শনিবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে শৈত্যপ্রবাহের কারনে বেড়েছে শীতের প্রকোপ
সিলেটে শৈত্যপ্রবাহের কারনে বেড়েছে শীতের প্রকোপ
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের সাধার মানুষের জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার আবরণে সূর্য ঢাকা পড়ে আছে দিনভর। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। রাত নামতেই বেড়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাসের গতি। শীতের তীব্রতায় রাস্তাঘাটে কমে গেছে পথচারীর আনাগোনা। সব মিলিয়ে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
সিলেট আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ১৪ দশমিক ৮ সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রয়েছে ১৫ দশমিক ৮ সেলসিয়াসে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে তাপমাত্রা নামে ১৩ ডিগ্রিতে । এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি। শুক্রবার আরও কমে ১৩ ডিগ্রিতে আসে। ফলে শনিবার আরও বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।
১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও দুই দিন আগে হঠাৎ করেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। এখন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে। ফলে এই জেলায় বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ মাসের ২৫ থেকে ২৬ তারিখের দিকে সিলেটে ১ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখাচ্ছে। সাধারণত শীতে সামান্য বৃষ্টি হয়।’
কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। তীব্র শীতের কারণে জেলায় দেখা দিয়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগবালাই। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আলুসহ বিভিন্ন ফসল।
শীত ও কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাস যুক্ত হওয়ায় সিলেটে দুর্ভোগ বেড়েছে অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের। ঠান্ডার প্রকোপ উপেক্ষা করে বাইরে বেড়ানোই তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবিকার প্রয়োজনে খেটে খাওয়া দিনমজুররা কাজের সন্ধানে গেলেও অনেকেই বাড়িতে ফিরে আসছেন খালি হাতে। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সিলেটের নিম্নআয়ের মানুষজন। আজ এই জেলায় সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সন্ধ্যা নামলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে গোটা জনপদ। ঠান্ডার কারণে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষসহ গবাদিপশুও দুর্ভোগে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদগণ গণমাধ্যমকে বলেন যে , সিলেটে তাপমাত্রার সর্বনিম্ন রেকর্ড ছিল ২০১৩ সালে ৪ দশমিক ২ সেলসিয়াস এবং ওই বছর শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ২ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে নেমে আসে। ঢাকায় তাপমাত্রা কমলেও সিলেটে এখনো সেভাবে কমেনি। অবশ্য এবার সিলেটে সেভাবে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।