বুধবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজীতে ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজীতে ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্থ করার লক্ষ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ও মাহতাবপুর বাজার এলাকায় সড়কের পার্শ্বে গড়ে উঠা প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনাগুলোর নিজের দায়িত্বে সরানোর জন্য মাইকিং ও নোটিশ প্রদানের পরও তা সরানোর কারণে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভল্টুজার মেশিন দিয়ে সকল অবৈধ স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলাকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে কিছু ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি অভিযোগ করেন সওজ কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে গড়ে উঠা আরো কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ না করেন নি। আবার এব্যাপারে সওজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন নির্ধারিত সীমানায় থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারপর কিছু থেকে গেলে মাফ দিয়ে তাও উচ্ছেদ করা হবে।
মঙ্গলবার ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের’ বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ও মাহতাবপুর মাছ বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারী মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া, সার্ভেয়ার সুহেল রানা, আমজাদ হোসাইন প্রমুখসহ সওজের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এসময় আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, এসআই গোপেশ দাস ও এসআই আবদুল লতিফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপস্থিত ছিল।
বিশ্বনাথে বাসের ধাক্কায় আহত সিএনজির যাত্রী বৃদ্ধার অবস্থা আশংঙ্কাজনক
বিশ্বনাথ :: বাসের (ঢাকা মেট্রো-ড ১৪-২৫১০) ধাক্কার আহত সিএনজি চালিত অটোরিক্সার যাত্রী বৃদ্ধা মোছাঃ আফিয়া খাতুনের (৫৫) অবস্থা আশংঙ্কজনক বলে জানা গেছে। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সিংগেরকাছ বাজারের মাকুন্দা সেতুর সম্মুখে গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লামাটুকের বাজার থেকে ছেড়ে আসা ওই যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কার স্ব-পরিবারে গুরুত্বর আহত হন বৃদ্ধা মোছাঃ আফিয়া খাতুন। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে দোয়া কামনা করেছেন আফিয়া খাতুনের পরিবার।
ওই দিন আফিয়া খাতুনের সাথে আহত হন একই সঙ্গে সিএনজিতে থাকা তার (আফিয়া) মেয়ে মোছাঃ খাদিজা বেগম, ছেলে মোঃ জাফরিন জাকারিয়া, পুত্রবধু মোছাঃ রুজিনা বেগম, নাতনী মোছাঃ মারয়াম জাকারিয়া, নাতী লাবিব মোঃ জাকিয়া এবং তাদেরকে বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক আলী নূর ও পৃথক একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার চালক আলীম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) টুকেরবাজার থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বাস (ঢাকা মেট্রো-ড ১৪-২৫১০) সিংগেরকাছ বাজারস্থ মাকুন্দা সেতুর ওপর উঠার পর ব্রেকফেল করে সেতুর সামনে থাকা যাত্রীবাহী দুইটি অটোরিক্সাকে (সিএনজি চালিত ও ব্যাটারী চালিত) ধাক্কা দেয়। যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালিত ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা দুটির চালক ও যাত্রীরাসহ ৮ জন আহত হন। বাসের ধাক্কায় অটোরিক্সা দুটি দুমড়ে-মুছড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর গুরুতর’সহ আহতদেরকে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন স্থানীয় জনতা। এঘটনায় প্রায় আধ ঘন্টার মতো বিশ্বনাথ-সিংগেরকাছ-লামাটুকের বাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। দূর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বাসটি ভাংচুরও করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্বনাথে ১ম মাহা আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে খেলাধুলার ব্যাপক উন্নীতি হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হচ্ছে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। এছাড়া শরীর গঠনের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। আর খেলাধুলা অপরাধমূলক কর্মকান্ড দূর করে সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। তাই সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ধীতপুরস্থ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ‘১ম মাহা আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট-১৯’র ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বিশ্বনাথ উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশ উদ্যোগে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ফাইনাল খেলায় ট্রাইবেকারে রামপাশা ইউনিয়ন ফুটবল দল ৪-৩ গোলের ব্যবধানে অলংকারী ইউনিয়ন ফুটবল দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ রফিক হাসান, মেম্বার শাহনেওয়াজ চৌধুরী সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফয়েজ আহমদ সেবুল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল মতিন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান জুয়েল, সহ সভাপতি আখতার হোসেন, লোকমান মিয়া, কোষাধ্যক্ষ কাওছার আহমদ বাপ্পি, উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাসেল আলী, রেফারী শিহাব উদ্দিন, ধারাভাষ্যকার এ কে এম তুহেম, মোহাম্মদ আলী লিটন, জুয়েল আহমদ, আশিক মন্ডল প্রমুখ।
বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান অভিযানে সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
বিশ্বনাথ :: ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পনাউল্লা বাজারে ‘দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ন পণ্য রাখার’ অভিযোগে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা প্রদানকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হল উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের পনাউল্লা বাজারের ‘জাকারিয়া এন্ড কামাল ষ্টোর ৫ হাজার টাকা, সুমন ভেরাইটিজ ষ্টোর ১ হাজার ৫শত টাকা, মালা বিবি ষ্টোর ২ হাজার টাকা’।
সোমবার বিকেলে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান অভিযানটি পরিচালিত হয়। উপজেলা স্যানেটারী কর্মকর্তা অলিক গোবিন্দ সরকার, এসময় একদল থানা পুলিশ ও উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, পর্যায়ক্রমে সবকটি বাজারের অভিযান পরিচালিত হবে। একটি চলমান একটি প্রক্রিয়া।
