সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » জ্বালানী সংকটের অজুহাতে মানুষকে উন্নয়ন উদ্বাস্তু বানানো চলবে না : আনু মুহাম্মদ
জ্বালানী সংকটের অজুহাতে মানুষকে উন্নয়ন উদ্বাস্তু বানানো চলবে না : আনু মুহাম্মদ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: “গ্যাস বিদ্যুৎসহ জ্বালানীর সংকটকে পুঁজি করে সারা পৃথিবীতে বাতিলকৃত বিপজ্জনক প্রযুক্তি আমদানি করে কক্সবাজার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত কথিত ‘জ্বালানী উন্নয়নের নামে মানুষকে উন্নয়ন উদ্বাস্তুতে পরিণত করতে চাইছে সরকার যা মানুষ কোন ভাবেই মেনে নেবে না।” তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় উক্ত বক্তব্য রাখেন। আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিকেল ৩টায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে সুপ্রভাত স্টুডিও হলে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্যকাল তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝাড় বুলবুলের ঘটনা আরেকবার দেশের মানুষ দেখতে পেয়েছে সুন্দরবনের কি প্রয়োজন। ইতিমধ্যে রামপাল প্রকল্পে ক্রটিজানিত দূর্ঘটনায় শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়োগ দশ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন দূর্নীতি বিরোধী অভিযান করছেন সরকার, তাকে সাধুবাদ জানানো উচিত। কিন্তু সত্যিই দূর্নীতি বিরোধী অভিযান বলে কিছু থাকলে জ্বালানী মন্ত্রণালায়ের দূর্নীতির বিরূদ্ধেই এ্যাকশনা হত এবং রামপালসহ সব জ্বালানী বিষয়ক চুক্তি সবার আগে বাতিল হওয়া উচিত। তিনি কক্সবাজারে ১৭টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে সৌর, বায়ু ও অন্যান্য সহজলভ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যস্থির করার জোরদাবী জানান।
চট্টগ্রাম কমিটির আহায়ক কবিও সাংবাদিক আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ইস্টডেল্টা ইউনিভার্সিটি ভিসি সিকান্দর খান, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধো বালাগত উল্লাহ, অধ্যক্ষ তহুরুল সবুর, কেন্দ্রীয় প্রধিনিধি আকবর খান, চট্টগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান লিটন, রাঙামাটি প্রতিনিধি কমরেড নির্মল বড়ুয়া মিলন, কক্সবাজার প্রতিনিধি কমরেড কলিম উল্লাহ, ফেনী জেলা প্রতিনিধি সুলতান আহমেদ মজুমদার এবং সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা নিবার্হী সদস্য রাহাতউল্লাহ জাহিদ।
সভায় আলোচকবৃন্দ বলেন, সরকারের গণবিরোধী জ্বালানী নাতির কারণে, অসমচুক্তির কারণে, লুটপাটের কারণে জ্বালানীর ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। লুটপাট বন্ধ করলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। এ লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় কনভেশন ও আগামী আন্দোলন কর্মসূচী সফল করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।