকের মিলনমেলা বসতে পারে। সুবর্ণজয়ন্তীর জমকালো আয়োজনে থাকবে- আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে নগরজুড়ে আনন্দ র্যালি, সন্ধ্যায় আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসে যাত্রা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, চুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৈশভোজ, ফায়ারওয়ার্কস, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জেমস ও নগর বাউলের জমজমাট কনসার্ট প্রভৃতি।
মৃত্যুর একসপ্তাহ পর দেশে ফিরেছে প্রবাসীর লাশ
রাউজান :: মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই প্রবাসী, বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা ও রাউজানের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মো. ওসমান (৬১)’র লাশ দেশে ফিরেছে। আজ রবিবার সকাল ৯টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের একটি ফ্লাইটে তার লাশ দেশে পৌঁছায়। জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় সেখানকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। আলহাজ্ব মো. ওসমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি দুবাই’র সাধারণ সম্পাদক, গহিরা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গহিরা কলেজের উত্তর পার্শ্বস্থ নকীম মিয়াজী বাড়ির মরহুম আলহাজ্ব মুজিবুল হক সওদাগর’র দ্বিতীয় ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। গত শনিবার দুবাইয়ের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় সোনাপুর মোহসেনা মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা, গতকাল রোববার বাদ যোহর চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব মাদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা এবং বিকাল ৪টা ১৫মিনিটে তাঁর নিজ গ্রাম গহিরা আসাদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ ঈদগাঁহ ময়দানে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ ওসমানের মৃত্যুতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী সংগঠন, সামাজিক, রাজনৈতিক,ধর্মীয় সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন।
রাউজানে ২০টি ডিমের দাম মাত্র ১৮৪৭ ৪’শ গ্রামে হলুদ ৪’শ টাকা
রাউজান :: পাঁচ হালি অর্থাৎ ২০টি ফার্ম মুরগির ডিমের দাম মাত্র ১৮৪৭ টাকা। আর ৪’শ গ্রাম হলুদ গুড়ার দাম ৪’শ টাকা। বাকিতে নেয়া মুদির মালামালের ফাঁকে ফাঁকে এমন আজগুবি দামে হোটেলে সরবরাহ দিচ্ছে রাউজান পাহাড়তলী চৌমুহনীর শাহজাহান স্টোর নামের এক মুদি দোকানী।বছরের বছর ধরে এই দোকানটি কয়েকটি হোটেলে খাবার তৈরীর বিভিন্ন উপকরণ বাকিতে বিক্রি করে আসছেন। প্রতি সপ্তাহে হোটেল ব্যবসায়ীরা মালামালের দাম পরিশোষ করে থাকেন। এভাবে লেনদেনে ক্রম বিক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতার বাকির হিসাবের দেনা লম্বা হয়। এই নিয়ে দুই পক্ষের লেনদেন নিয়ে চলে টানাপোড়েন।এমন পরিস্থিতি গোলমাল বেঁধে যায় শাহজাহান স্টোর এর সাথে চুয়েট গেইট এলাকার খাজা গরীবে নেওয়াজ হোটেলের সাথে। হিসাবে হেরফের নিয়ে বৈঠকে বসলে দেখা যায় শাহজাহান স্টোর থেকে যেসব মালামাল ওই হোটেলে সরবরাহ করেছে, সেই মালামালের সাথে দেয়া ক্যাশ মেমোতে কিছু কিছু পণ্যের দাম লেখা হয়েছে কাল্পনীক ভাবে।শাহজাহান স্টোরের দেয়া মেমো পরীক্ষা করে দেখা যায় ২০টি ফার্ম মুরগির ডিমের দাম নেয়া হয়েছে ১৮৪৭ টাকা। ৪’শ গ্রাম হলুদ গুড়ার দাম রাখা হয়েছে ৪’শ টাকা। এই ভাবে কাল্পনীক দামে এই দোকান থেকে মালামাল সরবরাহ দিচ্ছে স্থানীয় হোটেলে। এমন পরিস্থিতি আটকে থাকা হোটেল মালিক জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রশাসনের নজর আনবেন। তবে মুদি দোকানীর দাবি ভুলে হয়ত এমন ঘটনা ঘটেতে পারে ।