রবিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
ঝালকাঠিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ম্মৃতিস্তম্ভ থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে জেলার নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৫ বছর আগে স্থানীয় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন নিজের এবং বিভিন্ন ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে সড়কের পাশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন। ওই স্তম্ভের উপড়ে বঙ্গবন্ধু এবং তিন মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। একাত্তরে এই স্থানটির কাছে চাচৈর নামক স্থানে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ঝালকাঠি জেলার মধ্যে সবচে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এলাকাটিতে পাক বাহিনী নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ করে। তাই একাত্তরের স্মৃতি রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন এ মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করন। এদিকে স্মৃতিস্তম্ভ থেকে ভেঙে ফেলা ভাস্কর্যগুলো পাশের খাল থেকে বোরবার সকালে পুলিশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
নলছিটি থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সময় সংবাদকে বলেন, এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত তাদের খুঁবে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ঝালকাঠি জেলা পরিষদের পুকুরচুরির অভিযোগ
ঝালকাঠি:: উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ঝালকাঠি জেলা পরিষদের পুকুরচুরির যে চিত্র পাওয়া গেল, তাতে স্তভিম্ভিত হতে হয়। দেশের বাকি ৬৩টি জেলা পরিষদের চিত্রও যদি কমবেশি একই রকমের হয়, তাহলে মানতে হবে, স্থানীয় সরকারব্যবস্থার এই তৃতীয় স্তরটিতে লাগামহীন লুটপাট স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা পরিষদ উন্নয়নমূলক কর্মসূচির আওতায় ২০১৩ সালের কুশংগল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামের গাফফার খানের বাড়ী মসজিদের উত্তর পার্শে পুকুরের ঘাটলা নির্মানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭৫হাজার। আবার ২০১৮ সালে একই স্থানে নাম পরিবর্তন করে। নাম দেওয়া হয়েছে নলসিটি উপজেলার সরমহল গ্রামে খান বাড়ী বায়তুল আমান জামে মসজিদের পার্শ্বে পুকুরে ঘাটলা নির্ম¥ানের নামে সরকারি বরাদ্দ নিয়েছে ১লক্ষ টাকা।
এই অর্থবছরের কয়েকটি প্রকল্প সম্পর্কে সরেজমিনে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখতে যায়, ঝালকাঠি জেলা পরিষদের কর্মচারি করণিক সালাহ উদ্দিন নিজে এসকল প্রকল্পের অর্থ আৎসাত করেছে। সালাউদ্দিনের গ্রামে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে অনেক প্রকল্প। যে,সকল প্রকল্পের কোনো অস্তিত্বই নেই। অর্থাৎ ১০ শতাংশ প্রকল্পের নামে ¯্রফে অর্থ লোপাট করা হয়েছে। আবার যেসব বাস্তবায়িত প্রকল্পের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে ১৬ শতাংশ প্রকল্প যাঁরা বাস্তবায়ন করেছেন, তাঁরা ঘুষ দিয়ে বরাদ্দ নিয়েছে।
জেলা পরিষদ সুত্রে জানাযায়,বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আ,লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সরদার মো.শাহআলম একজন সৎ ন¤্র ভদ্র লোক বিধায় তাকে ভূল বুঝিয়ে এসকল প্রকল্প নামে বেনামে নিয়েছে করণিক সালাহ উদ্দিন ও তার ভাই রহিম।
অফিসে গিয়ে দেখা গেছে ঠিকাদারদের সাথেও র্দূরব্যবাহার অসদাচরনসহ বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সালাহউদ্দিনের নিজের চারতরা বভনের কাজ চলছে সেই বাড়িতে গিয়ে দেখাযায় জেলা পরিষদের টিউবয়েল,ঘাটলা,চেয়ার,টেবিল ও আলমিরাসহ বিভিন্ন আসবাপত্র জেলা পরিষদের নাম খোদাই করে লেখা রয়েছে।
সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ অনতিবিলম্বে পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার শাহআলম এর কঠোর শাস্তির বা অফিসিয়াল ব্যাবস্থা না নিলে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করিবো।
প্রশ্ন হচ্ছে, সালাহউদ্দিনের ও তার ভাই রহিমের দুর্নীতির এ রকম লাগামহীন চর্চার কি কোনো প্রতিকার নেই?
প্রতিকারের উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে। অবিলম্বে তদন্ত শুরু করুন, এসব পুকুরচুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।