শিরোনাম:
●   রাউজানে বাঁধাকপি ও ফুলকপির বাম্পার ফলন ●   ভারত তীর্থমুখ পৌষ মেলায় আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন ●   ঈশ্বরগঞ্জে শ্রমিক দলের আনন্দ মিছিল ●   ভদন্ত জোতির্ময় মহাথেরোর মাতা মনিবালা বড়ুয়ার স্মরনে সংঘদান অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময় ●   রাঙামাটিতে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভার বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিবাদ ●   দুই মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ : ৫ হাজার শ্রমিক বেকার ●   শামছুল হক স্মৃতি আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ●   ফাতেমা নগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থলুটের অভিযোগ ●   মিরসরাইয়ে সোনালী স্বপ্নের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ●   ঘোড়াঘাটে অবৈধ দখলে রাস্তা ও ফুটপাথ জনদূর্ভোগ চরমে ●   কাউখালী পাইন বাগান দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়ায় সমিতির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবকের হাত কর্তন ●   অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনে নয় পাপিয়া মারা গেছে ক্যান্সারে ●   রাউজান পৌরসভা যুবলীগের নেতাকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ●   নান্দাইলে এক হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ●   শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা : সাইফুল হক ●   খাগড়াছড়িতে ভূমিখেকো সহোদর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ●   ঈশ্বরগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন ●   বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হামিদ শরীফ আর নেই ●   কুষ্টিয়াতে ওয়াজ করবেন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ●   লামায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজধানীতে পিসিপির বিক্ষোভ ●   নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   আত্রাইয়ে হলুদ বর্ণে সেজেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ●   অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি ●   সচিবালয়ে আগুন ●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
রাঙামাটি, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » আজ চাটমোহর হানাদার মুক্ত দিবস
প্রথম পাতা » পাবনা » আজ চাটমোহর হানাদার মুক্ত দিবস
শুক্রবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আজ চাটমোহর হানাদার মুক্ত দিবস

---পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর আজ ২০ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। চাটমোহর উপজেলায় বিজয় দিবসের চারদিন পর ২০ ডিসেম্বব আজকের এই দিনে হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত পেয়ে স্বাধীন দেশের প্রথম পতাকা উত্তলন করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ যখন বিজয়ের উল্লোসে মেতে ওঠে, চারিদিকে খুশীর আমেজ। দোকানে, ভবনে, রাস্তার পাশে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা পতপত করে উড়ছে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। মিছিলে শ্লোগান মুখরিত মানুষ, ঠিক তখনও চাটমোহর উপজেলা বাসী পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। ১৬ ডিসেম্বরে দেশ হানাদারমুক্ত হলেও চাটমোহর উপজেলা শত্র“মুক্ত হয় তার ৪ দিন পর ২০ ডিসেম্বর।

৭১’এর এপ্রিলে পাক হানাদার বাহিনী দু’বার পাবনা জেলা শহরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু জনতার প্রতিরোধে পিছু হটে। মে মাসের শেষের দিকে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাক বাহিনী পাবনায় ঢুকে পড়ে। পর্যায়ক্রমে দখল করে নেয় জেলার বিভিন্ন অঞ্চল।

চাটমোহর উপজেলাতেও হানাদার বাহিনী প্রবেশ করে। হিন্দু অধ্যুষিত চাটমোহর শহরের বিভিন্ন স্থানে তারা আগুন লাগায়। তদানীন্ত ন্যাশনাল ব্যাংক লুট করে হানাদার বাহিনী। ব্যাংক ম্যানেজার আবুল কালাম খানসহ দু’জন গার্ডকে হত্যা করে। পাক বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন চাটমোহর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যতীন কুন্ড, রঘুনাথ কুন্ড, ঝাড়– ঠাকুর, আশ্বিনী কুন্ডসহ বেশ কয়েকজন। এরপর চাটমোহরে বিভিন্ন স্থানে হত্যা, লুটসহ ধবংশযঞ্চ চলে। পাক বাহিনীর দোসর হিসাবে আর্বিভূত হন চাটমোহরের অনেকেই। রাজাকার, আলবদর, বাহিনী গঠন করা হয়। গঠন হয় শাস্তি কমিটি। এভাবে চলার পর ৭১’এর ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেন, মোহাম্মেল হক ময়েজ, ইদ্রিস আলী চঞ্চল, গাজী মোজাহারুল হক, আমজাদ হোসেন লালসহ আরো অনেকে। মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণে হানাদাররা শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে থানা টিকে দূর্ভেদ্য দূর্গে পরিণত করে। মুক্তিযোদ্ধারা ১৩ ডিসেম্বর রাতে থানা আক্রমণ করে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। হানাদার ও তাদের দোসররা থানার মধ্যে থেকে জয় বাংলা শ্লোগান দিলে রামনগর গ্রামের দু’সহোদর মোসলেম ও তালেব ভেবেছিলেন থানা দখল হয় গেছে। তারা থানায় ঢুকতেই হানাদারদের ব্রাশফায়ারে শহীদ হন। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ বাড়িয়ে দেন।

এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয় দূর্ধরষ হানাদার শের আফগান। মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় বিধ্বস্ত হানাদার বাহিনী সাদা পতাকা উড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আলোচনার প্রস্তাব দেন। মুক্তিযোদ্ধা ও হানাদারদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর হানাদারা আত্মসম্পনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নয়, আত্মসম্পন করবে মিত্র বাহিনীর কাছে। বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধারা জেলা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বকুলকে জানানো হয়। মিত্র বাহিনীর পোশাকে জেলা কমান্ডার চাটমোহরে আসেন। ২০ ডিসেম্বর নকল মিত্র বাহিনীর হাতে পাক বাহিনী আত্মসম্পন করে এবং হানাদার মুক্ত হয় চাটমোহর উপজেলা। চাটমোহরে উড়তে থাকে লাল-সবুজের প্রথম বিজয়ের পতাকা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)