শনিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহরের পূর্বপাড়া লোন অফিস থেকে কোম্পানী কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জু (বীর প্রতীক) এর নেতৃত্বে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে এসে সমবেত হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয়ক মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটি ও জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওয়াশিকার মো. ইকবাল মাজু প্রমুখ।
১৯৭১ সালের এই দিন সকালবেলা কোম্পানী কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জু (বীর প্রতীক) এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কালাসোনার চর থেকে বালাসীঘাট হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে। তাদের আগমনের সংবাদ পেয়ে আগের রাতেই গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়ামে অবস্থিত পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, এর আগের দিন ৬ ডিসেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বাহিনীর বিমান গাইবান্ধা রেলষ্টেশনের উত্তর পাশে বোমা হামলা চালায়। এতে পাক বাহিনী ভীত সন্ত্রস্ত— হয়ে পড়ে। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের খবর পেয়ে তারা প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়।
রেলক্রসিংয়ে রেলগেট না থাকায় দুর্ঘটনার আশংকা
গাইবান্ধা :: বোনারপাড়া-সান্তাহার রেল সেকশনের গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রেলস্টেশনের দু’পাশের গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম দুটি সড়কের রেল ক্রসিংয়ে কোন রেলগেট নাই। ফলে এই সড়ক দুটি দিয়ে পথচারী ও যানবাহনে রেল লাইন পারাপার এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকার মধ্যে অবস্থিত দু’দিকের দুই হোম সিগন্যালের ধার ঘেষে রেল লাইন অতিক্রম করা সড়ক দুটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় যানবাহন ও সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকে। অথচ রেল কর্তৃপক্ষ এই দুটি সড়কে কোন রেলগেট স্থাপন করেনি বা গেটম্যান নিয়োগ করা হয়নি।
জানা গেছে, মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনের পূর্বদিকে বাঙ্গালী নদীর কারণে পাশর্^বর্তী সাঘাটা উপজেলার কচুয়া, কামালেরপাড়া ও জুমারবাড়ীসহ বেশ ক’টি ইউনিয়নের লোকজন মহিমাগঞ্জে হেঁটে যাতায়াত করতে পারতো। তখন স্বাভাবিকভাবেই কম সংখ্যক লোকজন এ পথ দুটি ব্যবহার করতো। কিন্তু গত এক দশকে দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে এখানকার রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। এ কারণে স্টেশনের পূর্বদিক দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙ্গালী নদীর উপরে সেতু নির্মাণ হওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার মধ্যে সংযোগের সৃষ্টি হওয়ায় এ পথে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ দুটি সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা দুটি পাকা হওয়ায় রেলগেট দুটিরও গুরুত্ব বেড়ে গেছে অনেক গুণ। লালমনিরহাট-বোনারপাড়া-সান্তাহার রেল রুটের এ পথে এখন প্রতিদিন ১৬টি ট্রেন যাতায়াত করে। এ কারণে স্টেশনের দক্ষিনে সোনাতলার দিকের জিরাই এলাকার একটি (নং-টি/৫০) ও উত্তর পাশের্^র বোনারপাড়ার দিকের বামনহাজরা এলাকার একটি (নং-টি/৫১) অরক্ষিত দুটি রেলগেট অতিক্রম করে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়েই বাধ্য হয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। সবচেয়ে আশংকার বিষয় হচ্ছে, পদ্ধতিগত কারণে মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনটি ইংরেজি ‘ইউ’ আকৃতির মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত হওয়ায় একেবারে কাছে না আসা পর্যন্ত কোন ট্রেনকেই দেখতে পাওয়া যায়না। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পথের পথচারী ও যানবাহনকে রেলগেট দুটি অতিক্রম করতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে রেলগেট দুটির পাশে একটি ফলকে লিখে রেখেছে, ‘এই রেলক্রসিং-এ কোন গেটম্যান নাই। যাত্রী সাধারণকে নিজ দায়িত্বে পারাপার করতে হবে’। বর্তমানে ফলক দুটিও ময়লায় ঢেকে যাওয়ায় মানুষের চোখে আর পড়েনা।
এতদঞ্চলের সচেতন এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশন কর্তৃপক্ষ বরাবরে সম্প্রতি এই রেলক্রসিং দুটিতে জরুরী ভিত্তিতে রেলগেট স্থাপন ও গেটকীপার নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় স্বাস্থ্য বিভাগীয় সিএইচসিপিদের কর্মবিরতি
গাইবান্ধা :: কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাসিমা খাতুনকে সরকারি কাজে বাধা, লাঞ্ছিত ও মারপিটের ঘটনায় আসামি সাহেরা খাতুনকে গ্রেফতার না করায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগীয় সিএইচসিপিরা শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দু’ঘন্টা কর্মবিরতি পালন ও কালো ব্যাজ ধারণ করে।
গত ২৬ নবেম্বর গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের আনালেরতাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাসিমা খাতুনকে একই এলাকার উচ্ছংখল প্রকৃতির সাহেরা খাতুন সরকারি কাজে বাধা, মারপিট ও লাঞ্ছিত করে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় সিএইচসিপি এসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখা ওইদিন রাতে পুরাতন হাসপাতালে এক প্রতিবাদ সভা করে। সভায় জানানো হয়, আসামি সাহেরা খাতুনকে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে সদর উপজেলার সকল সিএইচসিপিরা কালো ব্যাজ ধারণ ও ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করবে এবং ১২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের কর্মসূচি পালন করবে।