বৃহস্পতিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » স্বাধীনতার এত বছর পরেও জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে না : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী
স্বাধীনতার এত বছর পরেও জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে না : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী
স্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী বীর উত্তম।
সংগঠনের জেলা সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক অ্যাড. মোস্তফা মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। সম্মেলন শেষে অ্যাড. মোস্তফা মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও আবু বক্কর সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৯ বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কাদের সিদ্দীকি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪৮ বছর হলো। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই সোনার বাংলায় স্বাধীনতার ফসল জনগণ কতটুকু ভোগ করছে, সব নাগরিকের মৌলিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত হওয়ার কথা কিন্তু তার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে? দেশের মানুষ এখন স্বাধীন মত প্রকাশেও শংকা বোধ করে, ন্যায্য মতামত ক্ষমতাবানদের বিপরীত হলেই শাসক গোষ্ঠী রুষ্ট।
স্বাধীনতার পর আমরা স্বপ্ন দেখলাম- এই বার প্রতিষ্ঠিত হবে প্রকৃত গণতন্ত্র, শোষণহীন, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত এক অসাম্প্রদায়িক সমাজ। সাম্য, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, যা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান অঙ্গীকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয়, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল, বাস্তবায়িত হচ্ছে না জনগণের প্রত্যাশা। লাগামীহন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি, খুন-ধর্ষণ, ক্ষমতাসীনদের পৃষ্টপোষকতায় সীমাহীন সন্ত্রাস, অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা ও দলের চরম ব্যর্থতা, সর্বোপরি অসৎ আমলাদের ঔদ্ধত্বের কারণে গোটা জাতি আজ জিম্মি। মানুষের অন্তরের প্রত্যাশাকে যৌক্তিক ও নৈতিকভাবে ধারণ করার একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি ‘কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ’। তিনি ব্যাপারে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান এবং দলীয় কর্মীদেরকে সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনগণের দাবি আদায়ে আন্দোলন গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি : হুইপ গিনি
গাইবান্ধা :: ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য র্যালী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। পরে একটি র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালী শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর কবীর, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. এনায়েতুর রহমান, জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক এস.এম এমদাদুল হক প্রামানিক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হোসেন আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসুচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌছে দেয়। এই ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে কর্মসংস্থান, বেকার সমস্যার সমাধান ও নারীর ক্ষমতায়ন শক্তিশালী করার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধায় একসময় অভাব ছিল, আমরা মঙ্গায় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে।
গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার ১০৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (গানাসাস) এর ১০৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়। জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গানাসাস এর সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, কার্যকরি সভাপতি রাগিব হাসান চৌধুরী হাবুল ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন।
উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যায় সংস্থার মুক্ত মঞ্চে গানাসাস শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার শিশু-কিশোরদের কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। ১৪ ডিসেম্বর শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও অন্তরঙ্গ থিয়েটারের পরিবেশনায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ‘১৯৭১’। ১৫ ডিসেম্বর রোববার সংস্থার তুলসী লাহিড়ী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য ‘চন্ডালিকা’। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গানাসাস শিল্পীদের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘প্রাগৈতিহাসিক’। ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সমাপনি দিনে সন্ধ্যায় তুলসী লাহিড়ী মঞ্চে সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানসহ ‘প্রাগৈতিহাসিক’ নাটকটি পুনঃ মঞ্চস্থ হবে।