শুক্রবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ছিল তা আজও আমরা পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি : রাষ্ট্রপতি
মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ছিল তা আজও আমরা পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি : রাষ্ট্রপতি
ষ্টাফ রিপোর্টার :: ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করা হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত।’ গতকাল বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ছিল তা আজও আমরা পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশের রয়েছে বিপুল মানব সম্পদ। উর্বর কৃষিভূমি ও সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ। জনবহুল এ দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার। এসময় আবদুল হামিদ আরও বলেন, প্রকৌশলীগণ উন্নয়নের কারিগর। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা। তাই প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় থাকতে হবে দূরদর্শী চিন্তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। নবীন গ্রাজুয়েটবৃন্দের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক; একইসাথে তা নতুনদের জন্যও একটি স্মরণীয় দিন। জীবন চলার পথে তোমরা আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ সোপান অতিক্রম করলে। জীবনের আসল সংগ্রাম এখন থেকে শুরু হবে। আজকের এ সনদ প্রাপ্তি সেই সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার স্বীকৃতি পত্র। এ সনদের সম্মান তোমাদের রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, তোমাদের এ অর্জনে দেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তোমরা তোমাদের সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে এ সনদের মান সমুজ্জ্বল রাখবে। কর্মক্ষেত্রে তোমরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাক না কেন; মাতৃভূমি এবং এ দেশের জনগণের কথা কখনো ভুলবে না। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করবে না। তোমাদেরকে এ পর্যায়ে আসতে দেশবাসী যে সহায়তা করেছে তোমরা তোমাদের মেধা, মনন ও কর্মের মাধ্যমে তা পরিশোধ করবে। আমি তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। তোমরা বড় হও এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখবে। সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ৩য় শিল্প বিপ্লবের দান হলেও আজো তার প্রয়োজন, বিস্তৃতি এবং চেলেঞ্জ সমুহ রয়ে গেছে। সমগ্র বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তৃতি দূরকে করেছে নিকট। আধুনিক উন্নয়নের হাওয়া তাই অতি স্বল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশও আজ আর পিছিয়ে নেই। গত এক দশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি গ্রামের দরিদ্র কৃষকের জীবন থেকে শহরের উচ্চ বিত্তসহ সবার জীবনকে প্রভাবিত করছে। কৃষি, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, ব্যবসা-বানিজ্য সহজতর করার মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের তরূণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষালাভ ও তার ব্যবাহারিক প্রয়োগে প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা পরিলিক্ষিত হচ্ছে যার দরূণ আজ দ্রুততার সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এই প্রতিষ্ঠানের শতকরা তাদের জ্ঞান ও উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এছাড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ জনকে “বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক” প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ই.এম.কে. ইকবাল আহমেদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়া আবসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্চয় বড়–য়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রাশেদুর রহমান। এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ১৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট এবং ৮৩ জন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটসহ মোট প্রায় ২ হাজার ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, রাউজানের স্থানীয় সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ বিশিষ্ট জন উপস্থিত ছিলেন।
রাউজানে অগ্নিকান্ডে পুড়েছে বসতঘর
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়েছে একটি বসতঘর। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় উপজেলার পশ্চিম রাউজান মাঝি পাড়া এই ঘটনা ঘটে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সেই মৃত আনোয়ার মিয়া পুত্র। তাৎক্ষণিক পরিবারের ক্ষতির পরিমাণ মেলেনি। রাউজান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনকর্মকর্তা মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলবাহিনীর সদস্যরা। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ও ক্ষতির পরিমান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।