কেক কেটে বিশ্বনাথে ইত্তেফাকের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
বিশ্বনাথ :: কেক কেটে সিলেটের বিশ্বনাথে দশের প্রাচীনতম সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক-এর ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবে ইত্তেফাকের স্থানীয় সংবাদদাতা তজম্মুল আলী রাজুর আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ইত্তেফাক-এর কেক কাটেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া।
ঐতিহ্যবাহী দৈনিক ইত্তেফাক-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আসাদুজামান, যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফয়েজ আহমদ সেবুল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল মতিন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন, কার্যনির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, সদস্য জামাল মিয়া, নূর উদ্দিন, লার্ণিং পয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মঈন উদ্দিন, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা বিশ্বনাথের সভাপতি শেখ ফজর রহমান, বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খান, বিশ্বনাথ উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম মোমিন, বিশ্বনাথ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম, শুভ সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম মুন্না, সংবাদকর্মী আহমদ আলী হিরন, ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম, রিপন আলী, উপজেলা যুবলীগ নেতা সায়েদ মিয়া, সাইদুল ইসলাম, জমির আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিজিল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আহমদ, সংগঠক আহমদ আলী, নূরুল ইসলাম, লাল মিয়া প্রমুখ।
বিশ্বনাথে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভূঁয়া ভাউচারে মাদ্রাসার অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: অনিয়ম-দূর্নীতি ও ভূঁয়া ভাউচারের মাধ্যমে মাদ্রাসার অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেলীকোনা গ্রামস্থ ‘এলাহাবাদ ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ এনে গত ১২ মার্চ সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগপত্র প্রদান করেন একই মাদ্রাসার আজীবন সদস্য আবদুস সবুর। পাশাপাশি তিনি (সবুর) দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’ও আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই দুটি অভিযোগের একটি অর্থ্যাৎ জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করতে মাদ্রাসায় যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমীর কান্তি দেব। তিনি বলেন তদন্ত রিপোর্ট দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। কিছু তথ্য বাকি থাকায় তিনি এখনও তদন্তের বিষয় কিছু বলতে পারছেন না বলে জানান।
অভিযোগে আবদুস সবুর উল্লেখ করেন, এলাহাবাদ ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর ধরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই তিনি (অধ্যক্ষ) মাদ্রাসায় ছোটখাট কাজ করে ভূঁয়া ভাউচারের মাধ্যমে নিয়মিত অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ ও বরখাস্তের মাধ্যমে বাণিজ্য, ব্যাংক হিসাব এবং খাতায় ব্যাপক গড়মিল করে আসছেন। তার (অধ্যক্ষ) আমলে দীর্ঘ ২৩টি বছরে ওই মাদ্রাসায় কোন প্রকার উন্নতি হয়নি। মাদ্রাসাটি একটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যাস্থা। এছাড়াও তিনি অধ্যক্ষের পাশাপাশি খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মাদ্রাসা থেকে প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকা বেতনের পাশাপাশি কাজীর দায়িত্ব পালন হিসেবে প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। কিন্তু আয়কর রিটার্নে তিনি কাজী হিসেবে যে আয় হয় সেটি গোপন করে আসছেন। এভাবে মাদ্রাসা দিকে নজর না দিয়ে তিনি তার আখের গোছাতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার এই দূর্নীতিতে মাদ্রাসার দু’একজন শিক্ষকও সহযোগীতা করে আসছেন বলে তিনি (সবুর) তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
বিশ্বনাথে কিশোরী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২ : রিমান্ড মঞ্জুর
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দুলর্ভপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের পরিত্যক্ত বাড়ীর পুকুরে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মখাই মিয়া ও নুরুন নবী নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য গ্রেফতারকৃতদের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মাখাই মিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের জহুর আলীর পুত্র। এবং নুরুন নবী ফেনী সদর উপজেলার মধ্যম নয়াগাঁও গ্রামের আবুল কালাম আজাদের পুত্র ও লামাকাজী বাজারের বর্তমান বাসিন্দা।
পুলিশ সুত্র জানায়, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে আব্দুল গফুরের পরিত্যক্ত বাড়ীর পুকুরে ১৬ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে আনুমানিক ২৫ বছরের এক কিশোরীর লাশ দেখতে পান লোকজন। পরে বিশ্বনাথ থানায় খবর দিলে এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় লাশের কোমরে চাবির জুটা পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়। পরে ওসমানীনগর সার্কেল (এএসপি) সাইফুল ইসলাম’সহ গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্নভবে তদন্ত করেন। এঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে গত ১৪ ডিসেম্বর মাখাই মিয়াকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন ১৫ ডিসেম্বর লামাকাজী বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় নুরুন নবীকে। নুরুন নবী লামাকাজী বাজারে বর্তমানে গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন। মখাই মিয়া তার বাড়ীতে নুুরুন নবীর মাধ্যমে মহিলাকে রাখে এবং নানা অপকর্ম চালায় বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের সন্দেহ তারা অজ্ঞাত মহিলাকে হত্যা করে পুকুরে রাখতে পারে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে শুনানী শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মখাই মিয়া ও নুরুন নবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রশাদ চক্রবর্তী।