বৃহস্পতিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেটে জমে উঠেছে ভাসমান শীতের কাপড়ের ব্যবসা
সিলেটে জমে উঠেছে ভাসমান শীতের কাপড়ের ব্যবসা
সিলেট প্রতিনিধি :: অগ্রাহয়ন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সিলেটের কদমতলি, পুরান পুলের আশপাশ, তালতলা, বন্দর কোর্ট পয়েন্ট ও জিন্দাবাজারের রাস্তার পাশের বিরাট অংশ জুড়ে জমে উঠেছে মৌসুমি শীততের কাপড় ব্যবসায়ীদের জমজমাট ব্যবসা। এছাড়া জেলার হাট-বাজারগুলোর অলি-গলি, সড়ক-উপসড়কের ফুটপাত দখল করে বসা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শীতের কাপড়ের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পুরোদমে। মূলত শীত বাড়ার সঙ্গে এসব ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে পুরো ফুটপাত। তবে বাজারের বড় বড় শপিং মল ও নামী-দামি মার্কেটগুলোর চেয়ে দামে কিছুটা কম এবং সাধারণ মানুষের নাগালের ভেতরে থাকায় ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোর উপর অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ও ভরসা করছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যম আয়ের মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিলেটের উপশহরের প্রবেশমুখ, সোবহানীঘাটের কিছু অংশে, বন্দর বাজারের ডাক অফিসের সামনে, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, সুরমা মার্কেটের সামনে ও পুরান পুলের আশপাশসহ সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও অলি-গলি, সড়ক-উপসড়কের ফুটপাত দখল করে শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
এতে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের শীতের কাপড় পাওয়া যায় বলে ভিড়ও দেখা গেছে। দামেও মোটামুটি সাধারণ মানুষের নাগালের ভেতর থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন মাধ্যম আয়ের ক্রেতারা।
ফুটপাতে কাপড় ক্রয় করতে আসা আহসান জানান, ভাইয়ের জন্য শীতের কাপড় কিনতে আসছি। নামী-দামি শপিংমলগুলোর চেয়ে দামে অনেকটা সস্তা। কাপড়গুলো মানেও মোটামুটি ভাল, অন্তত শীতের মৌসুম কাটানোর জন্য। প্রাপ্ত বয়স্ক এক ক্রেতা জানান, শীত বেড়েছে তাই দুটি কম্বল ও শীতের কাপড় কিনেছি। দাম কম তাই কিনলাম।
তবে ফুটপাতের এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে প্রচুর। তার মাধ্যে অন্যতম অভিযোগ হলো রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে হকারদের কাপড় বিক্রির কারণে রাস্তা ছোট হয়ে আসছে ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, আর এই যানজট মারাত্মক আকার ধারন করে অফিস আদালত ছুটির সময় থেকে রাত ৯ পর্যন্ত। তার উপর রয়েছে ভাসমান ফল ও জুতা ব্যবসায়ী হকারদের উপদ্রব। এভাবে সড়ক-উপসড়ক ও অলি-গলিতে মৌসুমি হকারদের দখলে থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় জমে থাকে সব সময়।
সচেতন জনতা ও পথচারীদের দাবী এসব মৌসুমি হকারদের জন্য আলাদা জায়গার বসে ব্যবসা করার ব্যবস্থা করা দরকার। যাতে ভ্রাম্যমাণ মৌসুমি হকাররা যত্রতত্র বসে পথচারীদের ভোগান্তি ও যানজট সৃষ্টি করতে না পারে।