বৃহস্পতিবার ● ২৮ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মহেশপুর সীমান্ত থেকে আরও ৬ জন আটক
মহেশপুর সীমান্ত থেকে আরও ৬ জন আটক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশি ৬ জন নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের মধ্যে রয়েছে-১ জন পুরুষ, ১ জন নারী ও ৪ জন অপ্রাপ্ত জন শিশু। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর কুসুমপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ৬১/১৮-হতে ৮শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পিপুলবাড়ীয়া গ্রামের মাঠ থেকে ৬ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে। মহেশপুর খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ-অধিনায়ক) কামরুল হাসান জানান, তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা দির্ঘদিন ধরে কাজের সন্ধ্যানে ভরতে যান। সেখান থেকে তারা চাপের মুখে বাধ্য হয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন : কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বাসিন্দা। আটককৃত ৬ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করার দায়ে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ১১ (১) (গ) ধারায় ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তবে আটককৃতরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করছেনে ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে ৫৮ ব্যাটালিয়ানের আওতায় ঝিনাইদহ সীমান্তে অবৈধ প্রবেশের সময় মোট ২’শ ৪৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
ওজনে কম দেওয়ায় পেট্টোল পাম্পের ম্যানেজারকে ৬ মাসের কারাদন্ড
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর এনএন ফিলিং স্টেশনে গ্রাহকদের তেল কম দেওয়ার অপরাধে ওই পাম্পের ম্যানজার হাবিবুর রহমান (৬০)কে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক এম এ আজহারুল ইসলাম এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, খালিশপুর এনএন ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের তেল কম দেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল খুলনা থেকে বিএসটিআই এর একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এসময় তারা প্রতি ১০ লিটারে ১৫০ মিঃলিঃ তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পায়। এ অভিযোগে খুলনা বিএসটিআই এর পরিদর্শক আলমাস হোসেন বাদী হয়ে ম্যানেজারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার চার্জ গঠন ও শুনানী শেষে আদালত হাবিবুর রহমানকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারদন্ড প্রদাণ করা হয়।
রুপালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে মাউশির চিঠি
ঝিনাইদহ :: সদ্য জাতীয়করণকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের ক্ষমতা খর্ব করে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন থেকে মজিদ মন্ডলের সাক্ষরে আর কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা উত্তোলন করা যাবে না। কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের বৈধ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের সাক্ষর ব্যতিত কারো সাক্ষর বৈধ হবে না। গত বুধবার বিকালে রুপালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপকের বরাবর পাঠানো অধিদপ্তরের ৩৭.০২.০০০০.১০৫.৩১.২২১.২০১৮/৬২৮৬/৬ নং স্মারকের চিঠিতে এই আদেশ প্রদান করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন ১০৩২/১৬ রায় মোতাবেক কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার পুর্বক তাকে চাকরীতে পুর্নবহাল করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে অনুরোধ করা হয়। এ জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দেওয়া হয়। তাছাড়া অবিলম্বে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মন্ডলকেও পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মন্ডল দায়িত্ব হস্তান্তর না করে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়োগ করে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে হুমকী দেয়। বাধ্য হয়ে ড. মাহবুব কালীগঞ্জ থানায় ১২৫৪ নং জিডি করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ প্রতিপালন না করায় মজিদ মন্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। মজিদ মন্ডল মাউশির চিঠির জবাব দেন। মজিদ মন্ডলের দেওয়া জবাব যথাযথ ও সন্তোষজনক না হওয়ায় অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান ব্যতিত অন্য কারো সাক্ষরে কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ভাতা প্রদান না করার জন্য রুপালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপককে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
