রবিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে মাওলানা নুরুল ইসলাম মইজপুরী’র দাফন সম্পন্ন
বিশ্বনাথে মাওলানা নুরুল ইসলাম মইজপুরী’র দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: বিশ্বনাথে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম মইজপুরী আর নেই। তিনি আজ রবিবার ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সিলেট নগরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লা ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩পুত্র ও ৫কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
রাত ৮টায় মরহুমের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে ও খলিফা হাফিজ মাওলানা জুনাঈদ আহমদ। জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মাওলানা নূরুল ইসলাম মইজপুরী। জানাযার নামাজে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
হযরত মাওলানা নূরুল ইসলাম মইজপুরী বর্ণাঢ্য জীবন: ১৯৪০ সালে মাওলানা নূরুল ইসলাম মইজপুরী বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মইজপুর (তাতালপুর গ্রামে) জন্মগ্রহন করেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি ইসলামী শিক্ষার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল বেশী। পরে তিনি ভর্তি হন বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর মাদ্রাসায়। এই মাদ্রাসা থেকে ১৯৭০ সালে দাওরা পাস করেন এবং ১৯৭২ সাল থেকে গহরপুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি গহরপুরীর খলিফা ছিলেন। ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বনাথের আতাপুর মাদ্রাসায় মুহতামিম, ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল-উলুম কালিগঞ্জবাজার মহিলা মাদ্রাসা এবং এই মাদ্রাসায় ২০১৭ সালে মুহতামিমের দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০১৭ সাল থেকে বাগিছাবাজার দারুল উলুম মাদ্রাসা মুহতামিম ও সিলাম মাদ্রাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় আমৃত্যু পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে নিজ গ্রাম মৌজপুরসহ গোঠা উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এক নজর দেখার জন্য মাওলানা নূরুল ইসলাম মৌজপুরীর গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন অনেকেই।
শহীদ বৃদ্ধিজীবী দিবসে বিশ্বনাথে প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন-সভা
বিশ্বনাথ :: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের সম্মানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। প্রশাসনের পর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া। সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় সকল শহীদদের।
তিনি বলেন, বাঙালী জাতিকে মেধা শূন্য করার জন্য ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর ও আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বৃদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। কিন্তু অনেক দুঃখ-কষ্ঠের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে সকল ষড়যন্ত্র ধ্বংস করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ স্বনির্ভর জাতিতে রুপান্তরিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পালের সভাপতিত্বে ও ইউএনও কার্যালয়ের সিইও সাদেক মিয়ার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান, থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক আফিয়া বেগম, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বেগ।
অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী, উপজেলা প্রকৌশলী (অঃদাঃ) হারুনুর রশীদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন, ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পাবেল সামাদ, সাংবাদিক কামাল মুন্না, উপজেলা তথ্য সেবা সহকারী তানজিয়া ইসলাম তানিয়া, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সবিতা রাণী মালাকার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সীমা দেব, প্রচার সম্পাদক দিলারা বেগম, বিশ্বনাথ ইউপি সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লাকি বেগম, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিজিল মিয়া প্রমুখ।
শহীদ বৃদ্ধিজীবী দিবসে বিশ্বনাথে সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের সভা
বিশ্বনাথ :: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষেদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভ চত্ত্বরে শনিবার বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, বুদ্ধিজীবীরা দেশ ও জাতীর পথ প্রদর্শক। স্বাধীন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে পাকিস্তানী জল্লাদ বাহিনী ও রাজাকার আল-বদর চক্র ১৯৭১ সালের এ দিনে বুদ্ধিজীবীদের বাসা-বাড়ী থেকে চোখ বেঁধে ধরে ধরে নিয়ে বিভিন্ন বদ্ধভূমিতে পৈচাশিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। তাই বুদ্ধিজীবী হত্যার নেপথ্যের নায়ক ও পরিকল্পনাকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা ও ঘাতক দালাল রাজাকার তথা যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জোর দাবী জানান বক্তারা।
সংগঠনের সভাপতি কবি সাইদুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আনহার আলী ও বিশ্বনাথ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক নবীন সোহেলের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রাগীব-রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খালেদ উদ্দিন, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের প্রিন্সিপাল মনি কাঞ্চন চৌধুরী, উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, বাংলাদেশ কবিতা পরিষদের বিশ্বনাথ শাখার সভাপতি আবদুল হান্নান ইউজেটিক্স, সংগঠক বিভাংশু গুন বিভূ, বিশ্বনাথ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল মুন্না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা গনতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি কবির আহমদ, সাংবাদিক আশিক আলী, রোহেল উদ্দিন, বদরুল ইসলাম মহসিন, ছড়াকার নিরঞ্জন মনি বিশ্বাস, বিজন চন্দ্র দাস বিজয়, সংগঠক শফিক আহমদ পিয়ার, আজিম উদ্দিন, আবদুর রহমান, বিশ্বনাথ দর্জি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি কাওছার আহমদ, বিশ্বনাথ থিয়েটারের সদস্য ফয়জুল ইসলাম, বাসিয়া খেলাঘর আসরের সহ সভাপতি শফিক রুহিন, যুগ্ম সম্পাদক প্রীতম দাশ তুর্জ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোলেমান, অর্থ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইয়ামিন, রাজ সংগীতালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন রাজ প্রমুখ।