বৃহস্পতিবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিএডিসির ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বিএডিসির ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাত করণ কেন্দ্র শেখহাটি যশোর ও ঝিনাইদহের দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারের দুর্ণীতিবাজ চার কর্মকর্তার ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুল কাদের এখন নানা বিধ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দুর্ণীতিবাজ চার কর্মকর্তারা হলেন, কৃষিবিদ আমিন উল্লাহ, কৃষিবিদ তপন সাহা, কৃষিবিদ ইন্দ্রজিৎ শীল, কৃষিবিদ আক্তারুজ্জামান। একটি সূত্রে জানায়, ঝিনাইদহের দত্তনগর খামারের আওতাধীন গোকুল নগর বীজ উৎপাদন খামার থেকে উৎপাদিত ১১৭ দশমিক ২৬০ মেট্রিকটন ও পাতিলা বীজ উৎপাদন খামার থেকে উৎপাদিত ৬৯ দশমিক ৫০০ মেট্রিকটন মোট ১৮৬ দশমিক ৭৬০ মেট্রিকটন এস এল-৮ এইচ জাতের হাইব্রীড ধান বীজ যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাত করণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই দপ্তরের উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুল কাদের দেখতে পান সরকারের কর্মসূচির বাইরে অতিরিক্ত ১২৯ দশমিক ২২০ মেট্রিকটন বীজ উপপরিচালক ও সহকারি পরিচালক অবৈধ ভাবে সংরক্ষন করেছেন। বিষয়টি তখন উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুল কাদেরের চিঠির মাধ্যমে সদর দপ্তরের সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান ) কে জানিয়ে দিলে বিএডিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন নড়েচড়ে বসেন। বিএডিসির জিএম (বীজ) নুরুন নবী সরদার ও অতিরিক্ত মহা-ব্যবস্থাপক (খামার) তপন কুমার আইচ ঝিনাইদহের দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন। খামারের সাথে সংশ্লীষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিগণ অভিযোগ করেন পাতিলা ও গোকুল নগর বীজ উৎপাদন খামার থেকে অতিরিক্ত প্রায় ১৩০ মেট্রিকটন এস এল-৮ এইচ জাতের হাইব্রীড ধানের বীজ অসৎ উদ্যেশ্যে যশোরের শেখ হাটি বীজ প্রক্রিয়াজাত করণ কেন্দ্রে মজুত করা হয়। এগুলোর সরকারি হিসাব না থাকায় বিক্রিত অর্থ আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা ছিল, এবং যুগ-যুগ ধরে এই অসাধু দুর্ণীতির বানিজ্য চলে আসছিলো। এই দুর্ণীতির বিষয়টি আগষ্ট মাসে সকল মিডিয়া ও পত্রিকায় বহুল প্রচারিত ও আলোচিত হয়েছিলো। ওই সূত্রটি আরও জানায়, খামারের বীজ উৎপাদনের সময় লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় কম। খামারের দুর্ণীতি কর্মকর্তাগন এর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বীজ উৎপাদন করে তা এভাবেই সরকারের ঘরের বাইরে বানিজ্য করে। এবার বিষয়টি জানা জানি হলে বিএডিসি কর্মকর্তাদের মাঝে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে যশোর বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাত করণ কেন্দ্র যশোরের উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুল কাদের চলতি বছরের জুলাই মাসে দুর্ণীতিবাজ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সদর দপ্তরের সদস্য পরিচালক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্ণীতিবাজ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও দুর্ণীতি দমন কমিশনে বিষয়টি বর্তমানে তদন্তধীন রয়েছে। অভিযোগকারি উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুল কাদেরর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, বিএডিসির ওই দুর্ণীতি বন্ধ হওয়ার কারনে তাকে শায়েস্তা করতে উঠে পড়ে লেগেছেন দুর্ণীতিবাজ ওই চার কর্মকর্তা। তারা প্রাণ নাশের হুমকি, একের পর এক বিভিন্ন স্থানে বদলিসহ নানা হয়রানি করে চলেছেন। তিনি আরও জানান, অভিযোগের এক মাসের মধ্যে তাকে যশোর হতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিএডিসি এবং পরে দুই মাসের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলায় বদলি করা হয়। ঐ এলাকায় দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাগনের বাড়ি হওয়ায় ওই স্থানে তিনি চাকুরি করতে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এসকল সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে ও কৃষিখাতকে দুর্ণীতি মুক্ত করতে দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ঝিনাইদহে ভোটার কার্ড বিতরণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউরিয়ন পরিষদের উদ্যক্তা মাসুদ ও তার সহকারি সাইফুলের বিরুদ্ধে ভোটার কার্ড বিতরণ করে সাগান্না গ্রাম থেকে ব্যাপক হারে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এলাকাজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ২২শে ডিসেম্বর/২০১৯ তারিখে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউরিয়নে ভোটার কার্ড বিতরণ করে উদ্যক্তা মাসুদের নেতৃত্বে তার সহকারি সাইফুল। সে মোতাবেক সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার সাগান্না ইউরিয়ন পরিষদের সাগান্না গ্রামে ভোটার কার্ড বিতরণ করে উদ্যক্তা মাসুদের সহকারি সাইফুল। ভোটার কার্ড বিতরণকালে প্রায় ২০০ জনের কাছ থেকে ৫০ ও ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসিরা সাংবাদিকদের নিকটে অভিযোগ জানিয়েছেন। সাগান্না গ্রামের হাসেম ব্যাপারীর ছেলে আশরাফুল ব্যাপারী, আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মুক্তা খাতুন, বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও জেলার অন্যতম মানবাধিকার সংস্থা “ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি” (এনপিএস)’র একাধিক সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশ ব্যাপী কোন টাকা পয়সা ছাড়াই ভোটার কার্ড পৌছে দিচ্ছেন, সেখানে উদ্যক্তা মাসুদের সহকারি সাইফুল কিভাবে আমাদের কাছ থেকে স্মার্ট কার্ড দিয়ে টাকা আদায় করল? এছাড়াও উদ্যক্তা মাসুদের বিরুদ্ধে একই এলাকা থেকে দালালী পন্থায় ১মাসে ডেলিভারি হিসাবে পাসপোর্ট প্রতি ৫৭০০ টাকা করা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সহ ভুয়া ঠিকানা ব্যাবহার করে এলাকার লোকজনদের বিদেশ পাঠিয়ে ব্যাপক ভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে সাগান্না ইউরিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে অবগত নন মর্মে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য চাইতে অভিযুক্ত উদ্যক্তা মাসুদ ও তার সহকারি সাইফুলের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহে তীব্র শীতে কাপড় কিনতে ফুটপাতে ক্রেতাদেও প্রচন্ড ভিড়
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ব্যাপক ভাবে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সন্ধ্যা ও রাতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শহরে ও গ্রাম গঞ্জে জেঁকে বসেছে অগ্রাহানের শীত। গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতেভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকান গুলোতে। ঝিনাইদহের বিভিন্ন দোকানের চেয়ে ফুটপাতের দোকানে ভীড় বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেট গুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। শুরুতেই শীত বস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক তুলেছেন তারা। কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জ বাজারে, নিমতলা এলাকায় ফুটপাতের দোকান বসেছে অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বাজারে মহিলা ক্রেতাদের ভীড় বেশি দেখা যাচ্ছে আর সাথে নিয়ে আসছে তাদের ছেলে মেয়েদের। অনেক ব্যবসায়িরা ভ্যানের উপিরে পুরাতন কাপড় নিয়ে ফেরি করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। প্রতিদিন ঝিনাইদহ শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকান গুলোতে নি¤œ আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। বিশেষ করে মৌসুম ভিত্তিক দোকান গুলোতে শীতের কাপড় কেনা-বেঁচা চলছে পুরোদমে। তীব্র শীতের মাত্রা যখন বেশি তখন ফুটপাতের দোকান গুলোতে চোখ ফেলছে শীতের উষ্ণতা পেতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের, তবে এ রকম ভাবে শীতের মাত্রা আরো বাড়লে বেচাকেনা সামনের দিনে অনেক ভালো ব্যবসা হবে এমনটাই আশা ফুটপাতে বসা দোকানিদের। ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়েটারের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার ১০০ থেকে ১৫০ টকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাদ্ধের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছে নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষরা। প্রতি বছর শীত মৌসুম আসলেই তাদের বিক্রয়ের অবস্থা বেশ ভালোই হয় গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা থাকায় শীতার্ত মানুষ প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভীড় জমাচ্ছেন বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান গুলোতে। ফুটপাতের দোকানদাররা জানান, শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচা কেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়, সে গুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না।তবে দর কষাকষি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন। অন্যদিকে ফুটপাতের আরো কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানায়, সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে, এসব ফুটপাত গুলোতে। গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান। প্রতিনিয়ত শীতের পোশাক ক্রয় করি, তারপরেও অনেক কিনতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে শিশুদের দিকটা আলাদা। তাদের জন্য দেখে-শুনে ভালো শীতের পোশাক ক্রয় করি, ফুটপাতের দোকান গুলোতে শীতের অনেক ভালো পোশাক পওয়া যায়। দামের দিক দিয়ে ও মোটামুটি সস্তা। তবে দর দাম করেই পোশাক কিনছি।
ঝিনাইদহ থামছে না কৃষকেদের গরু চুরি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই চলছে গরু চুরির হিড়িক, জেরার ৬টি উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বাবরা গ্রাম থেকে গভীর রাতে মিন্টু মিয়া নামে এক কৃষকের চাষের ৪টি গরু চুরি হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে এ চুরির ঘটনা ঘটে। কৃষক মিন্টু মিয়া জানান, আমি সর্বশেষ রাত ১২ টার দিকে গরুর খাবার দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে উঠে দেখি আমার গোয়ালের ৪টি গরুই চুরি হয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কিন্তু পাইনি। আমার গরু চারটির আনুমানিক মুল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করবো। এর আগে ওসি মাহফুজুর রহমান বলেছিলেন অঅর গরু চুরি হবে না। কিন্তু আবার ও এক কৃষকের ৪ টি গরু চুরি হল। কালীগঞ্জে প্রায় রাতে গরু চুরি হলে ও পুলিশ এ পর্যন্ত একজন গরু চোর কে আটক করতে পারেনি। গত ২৪ নভেস্বর রাতে শহরের বাকুলিয়া গ্রাম থেকে এক রাতে আলা উদ্দিনের ৪টি গরু চুরি হয়। একই রাতে বাকুলিয়া গ্রাম থেকে আব্দুস সাত্তার ও আব্দুর রহমানের ৪টি গরু চুরি হয়। বর্তমানে কালীগঞ্জে গরু চুরির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। এ ছাড়া সাধারন চুরি তো অহরহ হতেই আছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, গরু চুরির ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।