![মিরসরাইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুর](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/2025/02/84227-micro.jpg)
![CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/fileman/logo.jpg)
রবিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » অযত্ন অবহেলায় শহীদ মিনার : কারও নজর নেই
অযত্ন অবহেলায় শহীদ মিনার : কারও নজর নেই
ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুরে শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও ভূমি অফিস সংলগ্ন শহীদ মিনারটি অযতœ অবহেলায় এখন মুত্রাগার ও ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কারোই তা নজর নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্মিত পরিষদ ভবনের সম্মুখে শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থা। শুধু ২১শে ফেব্র“য়ারী শহীদ দিবস, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস এলেই শুধু ওই একটি দিনই তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেই শহীদ মিনারটিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আর বাদ বাকি দিনগুলোতে তা ওই শহীদ মিনারটির কোন খোঁজ খবরই রাখা হয়নি।
স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন এব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই শহীদ মিনারটির এ ধরণের বেহাল অবস্থা বিরাজ করা মানেই মহান ভাষা দিবস ও শহীদদের প্রতি চরম অবহেলা প্রদর্শন ছাড়া কিছুই নয়। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে শহীদ মিনারটি যথাযোগ্য মর্যাদায় সংরক্ষণের দাবি জানান।
এব্যাপারে শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ করার জন্য চারদিকে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওই জায়গাটি নিয়ে মামলা থাকায় এতদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগেই শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১১ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের মানববন্ধন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ১১ দফা দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে ১ ডিসেম্বর রবিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে এক মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কলেজ শাখার সভাপতি নিজাম উদ্দিন খান আরমান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া ও মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নেয়াজ শরীফ সুমন ও মো. রাহুল আহমেদ, মুক্তিমঞ্চ গণিত বিভাগের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন মন্ডল, মুক্তিমঞ্চ ইংরেজী বিভাগের সভাপতি মো. রুবেল হোসেন, বিপ্লব মিয়া রিদম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে তাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা এবং কমিশন গঠন করে কোটা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের তালিকা প্রণয়ন এবং সরকারি চাকরিতে বহাল যুদ্ধাপরাধীদের বরখাস্ত, তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, গণ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস বিকৃতিকারি এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোটাক্ষকারিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহি হিসেবে বিচারের আওতায় আনা, ১ ডিসেম্বরকে জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ও সরকারি ছুটি ঘোষণা, দুর্নীতিবাজ-মাদক ব্যবসায়ি, ঋণ খেলাপিদের মত রাষ্ট্রের শত্র“দের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা ।