শুক্রবার ● ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » অবিলম্বে অনশনরত পাটকল শ্রমিকদের বাঁচার ১১ দফা মেনে নিন : সাইফুল হক
অবিলম্বে অনশনরত পাটকল শ্রমিকদের বাঁচার ১১ দফা মেনে নিন : সাইফুল হক
ঢাকা :: আজ ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্তরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার ও মালিকেরা শ্রমিকদেরকে কেবল উৎপাদন বাড়াতে বলে। কিন্তু তাদের বেঁচে থাকার মত মজুরী ও অধিকার দেয় না। সরকার শ্রমিকদের সমর্থন চায়, কিন্তু তাদের মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার দেয় না। ক্ষমতায় থাকার জন্য এখন আর শ্রমজীবীদের ভোটের প্রয়োজন না থাকায় শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তারা স্বেচ্ছাচারী আচরণ অব্যাহত রেখেছে। অনুমোদনহীন কারখানা, সরকারের কোন নজরদারি না থাকা ও মালিকদের লোভের আগুনে কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১৪ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। অনেকে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। সরকার ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের চরম দায়িত্বহীনতা ও নিষ্ঠুরতার কারণে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব পাটকল শ্রমিকদেরকে আমরন অনশন শুরু করতে হয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় অনশনরত খালিশপুরের প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিকদের বাঁচার ১১ দফা মেনে নিয়ে পাটকল শ্রমিক ও পাটশিল্পকে রক্ষা, অনশনরত শ্রমিক আবদুস সাত্তারের পরিবার এবং কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনের দাবি জানান।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়নগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির নারায়নগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, রাশিদা বেগম, জেলা কমিটির নেতা শহীদুল আলম নান্নু, আঙ্গুর মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রোকসানা আক্তার ও আইয়ুব আলী প্রমুখ।
সমাবেশে আবু হাসান টিপু বলেন, এই সরকার মুখে নিজেদেরকে শ্রমিকবান্ধব বললেও বাস্তবে তারা শ্রমিক নিপীড়ক সরকার। অনেক কারখানাসমূহ এখনও মৃত্যুকুপের মত। কারখানা এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ নয়।
মাহমুদ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া কোন দাবি আদায় করা যাবে না। তিনি এই দুরাচারী স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান করার ডাক দেন।