বুধবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খেলা » বিপিএল শুরুতে স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে দর্শক খরা
বিপিএল শুরুতে স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে দর্শক খরা
ক্রীড়া ডেস্ক :: বিপিএল শুরুর আগের দিন অন্যবার শেরে বাংলা ও তার আশপাশে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ে, এবার তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। অন্য সময় খেলা মাঠে গড়ানোর আগের দিন বিকেল থেকে অনেক রাত অবধি হোম অব ক্রিকেটের বাইরে অপক্ষেমান দর্শক, ক্রিকেট অনুরাগিদের ভিড় চোখে পড়তো।
গতকাল (মঙ্গলবার) তা ছিল না। জটলা বেধে খেলা নিয়ে কথাবার্তা দূরের কথা, স্টেডিয়ামের দিকে তাকিয়ে ভেতরে কী হচ্ছে?- তা দেখা নিয়েও ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারো। তখনই বোঝা গেছে দর্শক উৎসাহ, আগ্রহ এবার কম।
সত্যিই তাই। খেলা শুরুর আগে শেরে বাংলার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অন্তত ৩০০-৪০০ গজ এলাকায় পড়ে যায় সাজসাজ রব। রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। এবার সব রাস্তাই খোলা।
খেলা শুরুর আধঘণ্টা আগে যখন টস হলো, তখনও স্টেডিয়াম প্রায় পুরোটাই খালি। টসের পরও হোম অফ ক্রিকেটের পূর্ব দিকের সাধারণ গ্যালারিতে সাকুল্যে শ’ দেড়েক দর্শকের দেখা মিলেছে। একই অবস্থা গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড, ক্লাব হাউজগুলোতেও। সব মিলে দর্শকখরা শুরু থেকেই।
অবশ্য সেটারও একাধিক কারণ আছে। আগের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরগুলোয় একটা সুবিধা ছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিজ নিজ সমর্থকদের জন্য সৌজন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতো। তাতে করে বাড়তি সমর্থনপুষ্ট হয়ে খেলার সুযোগ থাকতো। কিন্তু এবার যেহেতু ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। তাই সে সুযোগও নেই।
এখন সৌজন্য টিকিটে খেলার দেখার সুযোগ ও সম্ভাবনা দুই’ই গেছে কমে। তার সাথে সাধারণ গ্যালারির টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা। শেষ পর্যন্ত বিপিএল দর্শক টানতে পারবে কি না? পারলেও কতটা পারবে? আগের মত শেরে বাংলা ক্রিকেট অনুরাগিদের সরব উপস্থিতিতে বিপিএল উত্তেজনায় মেতে উঠবে কি না?- সেটা আসলে সময়ই বলে দেবে।
তবে সেক্ষেত্রে মাঠের লড়াইটাও জমতে হবে। হাই স্কোরিং গেম হওয়া খুব জরুরী। উইকেট শতভাগ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হওয়াও যে দরকার। ব্যাটসম্যানরা হাত খুলে শটস খেলতে পারলে চার ও ছক্কার ফুলঝুরি ছুটবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই রানের নহরও বইবে। তাহলেই কেবল টি টোয়েন্টির প্রকৃত আস্বাদন মিলবে। আর তা হলেই কেবল দর্শক হবার সম্ভাবনা থাকবে।
সূত্র: জুমবাংলানিউজ
বিপিএল শুরুর আগের দিন অন্যবার শেরে বাংলা ও তার আশপাশে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ে, এবার তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। অন্য সময় খেলা মাঠে গড়ানোর আগের দিন বিকেল থেকে অনেক রাত অবধি হোম অব ক্রিকেটের বাইরে অপক্ষেমান দর্শক, ক্রিকেট অনুরাগিদের ভিড় চোখে পড়তো।
গতকাল (মঙ্গলবার) তা ছিল না। জটলা বেধে খেলা নিয়ে কথাবার্তা দূরের কথা, স্টেডিয়ামের দিকে তাকিয়ে ভেতরে কী হচ্ছে?- তা দেখা নিয়েও ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারো। তখনই বোঝা গেছে দর্শক উৎসাহ, আগ্রহ এবার কম।
সত্যিই তাই। খেলা শুরুর আগে শেরে বাংলার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অন্তত ৩০০-৪০০ গজ এলাকায় পড়ে যায় সাজসাজ রব। রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। এবার সব রাস্তাই খোলা।
অথচ টিকিটের প্রাপ্যতা সহজ করতে এবার অনলাইনসহ পাঁচটি জায়গায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিবিপিএল) টিকিট ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে নির্ধারিত জায়গায় টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডারের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে বিশেষ বিপিএলের আসর।
আজ বুধবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম-সিলেট ম্যাচটি শুরু হয়।
টস হেরে এই ম্যাচে ব্যাটিং করছে সিলেট থান্ডার। মাঠে দর্শক বলতে ছিল ইস্টার্ন স্ট্যান্ডে। তাও আসনের তুলনায় খুবই সামান্য। এ ছাড়া গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ও ক্লাব হাউজে ছিল হাতে গোনা কিছু দর্শক।
গতকাল সারা দিন শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে মাইকিং করে টিকিট প্রাপ্তির স্থান বলা হচ্ছিল। আজ ম্যাচ শুরুর আগেও দর্শকদের টানতে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু স্টেডিয়াম এলাকায় দর্শক চোখে পড়েনি খুব একটা। টিকিট বুথে ছিল না কোনো ভিড়।
তবে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শক খরার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন টিকিটের মূল্য। তার প্রভাবও দেখা গেছে গ্যালারিতে। ২৫ হাজার আসন ক্ষমতাসম্পন্ন শেরে বাংলা ছিল একবারে দর্শক শূন্য। বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আসলেও টুর্নামেন্টে গ্ল্যামার নিয়ে আসতে পারেনি বিসিবি।
এর আগে টিকিটের দাম নিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দর্শক দেখে বিবেচনা করবেন। আমরা দেখি, কাল তো শুরু হচ্ছে। রেসপন্স দেখে আমরা পুনরায় বিবেচনা করার কোনো সুযোগ থাকলে অবশ্যই সেটা দেখবো।’
যেভাবে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে দর্শকরা সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছে। এছাড়া অনলাইনে পাওয়া যাবে সহজ ডটকম, পে-পয়েন্ট ডটকম ডটবিডি ও গ্যাজেটবাংলা ডটকমে।
টিকিটের মূল্য
১. গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড- দুই হাজার টাকা
২. ভিআইপি স্ট্যান্ড- ৫০০ টাকা
৩. ক্লাব হাউজ- ৫০০ টাকা
৪. নর্দান-সাউদার্ন স্ট্যান্ড- ৩০০ টাকা
৫. ইস্টার্ন স্ট্যান্ড- ২০০ টাকা
সূত্র : বাংলাদেশ টুডে