সোমবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত
গাইবান্ধায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত
স্টাফ রিপোর্টার :: আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালী শেষে স্থানীয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস জাহান, মাহমুদা পারুল, নাজমুন্নাহার শান্তি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিরিন আকতার।
অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের ৫ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ নারী-পুরুষ সমতা, রুখতে পারে সহিংসতা’।
গাইবান্ধায় সিএইচসিপিদের তৃতীয়দিনের কর্মবিরতি পালন
গাইবান্ধা :: কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাসিমা খাতুনকে সরকারি কাজে বাধা, লাঞ্ছিত ও মারপিটের ঘটনায় আসামি সাহেরা খাতুনকে গ্রেফতার না করায় সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগীয় সিএইচসিপিরা কালো ব্যাজ ধারণ করে দু’ঘন্টা করে তৃতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন আজ সোমবার অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৬ নবেম্বর গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের আনালেরতাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাসিমা খাতুনকে একই এলাকার উচ্ছংখল প্রকৃতির সাহেরা খাতুন সরকারি কাজে বাধা, মারপিট ও লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে সাহেরা খাতুনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় সিএইচসিপি এসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখা ওইদিন পুরাতন হাসপাতালে এক প্রতিবাদ সভা করে। সভায় জানানো হয়, আসামি সাহেরা খাতুনকে গ্রেফতার না করায় সদর উপজেলার সকল সিএইচসিপিরা কালো ব্যাজ ধারণ করে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করবে এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সাদেকপুর গ্রামকে উন্নত চুলা মডেল ভিলেজ ঘোষণা
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের সাতানি সাদেকপুর গ্রামকে শতভাগ উন্নত চুলা ব্যবহারকারি গ্রাম মডেল ভিলেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোছা. রোখছানা বেগম আজ সোমবার উক্ত গ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। পরে প্রধান অতিথি উক্ত গ্রামের প্রধান সড়কের ধারে মডেল ভিলেজ শীর্ষক একটি ফলোক উন্মোচন করেন এবং উন্নত চুলা ব্যবহারকারিদের বসতবাড়িতে চুলা ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেন। বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম একটি সাতানি সাদেকপুর গ্রামকে উন্নত চুলা ব্যবহারকারি মডেল ভিলেজ হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
এ উপলক্ষে ওই গ্রামে ছিন্নমুল মহিলা সমিতির উদ্যোগে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মো. মুর্শীদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী, প্রাকটিক্যাল এ্যাকশনের শৈবাল বড়–য়া, চুলা ব্যবহারকারি সেলিনা আকতার, রহিমা বেগম, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সীমা আকতার ও জনি শেখ। এই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নারী উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এই গ্রামের ২৪১টি পরিবারের মধ্যে ১৭১ জনকে জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৭০টি পরিবার আগে থেকেই উন্নত চুলা ব্যবহার করে আসছে। উল্লেখ্য, উন্নত চুলার প্রচারণা ও কিশোর-কিশোরীদের অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের সহায়তা পুষ্ট প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় গাইবান্ধার ছিন্নমুল মহিলা সমিতি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর, সাহাপাড়া ও বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম ও ১০টি বিদ্যালয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দু’জন করে ছাত্রছাত্রী উল্লেখিত ইউনিয়নের গ্রামবাসিদের উন্নত চুলা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং তাদের কাছে উন্নত চুলা বিক্রি বাবদ নির্ধারিত হারে কমিশন পেয়ে অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার একটি গ্রামকে মডেল ভিলেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যে গ্রামের শতভাগ মানুষকে ‘উন্নত চুলা’ (আইসিএস) ব্যবহার শুরু করেছে।