গুচ্ছগ্রামের ঘর নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষে গুচ্ছগ্রামের ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের আরশীনগর গুচ্ছ গ্রামে ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৫টি ঘর নির্মাণে এ অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধীন ২০১০-২০১৯ (সংশোধিত) এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় প্রতিটি ঘরের জন্য দেড় লাখ টাকা করে সর্বমোট সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির সভাপতি ও এসিল্যান্ড সদস্য সচিব হওয়ায় উভয় দায়িত্বে থাকা তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিজেই ঘরগুলো নির্মাণ করেন। গত ২৭ মে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণের মাত্র ৬ মাস যেতে না যেতেই প্রতিটি ঘরে ধরেছে ফাটল। ঘরের মেঝে, দেয়াল, বারান্দা, আরসিসি পিলার সহ সর্বত্রই ধরেছে ফাটল। ঘরপ্রাপ্ত ছিন্নমূল পরিবারের অভিযোগ নি¤œমানের ইট, খোয়া, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহারের ফলে এ ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া ঘরগুলোর টিন ও দেওয়া হয়েছে নি¤œমানের। ঘরের চালা ও বারান্দায় ব্যবহৃত ০.৪৬ মিলিমিটার টিনের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে ০.২৬ মিলিমিটারের হালকা টিন। ঘরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দীন বলেন, মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন সময়ে তড়িঘরি করে কোনরকম দায়সারা ভাবে এসব ঘর নির্মাণ করেছেন ইউ.এন.ও সাইফুল ইসলাম। ব্যবহার করেছেন নি¤œমানের ইট, খোয়া, বালু ও সিমেন্ট। ফলে ঘর গুলো ফাটল ধরে দ্রুত ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। অসহায় বিধবা রাজিয়া খাতুন, পিনজিরা ও বেদানা খাতুন বলেন, আগে পাঠকাঠির বেড়া আর পলিথিনের ছাউনি দিয়ে কোন রকমে রাতে ঘুমাতাম। তবুও সেখানে শান্তি ছিল, ভেঙ্গে পড়লেও মরার ভয় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর দিয়েছেন এটা আমাদের রাজপ্রাসাদতুল্য কিন্তু কে জানতো সেই স্বপ্নের রাজপ্রাসাদই আমাদের মরণ ফাঁদ হবে। রাতে ভয়ে নির্ঘুমে কাটাই। সব সময় আতঙ্গের মধ্যে থাকি কখন যেন ঘর চাপা পড়ে মরে যাই এই ভয়ে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান শৈলকুপার ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। আমি টিনের ঘরের পরিবর্তে পাকা ঘর করে দিয়েছি। ১নং ইট দিয়ে কাজ করিয়েছি। আপনি বলছেন বিষয়টি আমি দেখবো।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদাণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধণার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংবর্ধিত অতিথি শাম্মী ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদুর রহমান রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরতী দত্ত, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রুবেল হাওলাদার, কৃষি কর্মকর্তা মোফাকখারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
শহিদ বিশ্বাস এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে
ঝিনাইদহ :: নিশ্চিত খুনের হাত থেকে রক্ষা পেলেও এলোপাথাড়ী কোপানোর ফলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে যুবক শহিদ বিশ্বাস। তিনি এখন যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানোর ফলে তার মাথায় রক্ত জমে ব্রেইন ষ্ট্রোক করেছে। মাথার মধ্যে থাকা ক্ষুদ্রতিক্ষুদ্র শিরাগুলো ছিড়ে গেছে। ডাক্তাররা তাকে ঢাকায় যেতে বলেছেন। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান শহিদ বিশ্বাসের উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সামর্খ নেই। শহিদ বিশ্বাস যখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে, তখন তার উপর হামলাকারীরা আলালত থেকে জামিন হয়ে বেরিয়ে এসেছে। ঘটনাটি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের। গত ২ অক্টোবর জাহিদ বিশ্বাস নিজ বাড়িতে বসে চা বানাচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের আসমানের ছেলে জামাল, জালালের ছেলে বরকত, আতিয়ার রহমান ও তার দুই ছেলে মহিদুল এবং মিরাজুল শহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে চয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শহিদের পিতা আসাদ বিশ্বাস বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। ১০ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে আসামী। এদিকে শাহিদ বিশ্বাস হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসে ব্রেইন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হন। চলে যান গভীর কোমায়। তড়িঘড়ি করে তাকে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতি ভর্তি করা হয়। শহিদের পিতা আসাদ বিশ্বাস জানান, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ছেলে ব্রেইন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, আঘাতজনিত কারণেই শহিদ এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।