শনিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালন করুন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালন করুন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
ঢাকা :: আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় চরম কর্তৃত্ববাদী শাসনে সরকার দেশকে বিপজ্জনক পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশে আজ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জুয়াড়িদের রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেবার পর এখন তারা ভাতের অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে। কথিত উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি-সুন্দরবন ও জাতীয় সম্পদবিনাশী নানা বিধ্বংসী প্রকল্পের মাধ্যমে তারা মানুষের জীবনের উপর অধিকারও কেড়ে নিতে চাইছে। যেকোনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা ভারতের সাথে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্নকারী একের পর এক চুক্তি করে যাচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের উপকুলে বাড়ীর বসানোর তৎপরতা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমরাস্ত্র কেনার তৎপরতাও দেশকে বিপন্ন করবে। প্রস্তাবে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের ভোটের সম্মতি প্রয়োজন না হওয়ায় সরকার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বেপরোয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। তাই এই সরকারের কাছে দেশ ও জনগণের কোন গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নেই। প্রস্তাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে বিদ্যমান কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণসংগ্রাম জোরদার করার ডাক দেয়া হয়।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, এ্যাপোলো জামালী, মাহমুদ হোসেন, সজীব সরকার রতন, জেলা প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেন শান্ত, ডি.এন রায়, সাইফুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, ওমর ফারুক হারুন, মতিউর রহমান তপন, আবু নাহার রাইসুদ্দীন, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, হুমায়ুন মুজিব, জোনায়েদ হোসেন, রাজিয়া সুলতানা, শফিকুল ইসলাম নেওয়াজ, ডা. মনোয়ার হোসেন ও আনছারুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে ভোট ডাকাতির বর্ষপূর্তিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আহুত আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালন এবং সমাবেশ-বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
সভার আর এক প্রস্তাবে সুন্দরবন, প্রাণ-প্রকৃতি ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটির কনভেনশনে গৃহীত আন্দোলনের কর্মসূচি এগিয়ে নেবারও আহ্বান জানানো হয়।